দুর্গাপুর, 9 অগস্ট: ফের গ্রেফতার সারদার ডিরেক্টর মনোজ কুমার নাগেল ৷ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, তাকে রাজারহাট এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে দুর্গাপুর থানার পুলিশ ৷
শুক্রবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলার সময় মনোজ নাগেলের হতাশা স্পষ্ট ধরা পড়েছে। তিনি বলেন, "আমি একটা হোটেলে কাজ করে পেট চালাই। সারা রাজ্যে আমার বিরুদ্ধে 40টা মামলা রয়েছে। আমি নিজে খাব না আইনজীবীকে ফি দেব ? আর কতদিন ধরে আমাকে এভাবে ঘুরে বেড়াতে হবে ?" প্রসঙ্গত, 2013 সালে সারদা কাণ্ডে তোলপাড় হয় রাজ্য। গ্রেফতার হয়েছিল সারদার দুই কর্তা সুদীপ্ত সেন এবং দেবযানী মুখোপাধ্যায় ৷ সেই সময় গ্রেফতার করা হয় সারদার অন্যতম ডিরেক্টর দুর্গাপুরের মনোজ কুমার নাগেলকেও। এরপর 2016 সালে মনোজ কুমার নাগেল জামিনে মুক্তি পেয়েছিল।
অভিযোগ, এরপর থেকে ফেরার ছিল এই মনোজ কুমার নাগেল। রাজ্যের একাধিক আদালতে আরও মামলা চলছিল এই মনোজ কুমার নাগেলের বিরুদ্ধে। দুর্গাপুর মহকুমা আদালত মনোজ কুমার নাগেলের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। তারপর থেকেই তল্লাশিতে নামে দুর্গাপুর থানার পুলিশ। আট বছর পর বৃহস্পতিবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে দুর্গাপুর থানার পুলিশ কলকাতার বাগুইহাটি থানার রাজারহাটের একটি হোটেলে হানা দেয়। সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয় সারদা কেলেঙ্কারির অন্যতম অভিযুক্ত মনোজ কুমার নাগেলকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মনোজ কুমার নাগেল রাজারহাট এলাকার একটি বেসরকারি হোটেলের ম্যানেজারের কাজ শুরু করেছিল। শুক্রবার ধৃতকে পুলিশি হেফাজত চেয়ে তোলা হয় দুর্গাপুর মহাকুমা আদালতে। পুলিশি হেফাজতে নিয়ে তদন্তের গতি আনতে চাইছে দুর্গাপুর থানার পুলিশ। সারদাকাণ্ডে সুদীপ্ত সেন এবং দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের পর গ্রেফতার হয় মনোজ নাগেল। দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপের এ-জোন সেকেন্ডারি রোডের বাসিন্দা মনোজ নাগেলের বিরুদ্ধে সারদা চিটফান্ডে মোট 44টি মামলায় নাম ছিল মনোজের। মনোজ নাগেলের বিরুদ্ধে ইডির যে মামলাগুলি ছিল তার মধ্যে দুটি মামলায় আদালতে হাজিরা না দেওয়ার কারণে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। সেই কারণেই দুর্গাপুর থানার পুলিশ গতকাল তাকে গ্রেফতার করে বলে জানা গিয়েছে।