কলকাতা, 21 জুলাই: মমতা আছেন মমতাতেই ! রবিবার একুশে জুলাইয়ের শহিদ মঞ্চ থেকে তিনি বললেন, "নজরুল ইসলাম লিখেছিলেন, সারে জহাঁসে আচ্ছা ৷" তখন অঝোর ধারায় বৃষ্টি হচ্ছে ৷ তৃণমূল নেত্রী সেই মুষলধারায় বৃষ্টিতে ভিজছেন এবং দেশ গড়ার ক্ষেত্রে বাংলার অবদানের কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছিলেন ৷
প্রবল বৃষ্টি উপেক্ষা করেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমরা বাংলার অস্তিত্ব রক্ষা করব ৷ বাংলাই কিন্তু দেশের অস্তিত্ব রক্ষা করবে ৷ তার কারণ বাংলা ছাড়া দেশ চলতে পারে না ৷"
এদিন দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে শিক্ষা, রাজনীতি সর্বক্ষেত্রেই বাংলার গৌরবের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তিনি বলেন, "মনে রাখবেন, জাতীয় সঙ্গীত কার লেখা ? রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ৷ তাঁর জন্মভিটে বাংলায় ৷ এই মাটি জাতীয় সঙ্গীতের হোতা ৷" এরপর একে একে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের নামও উল্লেখ করেন তিনি ৷
এরপর বিজেপিকে সাম্প্রদায়িক শক্তি বলে উল্লেখ করে তিনি বলছিলেন, "আমি আবার বলি, তৃণমূল কংগ্রেসের বুকে রক্ত থাকতে বিজেপি সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে আমরা হাত মেলাব না ৷ এটা আমাদের কাজ নয় ৷ আমরা সবাই আমাদের সবার জন্য ৷"
এই আদর্শে উদ্বুদ্ধ করতে গিয়ে আবেগের বশেই তিনি বলে ফেলেন, "নজরুল ইসলাম লিখেছিলেন, সারে জহাঁসে আচ্ছা"৷ মুষধারায় বৃষ্টিতে চশমা খুলতে খুলতে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, "সরফরোশি কা তমন্না, আজ হামারে দেশমে হ্যায়, দেখতে হ্যায় জোর কিসকা, বাজুয়ে কাতিল মে হ্যায় ৷"
এরপরেই তিনি হয়তো ভুল শুধরে বলেন, "মনে রাখবেন, নজরুল লিখেছিলেন সাম্যের গান গাহি, সাম্যের গান গাই, আমার চক্ষে পুরুষ-রমণী কোনো ভেদাভেদ নাই!" বক্তৃতার মাঝেই হঠাৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে একটি চিরকুট দিয়ে যান ৷ এরপরই মমতা মাইক হাতেই বলেন, "আমি নিজে পড়েছি, এটা ঠিক আছে ৷ কোনটার কথা বলছ ? সাম্যের গান গাহি ৷ ইকবালই তো বলেছি ৷ ওটা নজরুল নয়, ইকবাল ৷" এরপর কিছুটা যেন ক্ষুণ্ণ হয়েই তিনি বলেন, "এসব আমায় শেখাবে না ৷ এসব গান আমার মুখস্থ ৷" এরপর ফের তিনি জো শহিদ হুয়ে হে উনকি যারা ইয়াদ করো কুরবানি গানের লাইন আওড়াতে শুরু করেন ৷