দেগঙ্গা, 21 অক্টোবর: স্বামীর অনুপস্থিতিতে নববধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল শ্বশুরের বিরুদ্ধে ৷ নির্যাতিতা মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে দেগঙ্গা থানার পুলিশ সোমবার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে ৷ এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে উত্তর 24 পরগনার দেগঙ্গায় ৷ এমনকি স্বামীর বিরুদ্ধেও পুরো ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ করেছেন মহিলা ৷ সবকিছু জেনেও নির্যাতিতার স্বামী, তাঁকে চুপ থাকতে বলেছিলেন ৷ ফলে, স্বামীর ভূমিকাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ ৷
জানা গিয়েছে, সপ্তাহখানেক আগে দেখাশোনা করে বিয়ে হয় ওই মহিলার ৷ অভিযোগ, বিয়ের দু’দিন পর থেকেই তাঁর উপর মানসিক এবং শারীরিক অত্যাচার শুরু করেন শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা ৷ বিষয়টি স্বামীকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি ৷ পালটা তিনি তাঁর স্ত্রীকে মারধর করতেন বলে অভিযোগ ৷ পুলিশে দায়ের হওয়া অভিযোগে নির্যাতিতা উল্লেখ করেছেন, নানা অছিলায় তাঁর শরীরে আপত্তিকরভাবে স্পর্শ করতেন শ্বশুর ৷ বাধা দিলেও শুনতেন না তিনি ৷ বেশিরভাগ সময় স্বামীর অনুপস্থিতিতে এই ঘটনাগুলি ঘটত ৷ অভিযোগ, এরপর গত শুক্রবার স্বামীর অনুপস্থিতিতে তাঁকে ধর্ষণ করেন অভিযুক্ত ৷
নির্যাতিতা অভিযোগ করেছেন, ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন অভিযুক্ত ৷ হুমকির জেরে প্রথম দিকে তিনি কাউকেই বিষয়টি জানাতে পারেননি ৷ এরপর, গত রবিবার নির্যাতিতা সাহস করে গোটা ঘটনাটি জানান তাঁর স্বামীকে ৷ অভিযোগ, স্ত্রী'র পাশে দাঁড়ানোর বদলে, উলটে এই নির্যাতনে প্রশয় দেন তিনি ৷ নির্যাতিতার দাবি, "স্বামীকে বিষয়টি নিয়ে বলতে গেলেই বলত, বাবা যা বলছেন তা শুনতে হবে ৷ বেশি কিছু বললেই মারধর করা হত আমাকে ৷"
স্বামীর থেকে সাহায্য না-পেয়ে নির্যাতিতা বাপের বাড়িতে গিয়ে শ্বশুরের নির্যাতনের কথা জানান ৷ তারপরেই রবিবার রাতে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দেগঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মহিলা ৷ অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার ভোরে নির্যাতিতা নববধূর শ্বশুরবাড়িতে হানা দেয় পুলিশ ৷ সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে ৷ সোমবার নির্যাতিতার স্বাস্থ্যপরীক্ষা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর ৷ পুলিশ পুরো ঘটনায় স্বামীর ভূমিকাও খতিয়ে দেখছে ৷