কলকাতা, 15 নভেম্বর: আরজি করের নির্যাতিতার ন্যায় বিচার চেয়ে ফের সরব চিকিৎসক সংগঠন । মেডিক্যাল সার্ভিস সেন্টারের তরফে শুক্রবার গণ কনভেনশনে আবারও সেই দাবি তোলা হল ৷ এদিন ফের সিবিআই তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো ৷
এদিনের গণ কনভেনশনে হাজির হন সমাজের বহু বিশিষ্টজন । কনভেনশনে সামিল হন ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের অন্যতম আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেত মাহাতোও । তবে পরীক্ষা থাকায়, ভার্চুয়ালি তিনি এই কনভেনশনে যোগ দেন । এদিন আরও একবার সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অনিকেত ।
জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো এদিন বলেন, "সিবিআই বলুক একজনের পক্ষে একটা বিভাগের সেমিনার ঘরে ঢুকে সেখানে নারকীয় বীভৎস ঘটনা ঘটানো কীভাবে সম্ভব । পোস্টমর্টেম রিপোর্টে আমরা যা দেখেছি, তা একজনের পক্ষে সম্ভব নয় । আমরা আশা করেছিলাম চার্জশিটে এর প্রতিফলন পাব । কিন্তু আমরা পেলাম না । আবার চার্জশিটে দেখতে পেলাম, তথ্য লোপাটের জন্য টালা থানার ওসি ও তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের কথা । আমাদের প্রশ্ন, কীভাবে তথ্য প্রমাণ লোপাট করা হল ? যদি এই প্রশ্নের তদন্তে নতুন কোনও নাম উঠে আসে, তবে সেশন কোর্টে যে ট্রায়াল চলছে তার গতিবিধি কী হবে !"
এর পাশাপশি এই বিষয় নিয়ে এদিন সরব হন মেডিকেল সার্ভিস সেন্টারের রাজ্য সম্পাদক চিকিৎসক বিপ্লব চন্দ্র । তিনি বলেন, "পরিকাঠামো উন্নত না হলে ডাক্তার ও রোগীর দ্বন্দ্ব বাড়বে । আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি । সেখানেও সিসিটিভি নিয়ে দুর্নীতি হচ্ছে । সমাজের সর্বস্তরে নৈতিকতার অভাব যেমন রয়েছে, ডাক্তারদের মধ্যেও সেই নৈতিকতার অভাব রয়েছে । আমাদের মধ্যে যে স্বার্থপরতা তৈরি হয়েছে সেখান থেকে আমাদের বেরোনো দরকার ৷ কিন্তু সেখান থেকে আমরা বেরোতে পারছি না । এই তিন মাসের লড়াইয়ে সেখান থেকে বেরোনোর একটা উপায় পাওয়া গিয়েছে ।"
তাঁর কথায়, "সবাই ভাবছে আন্দোলন থেমে গিয়েছে ৷ কিন্তু সিবিআই বা রাজ্য প্রশাসনকে যদি ন্যায় বিচার দিতে বাধ্য করতে হয়, তাহলে মেডিক্যাল কলেজগুলিতে যেমন সংঘবদ্ধ হয়ে লড়াই করতে হবে, তেমনই গ্রামে শহরে দলমত নির্বিশেষে গণ কমিটি গড়তে হবে । নয়তো বড় শক্তি এসে বলবে, ভোট দাও, সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে ।"