কলকাতা, 18 মার্চ: গার্ডেনরিচে কাজে এসে প্রাণ হারালেন ওই বহুতল নির্মাণের সঙ্গেই যুক্ত দুই শ্রমিক ৷ রবিবার রাত 11টায় বাড়ির দোতলায় একই বিছানায় খাওয়া দাওয়া সেরে ঘুমোচ্ছিলেন তাঁরা। আচমকাই বিরাট শব্দ ৷ তারপর সব শেষ। কাজে এসে এভাবেই প্রাণ হারালেন মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলার বাসিন্দা শেখ নাসিমুদ্দিন (24) এবং তাঁর ভগ্নিপতী হুগলির খানাকুলের শেখ আবদুল্লার (18)। নাসিমুদ্দিনের বাড়িতে বাবা-মা ছাড়াও রয়েছেন তাঁর স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে ৷ আবদুল্লার বাড়িতেও রয়েছেন বাবা, মা ও স্ত্রী । 20-25 দিন আগে ভাইরা ভাই আবদুলকে সঙ্গে নিয়ে গার্ডেনরিচের এই বহুতলে রাজমিস্ত্রির কাজে এসেছিলেন নাসিমুদ্দিন। কিন্তু আর বাড়ি ফেরা হল না তাঁদের।
সোমবার সন্ধ্যায় দু'জনের দেহ উদ্ধার করে বিপর্যয় মোকাবিলা দল। তৎক্ষণাৎ নিয়ে আসা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানেই দু'জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। খবর পেয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে আসেন নাসিমুদ্দিনের মামা শাহিউল শেখ ৷ তিনি বলেন, "আমাদের গ্রামের আরও অন্যান্যরা গার্ডেনরিচের আরেকটি জায়গায় কাজে এসেছিল। তারাই আমাদের ফোন করে বলে যে বিল্ডিংয়ে নাসিমুদ্দিনরা ঘুমোচ্ছিল তা ভেঙে পড়েছে। খবর পেয়েই আমরা কলকাতায় আসি।"
অন্যদিকে একাধিকবার চেষ্টা করেও ফোনে পাচ্ছিলেন না আবদুল্লার পরিবার। প্রথমে তাঁরা আসেন এসএসকেএম হাসপাতালে। তারপর খোঁজ না-পেয়ে পুলিশে যান। পরবর্তীতে দেহ উদ্ধার করা হয় আবদুল্লার। আবদুল্লার এক আত্মীয় শেখ সেলিম জানান, জব্বলপুরে সোনার কাজ করতে গিয়েছিলেন তিনি। পরবর্তীতে বাজার মন্দা যাওয়ায় কলকাতায় নিজের বাড়িতে ফিরে আসেন । তারপর নাসিমুদ্দিনের সঙ্গে কলকাতায় আসেন রাজমিস্ত্রির কাজে ।
প্রসঙ্গত, গার্ডেনরিচে এক বহুতল নির্মীয়মাণ ভেঙে আহত একাধিক। এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা 9 । এসএসকেএম হাসপাতাল এবং গার্ডেনরিচের স্থানীয় বেসরকারি এক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন একাধিক জন।
আরও পড়ুন :