আলিপুরদুয়ার, 9 জুলাই: গন্ডারের শিং পাচারের দায়ে এক ব্যক্তিকে 3 বছর কারাদণ্ডের সাজা দিল আলিপুরদুয়ার আদালত । কারাদণ্ডের পাশাপাশি ওই ব্যক্তিকে 25 হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে । সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম রবীন্দ্র রায়(66)। তার বাড়ি আলিপুরদুয়ার জেলার ফালাকাটায়। সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ হওয়ার ফলে দ্রুত সাজা ঘোষণা হল রবীন্দ্রর ।
জানা গিয়েছে, ধৃত রবীন্দ্রকে আলিপুরদুয়ার এসিজেএম আদালতে তোলা হয় । সুপ্রিম কোর্টের গাউডলাইন মেনে দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া চলে । রবীন্দ্র সংশোধনাগারে থাকা অবস্থায় বিচার প্রক্রিয়া চলে এই মামলায় । বন্যপ্রাণীর দেহাংশের বেআইনিভাবে কেনাবেচা ও সিডিউল ওয়ান বন্যপ্রাণীর দেহাংশ রাখার অভিযোগে ওয়াইল্ড লাইফ প্রোটেকশন অ্যাক্টে 1972-এর ধারা অনুযায়ী রবীন্দ্র রায়ের সাজা ঘোষণা করা হয়েছে ৷ আদালতের তরফে তিন বছরের জেল ও 25 হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে ৷ অনাদায়ে আরও দুই মাসের সাজা শুনিয়েছেন বিচারক ।
জলদাপাড়া ওয়াইল্ড লাইফ ডিভিশনের বিভাগীয় বনাধিকার প্রবীণ কাশোয়ানের দাবি, বন্যপ্রাণীর দেহাংশ পাচারে সাজা আদতে জলদাপাড়া ওয়াইল্ড লাইফ ডিভিশনের বনকর্মীদের সাফল্য ৷ তিনি বলেন, " খুব তাড়াতাড়ি মামলার তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ করে বন্যপ্রাণী দেহাংশ পাচারের বিরুদ্ধে দোষীর সাজা ঘোষণা করা হয়েছে ৷ এটি বনকর্মীদের জন্য একটা বড় সাফল্য । তারা পাচারের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমে ওই ব্যক্তিকে আটক করেছিল ৷"
তাঁর কথায়, "2023 সালের 13 অগস্ট জলদাপাড়া ওয়েস্ট রেঞ্জের অফিসার মৃগাঙ্ক মাইতির নেতৃত্বে বনকর্মীরা অভিযান চালায় । বীরপাড়া জটেশ্বর যাওয়ার রাস্তায় জটেশ্বর হাইস্কুলের সামনে থেকে বন্যপ্রাণীর দেহাংশ উদ্ধার করা হয়। রবীন্দ্র রায়ের কাছ থেকে একটি গন্ডারের শিং ও হগ ডিয়ারের শিং উদ্ধার হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয় ৷"