রায়না, 3 মে: রাজ্যপালের বিরুদ্ধে 'শ্লীলতাহানির অভিযোগে এখন সরগরম রাজ্য রাজনীতি ৷ অভিযোগ ওঠার পরেই 'চক্রান্ত' তত্ত্বে অডিয়ো বার্তা দিয়ে রাজভবন ছেড়ে কেরলে গিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস । এই আবহে শুক্রবার দুপুরে পূর্ব বর্ধমান লোকসভা কেন্দ্রের রায়না-2 ব্লকের সভা থেকে কড়া ভাষায় রাজ্যপালের নিন্দায় সরব হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
এদিন সভামঞ্চ থেকে রাজভবনের শ্লীলতাহানি কাণ্ডে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, "একটা ছোট্ট মেয়ে রাজভবনে চাকরি করত ৷ তার সঙ্গে কী ব্যবহার করেছেন মাননীয় রাজ্যপাল মহাশয় ? আপনি আমায় কালকেও বলে পাঠিয়েছেন, আমার মন্ত্রী কেন এসব আপনাকে বলেছে? শুনে রাখুন, আমার কাছে একটা নয়, হাজারটা ঘটনা এসেছে ৷ কিন্তু আমি কোনও দিন কোনও কথা বলিনি ৷ কালকে মেয়েটির কান্নায় আমার যন্ত্রণা হয়েছে ৷ সন্দেশখালি নিয়ে বলার আগে এসব নিয়ে ভাবুন ৷ মেদিনীপুর পূর্বের একটি মেয়েকে একবার নয়, পর পর দুবার শ্লীলতাহানি করেছেন ৷"
একদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফর নিয়ে সরগরম পূর্ব বর্ধমান। শুক্রবার দুপুরে পূর্ব বর্ধমান লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ডাঃ শর্মিলা সরকারের সমর্থনে রায়না-২ ব্লকে সভা করেছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই নিয়ে রাজভবন শ্লীলতাহানি কাণ্ডে কড়া ভাষায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এবং মোদি-বিজেপিকে আক্রমণ করেন তিনি ৷
গতকালই মেমারির জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রীর বঙ্গ সফরকে কটাক্ষ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় সূত্রে খবর, বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস এগিয়ে থাকলেও মতুয়া ভোট তাদের ভাবাচ্ছে। সিএএ আতঙ্ক কতটা মতুয়া ভোট ব্যাংকে প্রভাব ফেলে সেই বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল নেতারা চিন্তিত।
রায়নার সভা থেকে মমতা বলেন, "শিল্পপতিদের ভয় দেখিতে ইলেকশন বন্ডের টাকা আদায় করছে কেন্দ্র ৷ প্রধানমন্ত্রী যা খুশি করছেন, নির্বাচন কমিশন চুপ ৷ কাজ-কর্ম নেই। প্রধানমন্ত্রীর কী বলা উচিত, জানেন না। এতদিন পর চাকরিহারাদের নিয়ে কথা বলছে। রাজ্য সরকার, স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী দেওয়া হয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীরা লড়ছেন । চাকরি খেতে দেব না আমরা । কোথায় ছিলেন মোদিবাবু ?" মোদিকে আক্রমণের পাশাপাশি, প্রথম-দ্বিতীয় দফার ভোট শতাংশ 'হঠাৎ করে' বেড়ে যাওয়া নিয়ে আজও নির্বাচন কমিশনের দিকে আঙুল তোলেন মমতা ৷
আরও পড়ুন: