ETV Bharat / state

ঈদের নমাজ ছেড়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার উদ্ধারকার্যে হাত লাগালেন ইরফান - Kanchanjungha Express Accident

Kanchanjungha Express Train Accident: ট্রেন দুর্ঘটনা হয়েছে শুনেই নামাজ ছেড়ে উঠে এলেন মহম্মদ ইরফান । স্টেশনের কাছে গিয়ে হাত লাগালেন উদ্ধারকার্যে ৷ ময়নাগুড়ির পর রাঙাপানি । ঘটনাস্থল থেকে ইটিভি ভারতের শুভদীপ রায় নন্দী

Kanchanjungha Express Train Accident
কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনাস্থল (নিজস্ব ছবি)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jun 17, 2024, 4:15 PM IST

শিলিগুড়ি/জলপাইগুড়ি, 17 জুন: ঘড়িতে তখন সকাল 8টা বেজে পাঁচ মিনিট ৷ ঈদের নমাজের আয়োজন চলছে । সেই সময়ে বিকট শব্দ । কী হয়েছে ? ট্রেন দুর্ঘটনা ৷ মালগাড়ির ধাক্কায় লাইনচ্যুত কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুটি বগি ৷ খবর পেয়েই নমাজ ছেড়ে উঠে পড়লেন মহম্মদ ইরফান ৷ দৌঁড়ে চলে এলেন ঘটনাস্থল ফাঁসিদেওয়া এলাকার রাঙাপানি স্টেশনে ৷ কোনও দিক না দেখে নিজের জীবনের বাজি রেখে ঝাঁপিয়ে পড়লেন ট্রেনে আটকে পড়া যাত্রীদের উদ্ধার কাজে ৷ শুধু কী ইরফান ! অন্যের প্রাণ বাঁচাতে মুহূর্তের মধ্যে ঘটনাস্থলে ছুটে এলেন আরও জনা 50 আশেপাশের এলাকার মানুষ ৷ ময়নাগুড়ির ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার পর এবার রাঙাপানি ৷ বিপদের সময় 'মসিহা' বা ভগবানের দূত সেই স্থানীয় বাসিন্দারাই ৷

প্রত্যক্ষদর্শী তথা স্থানীয় উদ্ধারকারী মহম্মদ ইরফান (ইটিভি ভারত)

প্রত্যক্ষদর্শী তথা স্থানীয় উদ্ধারকারী মহম্মদ ইরফান বলেন, "আমাদের সকালে ঈদের নমাজ চলছিল । সেসময় হঠাৎ বিকট শব্দ শুনতে পাই ৷ ছুটে স্টেশনে চলে আসি । আমরা 20-25 জন ঘটনাস্থলে এসে দেখি ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে । আমরা ট্রেন থেকে গার্ড ও ড্রাইভারের দেহ টেনে বের করি । আরও অনেকে ট্রেনের ভেতরে আটকে ছিলেন ৷ তাঁদেরকে আমাদের পক্ষে বের করা সম্ভব হয়নি । নিউ জলপাইগুড়ি থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসটি শিয়ালদার দিকে যাওয়ার পথে ট্রেনের পেছনে একটি মালগাড়িকে জোড়ে ধাক্কা মারে । আমরা যতটা পেরেছি যাত্রীদের উদ্ধার করেছি ।"

প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, ট্রেন দুর্ঘটনার পর অনেকটা দেরিতে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ ও আরপিএফ ৷ এই সময় এলাকার মানুষরাই উদ্ধার কাজে হাত লাগান ৷ ট্রেনের ধ্বংসাবশেষের মধ্যে থেকে যতজনকে প্রাঁণে বাঁচানো যায় সেই চেষ্টাই করেন তাঁরা ৷ এ দিকে দুর্ঘটনার পর কী করবেন তা নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন ট্রেনের যাত্রীরা । তাঁরা পায়ে হেঁটেই রওনা দেন গাড়ি ধরার উদ্দেশ্যে । স্থানীয়রাই তাঁদেরকে মোটর বাইকে করে কাছাকাছি বাসস্টপ ও রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছে দেন । তবে দুর্ঘটনার কবলে পড়া যাত্রীদের জন্য আলাদা ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয় রেলের তরফে ৷ ঘটনাস্থল থেকে যাত্রীদেরকে ট্রেনে করে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে নামানো হয় ।

Kanchanjunga Express Train Accident
স্থানীয়রাই ছুটে এলেন উদ্ধার কাজে (নিজস্ব ছবি)

ময়নাগুড়ির দোমহনীতে গুয়াহাটি-বিকানের এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনার পর পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে মিলে উদ্ধারকাজ চালিয়েছিলেন সাধারাণ মানুষ । প্রাণের তোয়াক্কা না করে যাত্রীদের উদ্ধারের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন স্থানীয়রা ৷ আজও সেই একই ঘটনা ঘটল ফাঁসি দেওয়ায় । স্থানীয়রা বৃষ্টির মধ্যেই দুর্ঘটনাস্থলে পৌছে উদ্ধারের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়লেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা স্তানীয় উদ্ধারকারীদের ভুয়সী প্রশংসা করেছেন ।

শিলিগুড়ি/জলপাইগুড়ি, 17 জুন: ঘড়িতে তখন সকাল 8টা বেজে পাঁচ মিনিট ৷ ঈদের নমাজের আয়োজন চলছে । সেই সময়ে বিকট শব্দ । কী হয়েছে ? ট্রেন দুর্ঘটনা ৷ মালগাড়ির ধাক্কায় লাইনচ্যুত কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুটি বগি ৷ খবর পেয়েই নমাজ ছেড়ে উঠে পড়লেন মহম্মদ ইরফান ৷ দৌঁড়ে চলে এলেন ঘটনাস্থল ফাঁসিদেওয়া এলাকার রাঙাপানি স্টেশনে ৷ কোনও দিক না দেখে নিজের জীবনের বাজি রেখে ঝাঁপিয়ে পড়লেন ট্রেনে আটকে পড়া যাত্রীদের উদ্ধার কাজে ৷ শুধু কী ইরফান ! অন্যের প্রাণ বাঁচাতে মুহূর্তের মধ্যে ঘটনাস্থলে ছুটে এলেন আরও জনা 50 আশেপাশের এলাকার মানুষ ৷ ময়নাগুড়ির ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার পর এবার রাঙাপানি ৷ বিপদের সময় 'মসিহা' বা ভগবানের দূত সেই স্থানীয় বাসিন্দারাই ৷

প্রত্যক্ষদর্শী তথা স্থানীয় উদ্ধারকারী মহম্মদ ইরফান (ইটিভি ভারত)

প্রত্যক্ষদর্শী তথা স্থানীয় উদ্ধারকারী মহম্মদ ইরফান বলেন, "আমাদের সকালে ঈদের নমাজ চলছিল । সেসময় হঠাৎ বিকট শব্দ শুনতে পাই ৷ ছুটে স্টেশনে চলে আসি । আমরা 20-25 জন ঘটনাস্থলে এসে দেখি ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে । আমরা ট্রেন থেকে গার্ড ও ড্রাইভারের দেহ টেনে বের করি । আরও অনেকে ট্রেনের ভেতরে আটকে ছিলেন ৷ তাঁদেরকে আমাদের পক্ষে বের করা সম্ভব হয়নি । নিউ জলপাইগুড়ি থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসটি শিয়ালদার দিকে যাওয়ার পথে ট্রেনের পেছনে একটি মালগাড়িকে জোড়ে ধাক্কা মারে । আমরা যতটা পেরেছি যাত্রীদের উদ্ধার করেছি ।"

প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, ট্রেন দুর্ঘটনার পর অনেকটা দেরিতে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ ও আরপিএফ ৷ এই সময় এলাকার মানুষরাই উদ্ধার কাজে হাত লাগান ৷ ট্রেনের ধ্বংসাবশেষের মধ্যে থেকে যতজনকে প্রাঁণে বাঁচানো যায় সেই চেষ্টাই করেন তাঁরা ৷ এ দিকে দুর্ঘটনার পর কী করবেন তা নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন ট্রেনের যাত্রীরা । তাঁরা পায়ে হেঁটেই রওনা দেন গাড়ি ধরার উদ্দেশ্যে । স্থানীয়রাই তাঁদেরকে মোটর বাইকে করে কাছাকাছি বাসস্টপ ও রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছে দেন । তবে দুর্ঘটনার কবলে পড়া যাত্রীদের জন্য আলাদা ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয় রেলের তরফে ৷ ঘটনাস্থল থেকে যাত্রীদেরকে ট্রেনে করে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে নামানো হয় ।

Kanchanjunga Express Train Accident
স্থানীয়রাই ছুটে এলেন উদ্ধার কাজে (নিজস্ব ছবি)

ময়নাগুড়ির দোমহনীতে গুয়াহাটি-বিকানের এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনার পর পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে মিলে উদ্ধারকাজ চালিয়েছিলেন সাধারাণ মানুষ । প্রাণের তোয়াক্কা না করে যাত্রীদের উদ্ধারের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন স্থানীয়রা ৷ আজও সেই একই ঘটনা ঘটল ফাঁসি দেওয়ায় । স্থানীয়রা বৃষ্টির মধ্যেই দুর্ঘটনাস্থলে পৌছে উদ্ধারের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়লেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা স্তানীয় উদ্ধারকারীদের ভুয়সী প্রশংসা করেছেন ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.