কলকাতা, 16 অগস্ট: আরজি কর কাণ্ডে প্রথম থেকেই ময়দানে ছিল সিপিএমের ছাত্র-যুব ও মহিলা সংগঠন । এবার এই ঘটনায় রাজ্যের উপর আরও চাপ বাড়ল বাম সংগঠন । পাশাপশি সিবিআই তদন্তের গতিবিধির উপরেও নজর থাকবে বলে শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে জানালেন সিপিএমের যুব সংগঠন সারা ভারত গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশনের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় । এদিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির নেত্রী কনীনিকা ঘোষ বসু ও ছাত্র সংগঠনের নেতা দেবাঞ্জন দে । এদিন সিপিএমের তিন গণ সংগঠনের তরফে তাঁরা একযোগে মুখ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করেন ।
এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় দাবি করেন, রাজ্যের সরকার একজন দোষীকে শিখণ্ডী করে বাকি দোষীদের আড়াল করতে চাইছে । এরা কারা ? কেন এদের আড়াল করার দায় মুখ্যমন্ত্রীর ? সিবিআই হয়েছে ভালো কিন্তু বর্তমানে তাদের ট্র্যাক রেকর্ড ভালো নয় । তাই তদন্তের গতিবিধির উপর, সিবিআইয়ের কর্মকান্ডের উপর নজর থাকবে ।
আরজি কর কাণ্ডে প্রভাশালী প্রাক্তন অধ্যক্ষকে সিবিআইয়ের ডেকে পাঠানো প্রসঙ্গে মীনাক্ষীর বক্তব্য, একাধিক দুর্নীতি করেছে ৷ কেন ভিজিল্যান্সের কাছে দিনের পর দিন ফাইল পড়ে আছে ? উনি কেন বাউন্সার নিয়ে ঘুরতেন ? তার উপর কার হাত রয়েছে তদন্তকারীরা খোঁজ করুন । এদিকে আরজি কর হাসপাতালে তাণ্ডবে পুলিশ ডিওয়াইএফআই দিকে ইঙ্গিত করলে পাল্টা যুবনেত্রী বলেন, "করা এসব ঘটিয়েছে তার ছবি ভিডিয়ো আছে । এলাকার মানুষ তাদের চিহ্নিত করে দিচ্ছেন পুলিশ পারছে না । এমন নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদ করা ঝামেলার হলে বার বার ঝামেলা করব । শেষ দেখে ছাড়ব ।"
তাঁর আরও দাবি, প্রমাণ লোপাটের চেষ্টায় সরকারিভাবে ভাঙতে গিয়েছিল । আমরা বাধা দিতে ভাঙতে পারেনি । তাই দলের গুণ্ডা নামিয়ে ভাঙল ।
মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ, সঠিক তদন্ত, সমস্ত দোষীদের গ্রেফতার ও কঠোর শাস্তি এই দাবি না মেটা পর্যন্ত আরজি করের আন্দোলন পৌঁছে যাবে একদম নিচুতলায় । কারা মৃতার পরিবারকে মেয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানিয়েছিলেন ? কার নির্দেশ ছিল ? পুলিশ কেন টাকা অফার করল ? কার কথায় এমন অফার ? এমন নানা প্রশ্ন তুলে জবাব চান তাঁরা ।