আউশগ্রাম, 15 জানুয়ারি: স্ত্রীকে খুন করে মাটিতে পুঁতে দিয়ে দুই মেয়ের কাছে শুয়েছিল স্বামী । খবর জানাজানি হতেই অভিযুক্ত সোম হাঁসদাকে গ্রেফতার করেছে । মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের যদুগড়িয়া গ্রামে ৷ পুলিশ লক্ষ্মী হাঁসদার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠায় ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোম হাঁসদার সঙ্গে লক্ষ্মী হাঁসদার প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠায় বছর সাতেক আগে তারা নিজেরা বিয়ে করে । তাদের দুটি কন্যাসন্তান হয় । বড় মেয়ের বয়স ছয় বছর, ছোট-টি বছর তিনেকের । সোম নিজে কোনও কাজকর্ম করত না । প্রায়দিনই মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরে অশান্তি করত । মদ খেতে বাধা দিলে সোম তার স্ত্রীকে মারধর করত ।
গতকাল মঙ্গলবার সকালের দিক থেকে লক্ষ্মী হাঁসদাকে দেখতে না পেয়ে সোমকে তার মা বৌমাকে দেখতে না পাওয়ার খবর জানতে চায় । সোম জানায় লক্ষ্মীকে মারধর করায় সে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে । বিষয়টি জানাজানি হলে অনেকের মধ্যেই সন্দেহ দেখা দেয় । খবর দেওয়া হয় থানায় ৷ মঙ্গলবার সন্ধের দিকে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ বাড়িতে এসে তল্লাশি শুরু করে । ঘরের মাটি খুঁড়ে উদ্ধার হয় লক্ষ্মী হাঁসদার দেহ । পুলিশ সোম হাঁসদাকে গ্রেফতার করে । জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সোমবার রাতে সোম তার স্ত্রীকে মাথায় শাবল দিয়ে মেরে খুন করে । এরপর ঘরের মাটিতে গর্ত খুঁড়ে পুঁতে দেয় । পরে সে তার দুই মেয়ের কাছে গিয়ে শুয়ে ঘুমিয়ে পড়ে । মঙ্গলবার সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরেও তার মধ্যে কোনও অস্বাভাবিক আচরণ দেখা যায়নি ।
এই বিষয়ে সোমের মা পানমণি হাঁসদা জানান, তাঁর ছেলে প্রায় দিন মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরে বৌমার সঙ্গে অশান্তি করত । বৌমা প্রতিবাদ করলে মারধর করত । মঙ্গলবার সকাল থেকে আর বৌমাকে দেখা যায়নি । সন্দেহ হওয়ায় তিনি ছেলের কাছে বৌমার খবর জানতে চান ৷ উত্তরে ছেলে জানায় বৌমাকে মারধর করায় সে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে । কিন্তু বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরে পুলিশের কাছে খবর যায় । সন্ধের পরে পুলিশ এসে ঘরে খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করলে উদ্ধার হয় লক্ষ্মীর দেহ ।