কলকাতা, 11 জুলাই: শুধু মৌখিকভাবে সতর্ক করা নয়। ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতর নিয়ে একের পর এক অভিযোগকে সামনে রেখে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিল নবান্ন ৷ বিগত কয়েকদিন ধরে জমি হস্তান্তর থেকে শুরু করে সরকারি জমি বেহাত হয়ে যাওয়া নিয়ে প্রকাশ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কার্যত তারপর থেকেই আতস কাচের তলায় ছিল রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের বিএলআরওদের ভূমিকা। অবশেষে সিদ্ধান্ত নিয়েই নিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
দফতরের প্রাথমিক রিভিউয়ের পর 456 জন ভূমি অধিকারিকের বদলি ও পদোন্নতির নোটিফিকেশন জারি করে নবান্ন। এই তালিকায় নাম রয়েছে খোদ কলকাতা ভূমি অধিকারিকেরও ৷ এই তালিকায় যেমন একাধিক ভূমি অধিকারিকদের পদোন্নতি হয়েছে, তেমনই খারাপ পারফরম্যান্সের কারণে কম গুরুত্বপূর্ণ পদে অনেককে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মোটের উপর প্রশাসনিক মহল মনে করছে, এক ধাপে এত আধিকারিকের বিরুদ্ধে বদলির নির্দেশ জারি কার্যত নজিরবিহীন।
গত 11 জুনের পর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ থেকে বারবার সরকারি জমি দখল হওয়া নিয়ে কড়াবার্তা শোনা যাচ্ছিল। আর এই কড়াবার্তা দেওয়ার পাশাপাশি মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে বিভিন্ন জেলা থেকে বিএলআরও ও এসডিএলআরওদের কাজকর্ম সম্পর্কে তথ্যও সংগ্রহ করা হয়। এই তথ্যের উপর ভিত্তি করে তাঁদের পারফরমেন্সের একটি রিভিউ করা হয়। তারপরই রাজ্যের ভূমি এবং ভূমি রাজস্ব দফতর এই পদক্ষেপ নিয়েছে বলে খবর। যেখানে এক ধাক্কায় 179 জন ভূমি আধিকারিককে বদলি করে দেওয়া হয়েছে অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ পদে।
বদলির যে তালিকা হাতে এসেছে, তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এই তালিকায় নাম রয়েছে হাওড়া সদর ও কলকাতার ভূমি অধিকারিকের। কলকাতার দায়িত্বে থাকা ভূমি আধিকারিককে পুরুলিয়ায় বদলি করা হয়েছে। এছাড়াও বীরভূম, দক্ষিণ 24 পরগনা, ডায়মন্ড হারবার-সহ একাধিক জেলার ভূমি আধিকারিকদের বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনিক মহলের একাংশের মতে, যাঁদের অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ পদে বদলি হয়েছে, তাঁদের কাজ নিয়ে দফতরে প্রশ্ন উঠেছিল। আর যাঁরা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেলেন তাদের ক্ষেত্রে ভালো কাজের জন্য তাদের পুরস্কৃত করা হল।