দার্জিলিং, 25 সেপ্টেম্বর: উৎসবের মরশুমে মদের চাহিদা তুঙ্গে ৷ আর ঠিক সেই মুহূর্তে বাংলায় মদের দাম অনেকটাই বেড়েছে ৷ অভিযোগ, এই পরিস্থিতিতে কর ফাঁকি দিয়ে সিকিম থেকে চোরাপথে মদ ঢুকছে বাংলায় ৷ এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এসেছে আবগারি দফতরের হাতে ৷ যা পুজোর সময় আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে ৷ তাই মদ পাচার রুখতে পাহাড় তথা উত্তরবঙ্গ জুড়ে নজরদারি বাড়াল আবগারি দফতর ৷
বাংলা-সিকিম সীমান্তে নজরদারি ব্যবস্থা আরও আঁটোসাঁটো করা হয়েছে ৷ উল্লেখ্য, বুধবার এক অভিযানে জলপাইগুড়ি আবগারি দফতরের আধিকারিকরা বারোশো লিটারের বেশি মদ বাজেয়াপ্ত করেছে ৷ জানা গিয়েছে, মদের সেই পেটিগুলি সিকিম থেকে চোরাপথে বাংলায় পাচার করা হয়েছিল ৷ ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে ৷ উদ্ধার হওয়া মদের বাজারমূল্য আনুমানিক সাড়ে দশ লক্ষ টাকা ৷ পাচারে ব্যবহার হওয়া গাড়িটিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৷
আবগারি দফতর সূত্রে খবর, সিকিম থেকে কর ফাঁকি দিয়ে বিপুল পরিমাণ মদ পাহাড় হয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পাচারের পরিকল্পনা করেছে পাচারকারীরা ৷ এই খবর পেতেই দার্জিলিংয়ের ঘুমের মানেভঞ্জন এলাকায় ফাঁদ পাতে আবগারি দফতর ৷ এরপর ভোরে সন্দেহভাজন একটি পিকআপ ভ্যানকে মানেভঞ্জন এলাকায় আটকানোর চেষ্টা হয় ৷ কিন্তু, প্রবল বৃষ্টির কারণে চালক গাড়ি নিয়ে পালাতে সক্ষম হন ৷ এরপর আবগারি দফতরের কর্মীরা গাড়িটিকে ধাওয়া করে কার্শিয়াংয়ের কাছে মকাইবাড়ি চা-বাগানের কাছে আটক করে ৷ সেখানেই গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় বারোশো লিটার সিকিমের মদ উদ্ধার করা হয় ৷ ঘটনায় ধৃত দুই পাচারকারী সন্দীপ রাই এবং প্রজ্ঞান রাই বিজনবাড়ির বাসিন্দা ৷
এদিন জলপাইগুড়ি আবগারি ডিভিশনের বিশেষ কমিশনার সুজিত দাস বলেন, "সিকিমে যেহেতু মদের উপর কর কম লাগু করা হয়, আর বাংলায় সম্প্রতি মদের দাম বেড়েছে, সেকারণে সিকিম থেকে মদ পাহাড় হয়ে রাজ্যে প্রবেশের প্রবণতা বেড়েছে ৷ যে কারণে গোটা উত্তরবঙ্গ জুড়ে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে ৷ প্রত্যেক জেলার আধিকারিকদের নিজেদের নেটওয়ার্ক আরও সক্রিয় করতে বলা হয়েছে ৷"