পুরুলিয়া, 28 জুন: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশিকার পর নড়েচড়ে বসল পুরুলিয়া পুরসভা। পুকুর ভরাটের অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ ৷ শুক্রবার তাঁকে পুরুলিয়া জেলা আদালতে তোলা হয় ৷ তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করা হয়েছে ৷
পুরুলিয়া পুরসভার 8 নম্বর ওয়ার্ডের রমবাঁধে পুকুর ভরাটের কাজ হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে । ঘটনাটির বিরুদ্ধে পুরসভায় একাধিকবার অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে দাবি। নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকের পরই নড়েচড়ে বসে পুরুলিয়া পুরসভা। সম্প্রতি পুকুর ভরাটের অভিযোগে 2 জনের বিরুদ্ধে পুরুলিয়া সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন পুরসভার পৌরপ্রধান নবেন্দু মাহালি। অভিযুক্তদের নাম মহম্মদ সোনু আলম ও সুপ্রকাশ সেন। তাঁরা উভয়ে পুরুলিয়ার নডিহার রহিম দাদ খান লেনের বাসিন্দা । পুরপ্রধানের অভিযোগের ভিত্তিতে সোনু আলমকে গ্রেফতার করে পুলিশ । তবে অপর অভিযুক্ত সুপ্রকাশ সেন পলাতক।
ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূল কাউন্সিলর ফইজল কামাল আশরফ বলেন, "2016 সালে পুরবোর্ড এই বাড়ির নকশা পাস করে। যে বা যারা এই বেআইনি বাড়ি নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হোক।" বিষয়টি নিয়ে পুরপ্রধান বলেন, "দু'বছর আগে পুকুর ভরাটের অভিযোগ পাই । তদন্তে নেমে দেখা যায় পুকুর বুজিয়ে বেশ কিছু বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে । কয়েকজনকে নোটিশ দেওয়া হয় ৷ তারপরই অভিযুক্তরা আদলতের শরণাপন্ন হন । সেই সময় প্রশাসনের কাছ থেকে সহযোগিতা না পাওয়ায় ব্যাবস্থা নিতে দেরি হয়।" পুরপ্রধানের অভিযোগের তির বাম জমানার বোর্ড ও ভূমি সংস্কার দফতরের দিকে।
বিষয়টি নিয়ে পুরুলিয়া জেলা বিজেপির-সহ সভাপতি গৌতম রায় বলেন, "পুকুর ভরাটের সঙ্গে তৃণমূলের বোর্ড ও তৃণমূল নেতারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত । এলাকার লোকজন দীর্ঘদিন ধরেই পুকুর ভরাটের প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিলেন। পুলিশ প্রশাসন ঘুমিয়েছিল। শহরের বহু সরকারি জমি, সাধারণ মানুষের জমি তৃণমূল নেতাদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মদতে দখল হয়ে গিয়েছে। এই সমস্যা থেকে মানুষ মুক্তি পাক। মুখ্যমন্ত্রীর এতদিন পর বোধোদয় হয়েছে ।" এদিকে, অবৈধভাবে কাজ করলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে হুশিয়ারি পুরুলিয়া জেলা পুলিশ সুপারের ।