কলকাতা, 4 অক্টোবর: একডালিয়া এভারগ্রিনের পুজো উদ্বোধন করতে গিয়ে স্মৃতিমেদুর হয়ে পড়লেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রত্যেক বছরই একডালিয়ার দুর্গা পুজার উদ্বোধনে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। এই পুজোর অন্যতম প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন রাজ্যের প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। এই এলাকায় একডালিয়া এভারগ্রিন সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের পুজো নামেই পরিচিত। একডালিয়ার পুজোয় সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রী ছন্দাবাণী মুখোপাধ্যায়কে পাশে বসিয়ে স্মৃতিচারণা করলেন মমতা। তাঁকে বলতে শোনা গেল, "সুব্রতদার মতো মানুষ গেলে আর ফিরে আসেন না।"
2021 সালে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু হয়। এরপর থেকে যখনই একডালিয়া এভারগ্রিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গিয়েছেন তাঁর মুখে ফিরে ফিরে এসেছে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের স্মৃতি। মুখ্যমন্ত্রীকে প্রয়াত মন্ত্রী ছোট বোনের মতোই স্নেহ করতেন বলেও শোনা গিয়েছে মমতার মুখে। একই সঙ্গে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনীতিতে আসার পিছনে বড় ভূমিকা ছিল সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের তাও মমতা সবসময় স্বীকার করেন। তাদের দাদা-বোনের সম্পর্ক নিয়ে সময় সুযোগ হলেই গল্প উঠে আসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "এখানে আসলেই খারাপ লাগে। হৃদয়ে একটা দুঃখ অনুভব করি। সুব্রতদা নেই ভাবতে পারি না। ছোটবেলায় যখন ছাত্র রাজনীতি করতাম তখন রোজ নিয়ম করে সুব্রতদার বাড়ি আসতাম সকাল ন'টায়। বৌদি সব জানেন। ছাত্র রাজনীতির সেই দিনগুলো আমি নিশ্চয়ই ভুলব না। খোলামেলা দিলখোলা মনের মানুষ ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। এমন মজা করে কথা বলতেন দুঃখের মধ্যেও হাসিয়ে দিতেন।" মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "এই ধরনের মানুষগুলো একবার চলে গেলে আর ফিরে আসেন না।"
এদিন এই মঞ্চ থেকে বাংলাকে ধ্রুপদী ভাষা করা নিয়েও মুখ খুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, "আমি খুশি যে, বাংলাকে ক্লাসিকাল ল্যাঙ্গুয়েজ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। 10 বছর ধরে লড়াই করেছি। আজ আমি খুশি। আমি গবেষণা করে দিয়েছিলাম। আমাদের গবেষণাপত্রকে অস্বীকার করতে পারেনি।"