কলকাতা, 12 এপ্রিল: নাম বদল থেকে ভুয়ো আধার কার্ড তৈরি, সবকিছুই করেছিল রামেশ্বরম কাণ্ডের অভিযুক্তরা ৷ তারপরেও শেষরক্ষা হয়নি ৷ আজ এনআইএ’র হাতে কাঁথি থেকে ধরা পড়েছে হামলার মূল ষড়যন্ত্রকারী ও এক অভিযুক্ত ৷ তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদেই জানতে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির গোয়েন্দারা জানতে পারেন, বিস্ফোরণের এক ঘণ্টা আগে বিস্ফোরক রেখে এসেছিলেন মুসাভির হুসেন সজীব। ক্যাফের বাসন মাজার জায়গায় এই আইইডি রেখেছিল সে ৷ এর ঠিক এক ঘণ্টা পরে বিস্ফোরণ হয় ৷
তবে মুসাভির বিস্ফোরক রাখলেও, এই কাজের মাস্টারমাইন্ড ছিল আবদুল মাথিন ত্বহা ওরফে সুমিত ৷ গোটা বিষয়টি পরিচালনা করেছিলেন সে । এদিন আদালতে এই বিস্ফোরক তথ্য তুলে ধরল জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার গোয়েন্দারা । ক্যাফের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে একাধিক প্রমাণ তাঁর বিরুদ্ধে মিলেছে। এনআইএ আরও জানিয়েছে, একাধিক মামলায় অভিযুক্ত এই আবদুল । 2019 সাল থেকে পলাতক ছিল সে।
শুক্রবার সকালে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি থেকে বেঙ্গালুরু ক্যাফে বিস্ফোরণের ঘটনায় এই দুই অভিযুক্ত মুসাভির হুসেন সজীব এবং আবদুল মাথিন ত্বহা আহমেদকে গ্রেফতার করে এনআইএ । তাদের কলকাতার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে পেশ করা হয় ৷ এরপরই তাদের নিজেদের হেফাজতে চেয়েছে তদন্তকারীরা। ধৃতদের 3 দিনের ট্রানজিট রিমান্ডে বেঙ্গালুরু নিয়ে যাওয়া হবে ৷ গত 1 মার্চ বেঙ্গালুরুর হোয়াইটফিল্ড এলাকার রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে ৷ ঘটনায় 10 জন আহত হয়েছিলেন ৷ কয়েকদিন পর তদন্তভার হাতে নেয় এনআইএ ৷ দফায় দফায় কয়েকজন অভিযুক্ত গ্রেফতার হলেও মূল দুই অভিযুক্ত অধরাই ছিলেন ৷ রাজ্যের পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে মিথ্যে পরিচয় দিয়ে গা-ঢাকা দিয়েছিল এই দু'জন । অবশেষে তাঁদের গ্রেফতার করা হল।
আরও পড়ুন: