ETV Bharat / state

সাসপেন্ড করাটাও 'থ্রেট কালচার', আরজি করের অধ্যক্ষকে ভর্ৎসনা মুখ্যমন্ত্রীর

47 জন জুনিয়র ডাক্তারকে থ্রেট কালচার চালানোর অভিযোগে সাসপেন্ড করায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী ৷ কেন স্বাস্থ্য দফতরকে না-জানিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, প্রশ্ন তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷

CM MEETS JUNIOR DOCTORS
জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে নবান্ন সভাঘরে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : 6 hours ago

কলকাতা, 21 অক্টোবর: স্বাস্থ্য দফতরকে না-জানিয়ে কীভাবে 47 জনকে সাসপেন্ড করলেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ ? আজ জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের সঙ্গে বৈঠকে সেই প্রশ্নই তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ আরজি কর মেডিক্যালের অধ্যক্ষ চিকিৎসক মানস বন্দ্যোপাধ্যায়কে সতর্ক করে দিলেন তিনি ৷

প্রসঙ্গত, জুনিয়র ডাক্তারদের অনুরোধে সোমবার নবান্ন সভাঘরে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ সেখানেই সরকারকে না-জানিয়ে 47 জন জুনিয়র ডাক্তারকে সাসপেন্ড করা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মমতা ৷ শুধু তাই নয়, সরকারকে না-জানিয়ে এত জনকে সাসপেন্ড করাটা কি 'থ্রেট কালচার' নয়, এই প্রশ্ন তুললেন তিনি ৷ এ দিন মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে দিয়েছেন, তিনি কারও জীবন নষ্ট করার পক্ষপাতী নন ৷

এ দিন আরজি করের অধ্যক্ষের উদ্দেশে মমতার প্রশ্ন, "প্রশাসনকে না-জানিয়ে 47 জনকে সাসপেন্ড করলেন ৷ কীভাবে নিজে সিদ্ধান্ত নিলেন ? এটা 'থ্রেট কালচার' নয় ? আমাদের জানালেন না কেন ? স্বাস্থ্য বিভাগকে জানালেন না কেন ? সরকার বলে একটা বস্তু আছে ৷"

এই বিষয়টি নিয়ে এ দিন বৈঠকে উপস্থিত জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর একরকম বাদানুবাদ শুরু হয়ে যায় ৷ জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধি অনিকেত মাহাতো মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, "আমরা কারও নাম নিতে চাইছি না ৷ কিন্তু, এরা নটোরিয়াস ক্রিমিনাল ৷ এরা হাসপাতালে থাকলে আরজি করে সুস্থ-স্বাভাবিক পরিবেশ কখনই ফিরে আসবে না ৷" মুখ্যমন্ত্রী পালটা বলেন, "তদন্ত না-করে কাউকে সাসপেন্ড করা যায় না ৷ ইচ্ছেমতো কাজ করবেন না ৷ কেউ কাউকে থ্রেট করবেন না ৷ আমি ক্ষমতায় আছি বলে থ্রেট করতে পারি না ৷"

যদিও, অধ্যক্ষের তরফ থেকে বলার চেষ্টা করা হয়, তদন্ত করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷ কলেজ কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৷ এ দিকে মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে থামিয়ে বলেন, এ বিষয়ে অধ্যক্ষদের কোনও কথা তিনি শুনতে চান না ৷ এই অবস্থায় আরজি করের অধ্যক্ষের পাশে দাঁড়ান জুনিয়র ডাক্তাররা ৷ আরজি করের দুই জুনিয়র চিকিৎসক কিঞ্জল নন্দ এবং অনিকেত মহাতো বোঝানোর চেষ্টা করেন, এদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে দূরে রাখা কতটা জরুরি ৷

কলেজ কাউন্সিলের বিষয়টিকে মান্যতা দিতে রাজি হননি মুখ্যমন্ত্রী ৷ তবে, এই পরিস্থিতিতে হস্তক্ষেপ করেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম ৷ তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কলেজ কাউন্সিল ও তার কাজ কী, তা বোঝান ৷ তিনি জানান, মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ, সব বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবং অধ্যাপকরা এই কলেজ কাউন্সিল কমিটিতে থাকেন ৷ আর এটি রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজে রয়েছে ৷ এরপর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আগামী দিনে দেখা হবে বিষয়টি ৷ তদন্ত করা হবে ৷ পক্ষপাতিত্ব চলবে না ৷ আপনার যাঁকে পছন্দ নয়, তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন, এটা হতে পারে না ৷"

