কলকাতা, 14 সেপ্টেম্বর: আচমকার সল্টলেক স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থানরত জুনিয়র চিকিৎসকদের মঞ্চে শনিবার পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে তিনি আন্দোলনরত চিকিৎসকদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে আরজি কর-সহ রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন। তা নিয়ে তীব্র আক্রমণ করেছেন রাজ্যের বামপন্থী নেতারা।
সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, "উনি আজ রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দিলেন। এটা নতুন কী ? উনি যখন যা কিছু মনে করেন সেটাই করেন। আরজি করে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান কে ? সুদীপ্ত রায় ! কদিন আগেও শান্তনু সেন ছিলেন। ফলে কখন সুদীপ্ত রায়, কখন শান্তনু সেন কোন ফর্মুলায় কে দায়িত্বে আসেন তা বোঝা বড় কঠিন। ওঁর যখন ইচ্ছা হবে গড়ে তুলবেন আবার যখন ইচ্ছা হবে ভেঙে ফেলবেন। এসব দেখিয়ে লাভ নেই।"
লালবাজারগামী ফিয়ারস লেনের অবস্থানরত বামপন্থীদের মঞ্চ থেকে সিপিআই রাজ্য সম্পাদক স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জুনিয়র ডাক্তারদের সল্টলেকের ধর্নামঞ্চে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে গোল গোল কথা বলে এসেছেন। পাশাপাশি এটাও শোনা যাচ্ছে ওই ধর্না মঞ্চে বহিরাগত বা ডাক্তার ছাড়া অন্য কাউকে ঢুকতে বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। পুলিশ এলাকাটা ঘিরে রেখেছে। সেখানে ঢুকতে গেলে পুলিশের অনুমতির প্রয়োজন। এটা করে আন্দোলনর রোখা যাবে না। গত এক মাস ধরে রাজ্যের সাধারণ মানুষের আন্দোলনের চেহারা দেখেছি তা আমার রাজনৈতিক জীবনে আগে কখনও দেখিনি। বিচারের দাবিতে সুন্দরবনের মেয়েরা মাঝ নদীতে মোমবাতি জ্বালিয়ে আন্দোলন করেছেন-এটা নবজাগরণ। এই প্রতিবাদ রোখা যাবে না।"
কলতান দাশগুপ্তের প্রসঙ্গ টেনে সিপিএম নেত্রী তথা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা নন্দিনী মুখোপাধ্যায় মমতাকে তীব্র কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, "কলতানকে গ্রেফতার করিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘৃণ্য রাজনীতির পরিচয় দিলেন। আরজি করে যা ঘটেছে তা ওঁর বাড়ির বা পরিবারের কোনও মেয়ের সঙ্গে ঘটলে তখন উনি কী করতেন ! যাদবপুরের পড়ুয়ারা রান্না করে অবস্থানরত জুনিয়র ডাক্তারদের খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন। এখন সেখানেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। "