মালদা, 19 অক্টোবর: বিজেপির সেবাদান কর্মসূচি থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। মুখ্যসচিবের ফোন থেকে জুনিয়র ডাক্তারদের ধমকাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। ওনার ক্ষমতা থাকলে জ্যোতিবাবুর মতো লাঠিচার্জ করে তুলে দিক।
শনিবার মালদায় বিজেপির সেবাদান কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে শুভেন্দু মুখ্যমন্ত্রীকে একহাত নেন ৷ তিনি জানান, ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষদের ঠকাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমি নিজে তার সাক্ষী। এই কর্মসূচিতে আসতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে গো-ব্যাক স্লোগানের মুখেও পড়তে হয়। এদিন 30 টাকার চুল্লু আর 1000 টাকার ভাতা দিয়ে দু-কান কাটা 30টা লোককে এনে এসব করানো হচ্ছে বলে, পালটা শাসকদলকে কটাক্ষ করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।
মমতার ফোনে বার্তা জুনিয়র ডাক্তারদের প্রসঙ্গে শুভেন্দু -পরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু বলেন, "মুখ্যসচিবের ফোন থেকে জুনিয়র ডাক্তারদের ধমকেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জুনিয়র ডাক্তাররা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধমকানির সামনে মাথা নত করবেন না। ওনার ক্ষমতা থাকলে জ্যোতিবাবুর মতো লাঠিচার্জ করে তুলে দিক। তিন থেকে চার মাসের মধ্যে মেডিক্যাল কলেজে নির্বাচন করানোর কথা বলছেন। কেন তিন-চার মাস লাগবে? কেন নভেম্বর মাসে হবে না? কেন 9 বছর ধরে নির্বাচন বন্ধ করে রেখেছেন? এসব করে লাভ হবে না।"
শুভেন্দুকে গো-ব্যাক- শনিবার বেলা সাড়ে চারটে নাগাদ ভূতনিতে এসে পৌঁছন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। ভূতনি ব্রিজে শুভেন্দু অধিকারীর কনভয় পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গে কিছু মানুষ কালো পতাকা নিয়ে গো-ব্যাক স্লোগান দিতে থাকেন। গো-ব্যাক স্লোগান প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, "আমি আসার সময় স্বাগত জানানোর জন্য 20 হাজার লোকছিল। 30 টাকার চুল্লু আর 1000 টাকা করে দিয়ে 40-50টা লোককে নিয়ে এসে এসব করানো হয়েছে। হাতি রাস্তায় চললে, কিছু কুকুর পিছন থেকে চিৎকার করে। কারা এটা করছে, সেই উত্তর পুলিশ দেবে।"
সেবাদান কর্মসূচি- জনসেবা মঞ্চ থেকে শুভেন্দু বলেন, "নিজেদের সীমাবদ্ধ ক্ষমতার মধ্যে আমরা প্রথম দিন থেকে ভূতনির বন্যা কবলিত মানুষের পাশে ছিলাম, আজও আছি, আগামীতেও থাকব। যে দশজন বন্যার জলে তলিয়ে মারা গিয়েছেন, তাঁদের পরিবারকে আমরা দলের তরফে সাধ্যমতো সাহায্য করব। বন্যা কবলিত সাড়ে তিন-চার হাজার মানুষের হাতেও সামান্য ত্রাণ তুলে দেব।"
ভাঙন নিয়ে শুভেন্দু- ভাঙন নিয়ে জনসেবা মঞ্চ থেকে রাজ্য সরকারকে একহাত নেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর সরকার ভূতনি, মানিকচক, বৈষ্ণবনগর, ফরাক্কা, সামসেরগঞ্জের মানুষকে ঠকিয়েছেন। আমি নিজে তার সাক্ষী। তৃণমূলের লোকজন বলছে, ভূতনি ব্রিজ হয়েছে। এটা ভারত সরকারের টাকাতে হয়েছে। ভূতনি চরে মুখ্যমন্ত্রীর কোনও অবদান নেই। উনি হেলিকপ্টারে আসেন, সাবিত্রী মিত্রকে ভোট দিতে চলে টাটা করে চলে যান।"