কলকাতা, 21 অক্টোবর: স্বাস্থ্য দফতরকে না-জানিয়ে কীভাবে 47 জনকে সাসপেন্ড করলেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ ? আজ জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের সঙ্গে বৈঠকে সেই প্রশ্নই তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ আরজি কর মেডিক্যালের অধ্যক্ষ চিকিৎসক মানস বন্দ্যোপাধ্যায়কে সতর্ক করে দিলেন তিনি ৷

প্রসঙ্গত, জুনিয়র ডাক্তারদের অনুরোধে সোমবার নবান্ন সভাঘরে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ সেখানেই সরকারকে না-জানিয়ে 47 জন জুনিয়র ডাক্তারকে সাসপেন্ড করা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মমতা ৷ শুধু তাই নয়, সরকারকে না-জানিয়ে এত জনকে সাসপেন্ড করাটা কি 'থ্রেট কালচার' নয়, এই প্রশ্ন তুললেন তিনি ৷ এ দিন মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে দিয়েছেন, তিনি কারও জীবন নষ্ট করার পক্ষপাতী নন ৷

এ দিন আরজি করের অধ্যক্ষের উদ্দেশে মমতার প্রশ্ন, "প্রশাসনকে না-জানিয়ে 47 জনকে সাসপেন্ড করলেন ৷ কীভাবে নিজে সিদ্ধান্ত নিলেন ? এটা 'থ্রেট কালচার' নয় ? আমাদের জানালেন না কেন ? স্বাস্থ্য বিভাগকে জানালেন না কেন ? সরকার বলে একটা বস্তু আছে ৷"

এই বিষয়টি নিয়ে এ দিন বৈঠকে উপস্থিত জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর একরকম বাদানুবাদ শুরু হয়ে যায় ৷ জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধি অনিকেত মাহাতো মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, "আমরা কারও নাম নিতে চাইছি না ৷ কিন্তু, এরা নটোরিয়াস ক্রিমিনাল ৷ এরা হাসপাতালে থাকলে আরজি করে সুস্থ-স্বাভাবিক পরিবেশ কখনই ফিরে আসবে না ৷" মুখ্যমন্ত্রী পালটা বলেন, "তদন্ত না-করে কাউকে সাসপেন্ড করা যায় না ৷ ইচ্ছেমতো কাজ করবেন না ৷ কেউ কাউকে থ্রেট করবেন না ৷ আমি ক্ষমতায় আছি বলে থ্রেট করতে পারি না ৷"

যদিও, অধ্যক্ষের তরফ থেকে বলার চেষ্টা করা হয়, তদন্ত করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷ কলেজ কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৷ এ দিকে মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে থামিয়ে বলেন, এ বিষয়ে অধ্যক্ষদের কোনও কথা তিনি শুনতে চান না ৷ এই অবস্থায় আরজি করের অধ্যক্ষের পাশে দাঁড়ান জুনিয়র ডাক্তাররা ৷ আরজি করের দুই জুনিয়র চিকিৎসক কিঞ্জল নন্দ এবং অনিকেত মহাতো বোঝানোর চেষ্টা করেন, এদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে দূরে রাখা কতটা জরুরি ৷

কলেজ কাউন্সিলের বিষয়টিকে মান্যতা দিতে রাজি হননি মুখ্যমন্ত্রী ৷ তবে, এই পরিস্থিতিতে হস্তক্ষেপ করেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম ৷ তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কলেজ কাউন্সিল ও তার কাজ কী, তা বোঝান ৷ তিনি জানান, মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ, সব বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবং অধ্যাপকরা এই কলেজ কাউন্সিল কমিটিতে থাকেন ৷ আর এটি রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজে রয়েছে ৷ এরপর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আগামী দিনে দেখা হবে বিষয়টি ৷ তদন্ত করা হবে ৷ পক্ষপাতিত্ব চলবে না ৷ আপনার যাঁকে পছন্দ নয়, তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন, এটা হতে পারে না ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.