দুর্গাপুর, 26 ফেব্রুয়ারি: খালিস্তানি মন্তব্য বিতর্ক নিয়ে কথা বলতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করলেন পশ্চিম বর্ধমানের শিখ সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা ৷ অন্ডাল বিমানবন্দরে তাঁদের কিছুক্ষণের জন্য সাক্ষাৎ হয় মুখ্যমন্ত্রীর ৷ সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী এই বিতর্কে শিখ সম্প্রদায়ের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন ৷
উল্লেখ্য, এই বিতর্কের সূত্রপাত দিনকয়েক আগে ৷ উত্তর 24 পরগনার সন্দেশখালি যাওয়ার পথে পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয় বিজেপির প্রতিনিধি দলকে ৷ অভিযোগ, সেই সময় বিজেপির তরফে রাজ্য পুলিশের এক আধিকারিক জসপ্রীত সিংকে খালিস্তানি বলে কটাক্ষ করা হয় ৷ বিষয়টি প্রথম প্রকাশ্যে আসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের করা সোশাল মিডিয়া পোস্ট থেকে ৷ সেখানে তিনি এই ঘটনার জন্য দায়ী করেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালকে ৷
পরে পুলিশের তরফে দাবি করা হয় যে ওই মন্তব্য করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ এর পর তৃণমূলের তরফে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে দাবি করা হয় যে ওই মন্তব্য করেছেন বিরোধী দলনেতা ৷ তাছাড়া এই নিয়ে অগ্নিমিত্রা পালের সঙ্গে ওই পুলিশ আধিকারিকের বচসার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে যায় ৷
এর পর বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়ে রাজ্য থেকে জাতীয়স্তরে সমালোচনা শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ শিখ সম্প্রদায়ও আলাদাভাবে প্রতিবাদ শুরু করে ৷ পশ্চিম বর্ধমানের বিভিন্ন জায়গাতেও প্রতিবাদ হয় ৷ শিখ ধর্মাবলম্বী মানুষেরা অগ্নিমিত্রা পালের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । বিজেপি অবশ্য বারবার দাবি করেছে যে তাদের কোনও নেতা এই ধরনের মন্তব্য করেননি ৷
যদিও পশ্চিম বর্ধমান জেলা গুরুদ্বারা কমিটির প্রবন্ধক তেজেন্দর সিং বলেছিলেন, "শুভেন্দু অধিকারী যদি নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন, তাহলে শিখ ধর্মাবলম্বী মানুষেরা তাঁদের আন্দোলন থেকে সরে আসবেন ।" বিজেপি যেহেতু অভিযোগ করেছে, তাই ক্ষমা চাওয়ার ঘটনা ঘটেনি ৷ এই পরিস্থিতিতে সোমবার বিকেলে অন্ডাল বিমানবন্দরে পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় ৷ সেখান থেকে তিনি চলে যান দুর্গাপুরে ৷
এরই মাঝে কিছুক্ষণের জন্য দেখা করেন শিখ সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ৷ তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন ৷ এই ইস্যুতে শিখদের পাশে থাকার আশ্বাসও মুখ্যমন্ত্রী দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর ৷ এই তেজেন্দর সিং বলেন, "ধর্মের ভিত্তিতে রাজনীতি আমরা মানছি না ৷ মানব না । শিক্ষা সম্প্রদায়কে যেভাবে অপমান করা হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে ৷ তাতে আপামর শিখ ধর্মাবলম্বী মানুষ ব্যথিত, অপমানিত এবং ক্ষুব্ধ । তাই আমরা এসেছিলাম মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ।"
আরও পড়ুন: