মালদা, 30 জানুয়ারি: দুই দিনাজপুরে প্রশাসনিক বৈঠক ও সভা সেরে বুধবার মালদায় যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ সেখানে মালদা শহরের ডিএসএ ময়দানে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে সহায়তা প্রদান করবেন ৷ জনসভা করার পাশাপাশি 132 কোটি 13 লাখ 15 হাজার টাকায় 45টি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন ৷ একইসঙ্গে, 331 কোটি 20 লাখ 51 হাজার টাকা বরাদ্দে 104টি প্রকল্পের শিলান্যাস করতে পারেন তিনি ৷ এবারের সফরে মালদা জেলায় তাঁর কোনও প্রশাসনিক বৈঠক নেই ৷ বৃহস্পতিবার বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ ও মালদা জেলার প্রশাসনিক বৈঠক করবেন তিনি ৷
প্রশাসনিক সূত্রে এখনও পর্যন্ত খবর, বুধবার বেলা 12টা নাগাদ বালুরঘাট থেকে চপারে মালদা পৌঁছবেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ ডিএসএ ময়দানে সভা শুরুর আগে শহরের রবীন্দ্র মূর্তি থেকে নেতাজি মূর্তি পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তায় পদযাত্রা করতে পারেন ৷ এর জন্য ডিএসএ ময়দান সংলগ্ন রামকৃষ্ণ মিশনের মাঠে তাঁর অস্থায়ী হেলিপ্যাড ছাড়াও তৈরি রাখা হচ্ছে মালদা বিমানবন্দর ৷ সভা শেষে অস্থায়ী হেলিপ্যাড থেকেই তাঁর চপার উড়ে যাবে বহরমপুরের উদ্দেশে ৷
আগামিকাল বুধবার মুখ্যমন্ত্রী যেসব প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল 40 কোটি 19 লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত পরিবেশবান্ধব মুরগি খামার ৷ ভিন জেলার উপর নির্ভরতা কমাতে এর আগের প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রী নিজেই এমন একটি খামার নির্মাণের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছিলেন ৷ সেই খামার এখন প্রস্তুত ৷ পুরোদমে চালু হলে এই খামারে প্রতিদিন তিন লাখ মুরগির ডিম উৎপাদিত হবে ৷ এতে শুধু মালদা নয়, গৌড়বঙ্গের তিন জেলারই ডিমের চাহিদা মিটবে ৷
এই বিষয়ে মালদা জেলা প্রাণিসম্পদ দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর উৎপল কর্মকার জানান, মুখ্যমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর ফেব্রুয়ারি থেকেই এই খামারে ডিম উৎপাদকারী মুরগি পালন করা হবে ৷ গোটা খামারে তিন লাখেরও বেশি মুরগি প্রতিপালন করা হবে ৷ মে মাস থেকে দৈনিক তিন লাখ ডিম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৷ শুধু তিন জেলার মানুষের চাহিদা পূরণই নয়, এই খামারে উৎপাদিত ডিম অঙ্গনওয়াড়ি ও মিড-ডে মিলেও সরবরাহ করা যেতে পারে ৷ এখানকার ডিমের দাম তখন বর্তমান বাজারদামের তুলনায় অনেকটাই কম হবে ৷ এই খামারটি পুরোপুরি পরিবেশবান্ধব ৷ এখান থেকে কোনও গন্ধ বাইরে যাবে না ৷
আরও পড়ুন :