সিউড়ি, 18 ফেব্রুয়ারি: অনুব্রত'র গড়ে দাঁড়িয়ে সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারি নিয়ে বিজেপিকে বিঁধলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ ইডি, বিজেপি ও একাংশ মিডিয়া তিলকে তাল করছে বলেও অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর ৷ পাশাপাশি তিনি জানিয়ে দেন, প্রশাসনিক আধিকারিকদের সেখানে পাঠানো হবে, অভিযোগ শুনবে, কেউ যদি কিছু নিয়ে থাকে ফেরৎ দিয়ে দেওয়া হবে ৷ এরপরই হুঁশিয়ারির সুরে মমতা বলেন, "আমিও পারি গদ্দারদের অ্যারেস্ট করতে। একটু সময় দিচ্ছি, সুতো ছাড়ছি ৷"
তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে হানা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হন ইডির আধিকারিকরা। পরে ওই এলাকায় তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে সরব হন স্থানীয় মহিলারা। বাঁশ-লাঠি নিয়ে চড়াও হন তাঁরা। এমনকী, ধর্ষণ-সহ লুটপাটের অভিযোগ করেন মহিলারা ৷ যা নিয়ে উত্তাল সন্দেশখালি ৷ এতদিন পর সন্দেশখালি নিয়ে মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের পাশে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিউড়ির প্রশাসনিক সভা থেকে বলেন, "আজকে কেষ্টকে কত দিন ধরে জেলে ভরে রেখে দিয়েছে। কিন্তু মানুষের মন থেকে ওকে দূর করতে পারেনি ৷ আমি আসতে আসতে দেখছিলাম ম্যাক্সিমাম ইয়ং জেনারেশন ওর কথা বলছে ৷ আমি শিখিয়ে দিইনি ৷ ও কাজ করেছে কাজ করতে জানে ৷"
এরপর তাঁর সংযোজন, "যদি ওর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকে, সেই অভিযোগ আপনাদের (বিজেপি) নেতাদের বিরুদ্ধেও আছে।" এরপরেই সন্দেশখালি প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমাদের সরকার কোনও ঘটনা ঘটলেই ব্যবস্থা নেয় ৷ একটা ছোট্ট ঘটনা ঘটেছে, ঘটানো হয়েছে। প্রথমে ইডি ঢুকেছে, তারপর তার বন্ধু বিজেপি ঢুকেছে, আর কিছু মিডিয়া ঢুকে তিলকে তাল করছে। শান্তির পরিবেশকে আগুন লাগাচ্ছে।" হুঁশিয়ারি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "যার যা অভিযোগ আছে আমি অফিসার পাঠাব ওরা শুনবে ৷ যদি কেউ মনে করে কারও কাছ থেকে কেউ কিছু নিয়েছে, সবটাই ফেরৎ দেওয়া হবে।"
তাঁর কথা, "আজ পর্যন্ত কোনও মহিলা অভিযোগ করেনি । আমি পুলিশকে বলেছি সুয়োমোটো কেস করতে ৷ আমিও পারি গদ্দারদের অ্যারেস্ট করতে। একটু সময় দিচ্ছি, সুতো ছাড়ছি।" অর্থাৎ, বীরভূমে এসে আবারও অনুব্রত মণ্ডলের পাশে দাঁড়িয়ে সন্দেশখালি নিয়ে মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, বিরোধীদের হুঁশিয়ারিও দেন তৃণমূল সুপ্রিমো ৷
আরও পড়ুন: