কলকাতা, 15 ফেব্রুয়ারি: সন্দেশখালি ইস্যু নিয়ে এবার বিধানসভার অন্দরেই মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ উত্তর 24 পরগনার ওই এলাকার সাম্প্রতিক পরিস্থিতির জন্য তিনি সরাসরি তোপ দাগলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ বা আরএসএস-এর বিরুদ্ধে ৷ বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘এটা আজ নতুন নয় । সেখানে আরএসএসের ঘাঁটি রয়েছে ।’’
তিনি এই প্রসঙ্গে অতীতের উদাহরণও টেনে আনেন ৷ তিনি জানান, সাত-আট বছর আগে ওই এলাকায় হিংসা ছড়িয়েছিল ৷ সেই কারণে ওই এলাকা হিংসা ছড়ানোর দিক থেকে স্পর্শকাতর ৷ তাঁর অভিযোগ সরস্বতী পুজোকে কেন্দ্র করে গেরুয়া শিবির অন্য পরিকল্পনা করেছিল ৷ এ দিন বিধানসভার অধিবেশন কক্ষে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা সরস্বতী পুজোর সময় পরিস্থিতি দৃঢ়ভাবে সামাল দিয়েছি, না হলে অন্য পরিকল্পনা ছিল (ওদের) ৷’’
এ দিন এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় অভিযোগ করেন, মিডিয়ার একাংশের ইন্ধনে কিছু লোক উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে ৷ সন্দেশখালির সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে পুলিশ-প্রশাসন কী কী পদক্ষেপ করেছে, সেই বিষয়টিও তিনি উল্লেখ করেন ৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি কখনও অন্যায়কে সমর্থন করিনি । আমি নিজে রাজ্যের কমিশন ও প্রশাসনকে সেখানে পাঠিয়েছি । 17 জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে । কেউ কেউ মুখোশ পরা ছবি তুলেছেন । তারা ধরা পড়েছে ৷’’
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক অতীতে সন্দেশখালিতে প্রথম উত্তেজনা তৈরি হয় গত 5 জানুয়ারি ৷ সেদিন স্থানীয় তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে অভিযান চালাতে যায় ইডি ৷ সেই প্রসঙ্গও এ দিন শোনা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর মুখে ৷ তিনি বলেন, ‘‘কীভাবে বিজেপি কর্মীদের আনা হয়েছে এবং কীভাবে একটি এলাকায় হিংসা উসকে দেওয়া হয়েছে, তা প্রকাশ্যে এসেছে । প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল শেখ শাহজাহান এবং ইডি তাঁকে টার্গেট করতেই এলাকায় প্রবেশ করেছিল ।’’
মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, এর পর তারা সেখান থেকে সবাইকে তাড়িয়ে দিয়ে এবং আদিবাসী বনাম সংখ্যালঘু লড়াইয়ের একটা গল্প তৈরি করেছে ৷ তিনি বলেন, ‘‘কিছু মানুষের ক্ষোভ থাকতে পারে এবং আমাদের সরকার সিদ্ধান্ত নেবে । আমাদের মহিলা দল সেখানে উপস্থিত । একটি মহিলা পুলিশ দল স্থানীয়দের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের অভিযোগ শোনার জন্য পরিদর্শন করছে ।’’ সব সমস্যারই সমাধান হবে বলেও তিনি আশ্বাস দিয়েছেন ৷
আরও পড়ুন: