বোলপুর, 16 জুলাই: সরকারি বনমহোৎসব অনুষ্ঠানে গরহাজির উদ্বোধক ও প্রধান অতিথি মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ ও বিধানসভার উপাধ্যক্ষ আশিষ বন্দ্যোপাধ্যায় । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে হয়েছে এই অনুষ্ঠান ৷ সেখানে তাঁদের উপস্থিত থাকা উচিত ছিল ৷ এমনটাই বললেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ । অর্থাৎ, সরকারি অনুষ্ঠানে এক ঝাঁক জনপ্রতিনিধির অনুপস্থিত ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে ৷
এই নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ বলেন, "এটা বন দফতরের অনুষ্ঠান । রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এই অনুষ্ঠান । সেখানে মন্ত্রী ও বিধায়কদের আসা উচিত ছিল । কেন আসেননি জানি না । তবে এটুকুই বলব আসা উচিত ছিল সরকারি অনুষ্ঠানে । এই অনুষ্ঠান থেকে জেলার বনমহোৎসব শুরু হল । গাছ লাগানোর বার্তা দেওয়া হল । এখানে সবার উপস্থিত থাকা উচিত ছিল ।"
সরকারি নির্দেশ মতো বীরভূম জেলায় বন বিভাগের তরফে আয়োজিত হয় এই বনমহোৎসব ৷ সোমবার বোলপুরের কংকালীতলা মন্দির সংলগ্ন মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হল বন সৃজন । উপস্থিত ছিলেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি ফায়জুল হক ওরফে কাজল শেখ, বোলপুরের সাংসদ অসিত কুমার মাল, নানুরের বিধায়ক বিধান মাঝি প্রমুখ ৷
তবে বন দফতরের তরফে প্রকাশিত আমন্ত্রণপত্র অনুযায়ী এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে থাকার কথা ছিল বিধানসভার উপাধ্যক্ষ আশিষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের, উদ্বোধক হিসাবে থাকার কথা ছিল রাজ্যের ক্ষুদ্র-মাঝারি ও কুটির শিল্পমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ-সহ বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়, রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম, বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ, বিকাশ রায়চৌধুরীর । কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল সরকারি অনুষ্ঠানে খোদ প্রধান অতিথি ও উদ্বোধক-সহ এক ঝাঁক জনপ্রতিনিধিই গরহাজির । যদিও এই প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, "অন্য একটি অনুষ্ঠান থাকায় যেতে পারিনি । অন্য কোনও কারণ নেই ।"