গঙ্গাসাগর, 7 জানুয়ারি: বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বিরুদ্ধে আটক হওয়া ভারতীয় মৎস্যজীবীদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ মঙ্গলবার গঙ্গাসাগর থেকে ফেরার আগেও বাংলাদেশ প্রসঙ্গ মুখ্যমন্ত্রীর মুখে ৷ নাম না করেই বাংলাদেশ ইস্যুতে স্থল, জল ও আকাশসীমায় গঙ্গাসাগর মেলায় বাড়তি নজরদারি নির্দেশ দিলেন তিনি ৷ সঙ্গে জেলাশাসককে সাগরদ্বীপের নিরাপত্তা নিয়ে 'এরিয়াল সার্ভে রিপোর্ট' তৈরি করতে বললেন মমতা ৷
এ দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চপার হেলিপ্যাড থেকে ওড়ার পর সাগরদ্বীপের উপর বেশ কয়েকবার চক্কর কাটে ৷ সূত্রের খবর, সার্ভে রিপোর্ট হাতে আসার আগে, তিনি নিজে আকাশপথে নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর নজরদারি চালালেন ৷ উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বর মাসে নবান্ন সভাঘরে গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি বৈঠকে, জলপথে নজরদারি বাড়াতে নৌসেনাকে অনুরোধ করেছিলেন মমতা ৷ মূলত, বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতির প্রভাব যাতে সাগরমেলায় না-পড়ে, তা নিশ্চিত করতে বলেছিলেন তিনি ৷
গঙ্গাসাগরের প্রস্তুতিতে নজরদারি চালিয়ে ফেরার আগে ফের গঙ্গাসাগর মেলার নিরাপত্তা নিয়ে জোর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ তিনি বলেন, "বিদ্যুতের ব্যাপারটা তোমরা দেখে নিও ৷ যাতে কেউ কোনওরকম ক্ষতি করতে না-পারে ৷ আমরা নেভিকে ইতিমধ্যেই বলেছি, কোস্টাল গার্ডকেও সতর্ক করতে হবে ৷ যাতে ওদিক থেকে এদিকে কোনও সমস্যা না-হয় ৷ ভালোভাবে জল-স্থল-আকাশ, তিনদিকেই খেয়াল রাখতে হবে ৷"
কপিলমুনি মন্দিরের প্রণামীর 25 শতাংশে হবে কংক্রিটের বাঁধ, মমতার প্রস্তাবে সায় প্রধান মহন্তের
উল্লেখ্য, গত তিনদিনে বাংলাদেশে সামরিক তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে ৷ সেই আবহে সাগরদ্বীপের নিরাপত্তায় এবার এরিয়াল সার্ভে রিপোর্ট তৈরি করতে বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ সাগরের উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন মঞ্চ থেকে রাজ্যের বিদ্যুৎ দফতরের সচিব শান্তনু বসুকে এই নির্দেশ দেন তিনি ৷ এ নিয়ে জেলাশাসক সুমিত গুপ্তার সঙ্গেও কথা হয়েছে বলে জানান তিনি ৷
এর আগে নবান্ন সভাঘরের বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন, "গঙ্গাসাগরের পাশেই কিছুটা বিপজ্জনক এলাকা রয়েছে ৷ নীরবে নজরদারি চালাতে হবে ৷ ওপারে তো আমরা যেতে পারব না ৷ তবে, সতর্ক থাকতে হবে যাতে অবাঞ্ছিত ঘটনা না-ঘটে ৷ ওয়াচ টাওয়ার বৃদ্ধি করতে হবে ৷ নজরদারির জন্য ড্রোনের সংখ্যা বৃদ্ধি করুন ৷"
এ নিয়ে নৌসেনার আধিকারিকদের বিশেষ অনুরোধ করেছিলেন মমতা ৷ নৌবাহিনীর তরফে বলা হয়েছিল, "মেলা চলাকালীন দু’টি হোভারক্রাফ্ট এবং একটি সামরিক জাহাজে নজরদারি চলবে ভারত-বাংলাদেশ জলসীমান্তে ৷" তবে, মুখ্যমন্ত্রী অনুরোধ করেছিলেন সম্ভব হলে ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হোক ৷ যদিও, নৌসেনার আধিকারিকরা জানিয়েছিলেন, তাঁদের কাছে নজরদারি চালানোর জন্য কোনও ড্রোন নেই ৷