আসানসোল, 22 নভেম্বর: রাজ্যে আলুর দাম বৃদ্ধি ও ভিন রাজ্যে আলু রফতানি করা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । বৃহস্পতিবার নবান্নে বৈঠক করে ভিন রাজ্যে পাঠানো আলুর লরির উপর নজরদারি চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী । কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে তোয়াক্কা না করেই বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানায় কোনও নজরদারিই দেখা যাচ্ছে না । হাট করে খোলা 19 নম্বর জাতীয় সড়কে বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানায় ডুবুরডি চেকপোস্ট । এই রাজ্য থেকে ভিন রাজ্যে জাতীয় সড়ক দিয়ে সার সার পেরোচ্ছে লরি ।
কিছুতেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না আলুর দাম । যার কারণ খুঁজতে গিয়ে খোদ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তিনি জানিয়েছেন, তাঁকে না-জানিয়েই আলু বাইরে রফতানি করে দেওয়া হচ্ছে । আর সেই কারণেই রাজ্য আলুর দাম বাড়ছে । তিনি অবিলম্বে টাস্কফোর্স গঠন করে কেন এই ধরনের কাজ হচ্ছে এবং হিমঘরের থেকে আলু বের করা নিয়ে কেন বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, তা খবর নিতে বলেছেন ।
পাশাপাশি এই রাজ্য থেকে যাতে বাইরের রাজ্যে আলু না-যায়, তা নিয়ে রাজ্যের সীমাগুলিতে নজরদারি চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী । কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশিকাকে তোয়াক্কা না-করেই দিব্যি রাজ্য থেকে শয়ে-শয়ে লরি বিনা নজরদারিতেই চলে যাচ্ছে ভিন রাজ্যে । এমনই চিত্র ধরা পড়লে ইটিভি ভারতের ক্যামেরায় । লরি চালকরা জানান, সীমানায় কোনও চেকিং হচ্ছে না ৷
বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানায় ডুবরডি চেকপোস্টে গিয়ে দেখা গেল এই রাজ্য থেকে সার সার লরি চলে যাচ্ছে ভিন রাজ্যে । লরিগুলিতে কী যাচ্ছে, তা নিয়ে কোনও নজরদারি নেই । মাত্র কয়েকজন সিভিক ভলান্টিয়ার দাঁড়িয়ে আছে বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানায় । কোনও উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকদেরও দেখা যাচ্ছে না । কুলটি থানা কিংবা চৌরঙ্গী ফাঁড়ি, যাঁরা ডুবুরডি চেকপোস্টে এই বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানার দায়িত্বে থাকেন, সেই থানার বড় আধিকারিকদেরও নজরদারি চালাতে দেখা যাচ্ছে না ।
কুলটি ট্রাফিক গার্ডের পক্ষ থেকেও কোনও মন্তব্য করতে বা কোনও কিছু জানাতে অস্বীকার করা হয়েছে । কুলটি থানার এক আধিকারিক বলেন, ‘‘আমাদের অ্যান্টি ক্রাইম নাকা চলছে ৷ আলুর গাড়ি ধরার সংক্রান্ত নির্দেশিকা এখনও আসেনি ৷’’ যদিও পুলিশের একাংশের মতে, এখনও কোনও নির্দেশিকা তাদের কাছে এসে পৌঁছায়নি, সেই কারণেই বাংলা ঝাড়খন্ড সীমায় নজরদারি সেই ভাবে চালানো হচ্ছে না । যদিও বেলা বাড়লেই এই নজরদারি শুরু হয়ে যাবে বলে মনে করছে পুলিশের একাংশ ।