মালদা, 19 সেপ্টেম্বর: এবার থ্রেট কালচার ও মেডিক্যালে টিএমসিপি ইউনিট নিয়ে বিক্ষোভ মালদা মেডিক্যালের ইন্টার্নদের ৷ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে স্টুডেন্ট কাউন্সিল ও পদ্ধতিতে রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের দাবিতে বুধবার গভীর রাত পর্যন্ত মেডিক্যাল সুপারের দফতর ঘেরাও করেছেন ইন্টার্নরা ৷ বিষয়টি নিয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ।
তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সৌম্যদীপ কাঞ্জি বলেন, "আমরা দীর্ঘদিন ধরে কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে গণতান্ত্রিক স্টুডেন্ট কাউন্সিল ও আরডিএ'র দাবি জানাচ্ছি ৷ এই দাবিতে আমরা গণস্বাক্ষর করে মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষের কাছে জমা করেছি ৷ আজও আমরা সেই দাবি নিয়ে মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করতে আসি ৷ কিন্তু তাঁরা সেই দাবিকে মান্যতা দিচ্ছেন না ৷ তাঁরা আমাদের এই দাবিতে স্বাস্থ্য ভবনে পাঠানোর কথা বলছেন ৷ স্বাস্থ্যভবন যে দুর্নীতির আঁতুরঘর আমাদের তা জানা রয়েছে ৷ সেখানে যে দাবিপত্র পাঠানো হয়, তা ফাইলেই সীমাবদ্ধ থেকে যায় ৷"
তিনি আরও বলেন, "আগে এখানে যে টিএমসিপি ইউনিট ছিল তা নিজেদের কিছু পেটোয়া ছাত্রদের দিয়ে সমস্ত কিছু দখল করে রেখেছিল ৷ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কাউন্সিল ও অ্যাসোসিয়েশনের মান্যতা দিতে কর্তৃপক্ষের সমস্যা কোথায় ? যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের লিখিতভাবে না-দেওয়া হবে ততক্ষণ আমরা এখানে বসে থাকব ৷ কর্তৃপক্ষ মনে করলে আমাদের দেহের ওপর দিয়ে যেতে পারে ৷"
আরেক ইন্টার্ন প্রকৃতি মান্না বলেন, "মালদা মেডিক্যালে আমরা এতদিন ধরে দেখে আসছি তৃণমূল ছাত্র পরিষদ চলছে ৷ এই ছাত্র পরিষদ যা কিছু আয়োজন করছে, কলেজ কর্তৃপক্ষ তাকে মান্যতা দিচ্ছে ৷ আমরা জানতে চাই, টিএমসিপি ইউনিটকে অনুমোদন কে দিয়েছেন ? আদৌ কি এই ইউনিটের কোনও অনুমোদন ছিল ? সারা বাংলাজুড়ে যেখানে থ্রেট কালচার উঠে আসছে, সেখানে আমাদের মালদা মেডিক্যাল কলেজেও থ্রেট কালচারের ভিকটিম রয়েছে ৷ আমরা চাইছি একটা গণতান্ত্রিক স্টুডেন্ট কাউন্সিল তৈরি হোক ৷
তাঁর আরও সংযোজন, "যারা রেসিডেন্ট চিকিৎসক রয়েছেন তাঁদের জন্য গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের দাবি জানাচ্ছি ৷ কিন্তু আমরা যখন এই দাবি জানাচ্ছি, তখন কলেজ কর্তৃপক্ষ আমাদের অনুমোদন দিতে রাজি হচ্ছে না ৷ অথচ টিএমসিপির আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই কর্তৃপক্ষ ফিতে কাটছে ৷ এতদিন সমস্ত ক্ষেত্রে তৃণমূলের ছাত্রছাত্রীরা বাড়তি সুবিধে পেয়ে এসেছেন ৷ এর বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে গেলেই, সেই স্টুডেন্টকে ফেল করানো হয়েছে ৷ এমনকী মারধরও করা হয়েছে ৷ আজ আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে স্টুডেন্ট কাউন্সিলের অনুমোদনের দাবিতে মেডিক্যাল সুপারের দফতরের অবস্থান বিক্ষোভে বসেছি ৷"
মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায় বলেন, "থ্রেট কালচার নিয়ে কোনও অভিযোগ আসেনি। তবে আমরা কলেজ কাউন্সিলের মিটিংয়ে সাফ জানিয়েছি, এধরনের কোনও ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না। কাউন্সিলের অনুমোদনের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।"