কলকাতা, 12 অগস্ট: আজ বিকেলে কলকাতা পৌঁছে গেল জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি দল ৷ বিমানবন্দর থেকেই সোজা লালবাজারের রওনা দেয় দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল ৷ আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মহিলা ডাক্তারি পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শহরে এসেছেন তাঁরা ৷ প্রথমে লালবাজারে গিয়ে পুলিশ কর্তাদের পর পরে নির্যাতিতার বাড়িতেও যান কমিশনের সদস্যরা ৷ সেখানে বেশ কিছুটা সময় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা হয়েছে ৷ কী নিয়ে কথা হয়েছে তা অবশ্য জানা যায়নি ৷
জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য় ডেলিনা খোংদুপের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল আজ লালবাজারে কলকাতার পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করতে যান ৷ তবে, লালবাজারে তাঁদের সঙ্গে কমিশনার বিনীত গোয়েলে নন ৷ বরং, এই ঘটনার তদন্তকারী দলের মাথায় থাকা অ্যাডিশনাল কমিশনার ওয়ান মুরলীধর শর্মার সঙ্গে কথা বলেন ৷ ঘটনার তদন্ত কতদূর এগিয়েছে ? ঘটনায় অভিযুক্ত বা অভিযুক্তদের ধরতে কী কী পদক্ষেপ নিয়েছেন তদন্তকারীরা ? তা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে চাইবেন কমিশনের প্রতিনিধিরা ৷
বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে কমিশনের সদস্য় ডেলিনা খংদুপ বলেন, "আমরা এখান থেকে পুলিশ কমিশনার অফিসে যাব ৷ সেখানে কমিশনারের সঙ্গে কথা বলব ৷ তারপর নির্যাতিতার বাড়িতে যাব ৷ তাঁর পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথা বলব আমরা ৷ আপাতত দু’দিনের জন্য আমরা কলকাতায় আছি ৷ আগামিকাল আমরা আগামিকাল আরজি কর হাসপাতালে যাব ৷ ঘটনাস্থল ঘুরে দেখব ৷ সেখানকার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব ৷ সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি বুঝে, আর কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন আছে কিনা, তা ঠিক করা হবে ৷"
উল্লেখ্য, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসক পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় জাতীয় স্তরেও তোলপাড় পড়ে গিয়েছে ৷ এই ঘটনায় ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের তরফেও ঘটনার নিন্দা করা হয়েছে ৷ সেই সঙ্গে রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও পুলিশের ভূমিকার সমালোচনাও করেছেন আইএমএ-র সভাপতি ৷ এই পুরো ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা পুলিশকে 7 দিনের সময় বেঁধে দিয়েছেন ৷ তারপর তিনি সিবিআই-এর হাতে পুরো বিষয়টি তুলে দেওয়ার কথা বলেছেন ৷ ফলে রাজ্য সরকার ও জাতীয় মহিলা কমিশনের তরফে সাঁড়াশি চাপে কলকাতা পুলিশ এই নারকীয় অপরাধের গোড়া পর্যন্ত পৌঁছতে পারে কিনা, সেটাই দেখার ৷