গড়িয়া, 20 এপ্রিল: কন্যাসন্তান হওয়ায় স্ত্রীকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার স্বামী । দক্ষিণ 24 পরগনার গড়িয়ার ঘটনা ৷ 21 দিনের কন্যাসন্তানকে নিয়ে পুলিশের দারস্থ হয়েছিলেন মা । মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতেই অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ । ধৃৃতের নাম নবকুমার মণ্ডল ৷ যদিও অভিযুক্তের দাবি, তিনি নির্দোষ ৷ তাঁকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে ৷ তাঁর কাছে সাত লক্ষ টাকা চাওয়া হয়েছিল ৷ তিনি দিতে না পারায় মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে ৷
দক্ষিণ 24 পরগনার গড়িয়া এলাকার বাসিন্দা নবকুমার মণ্ডলের সঙ্গে একবছর আগে বিয়ে হাওড়ার উদয়নারায়নপুরের বাসিন্দা তনুশ্রী হালদারের । তার আগে সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে দু’জনের পরিচয় হয় । বেশ কিছুদিন প্রেমের সম্পর্ক থাকার পর বিষয়টি বাড়িতে জানাজানি হয় । তারপর পরিবার থেকেই তাঁদের দু’জনের বিয়ে দেওয়া হয় ।
তনুশ্রীর অভিযোগ, বিয়ের কিছু দিন পর থেকেই তাঁর উপর অত্যাচার শুরু করেন তাঁর স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ি । তাঁকে চাপ দিয়ে বাপেরবাড়ি থেকে 2 লক্ষ টাকা নেওয়া হয় ৷ এই নিয়ে বারবার দাম্পত্য কলহ হয়েছে ৷ দুই পরিবার ও প্রতিবেশীরা বেশ কয়েকবার তাঁদের নিয়ে মীমাংসাও করতে বসেন ।
কিন্তু কন্যাসন্তান জন্ম দেওয়ার পর অত্যাচার আরও বেড়ে যায় বলে অভিযোগ করেছেন তনুশ্রী । তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁকে 21 দিনের সন্তানকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতে বাধ্য করা হয়েছে । তনুশ্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত যুবক নবকুমার মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ।
তবে অভিযুক্তের দাবি, তিনি নির্দোষ । স্ত্রী তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন । স্ত্রী সাত লক্ষ টাকা চেয়েছিলেন, তিনি দিতে না পারায় মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে ৷ স্ত্রীর বাপেরবাড়ি থেকে তিনি কোনও টাকা নেননি ৷
পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ । শনিবার ধৃতকে বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয় ৷ আদালত তাঁকে পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে নাকি জেল হেফাজতে, তা এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জানা যায়নি ৷
আরও পড়ুন: