কলকাতা, 12 অক্টোবর: আরজি করের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল সরকার। বিজয়া দশমীর অনুষ্ঠান থেকে শনিবার এমনই দাবি করেন আরএসএস প্রধান। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আক্রমণ ফিরিয়ে দিল তৃণমূল।
এক ভিডিয়ো বার্তায় তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ দাবি করেন, আরজি কর নিয়ে কথা বলার আগে মোহন ভগবতের উচিত বিজেপি শাসিত বিভিন্ন রাজ্যকে মানুষ করা।
প্রথমে ফেসবুকে পরে এক ভিডিয়ো বার্তায় বিজেপি শাসিত রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি তুলে ধরে ভগবতকে আক্রমণ করেন কুণাল। গত কয়েক বছরে দেশের একাধিক স্থানে হওয়া কয়েকটি ধর্ষণের ঘটনার কথাও তুলে ধরেন তৃণমূল নেতা। তাঁর কথায়, "আপনি (মোহন ভগবত) আরজি কর নিয়ে কথা বলছেন! অথচ উন্নাও হাসরথ বা বদলাপুর নিয়ে কথা বলছেন না। এসব ঘটনা যখন ঘটে আপনার বিবেক তখন কোথাও থাকে! একের পর এক বিজেপি শাসিত এলাকায় ধর্ষণ ও খুন হচ্ছে। আপনি যদি রামায়ন-মহাভারত নিয়ে কথা বলতে চান তাহলে আপনার উচিত আগে বিজেপি শাসিত রাজ্যকে মানুষ করা! উন্নাও-হাসরথ হবে অথচ আপনার বিবেক শুধু পশ্চিমবঙ্গের বিরুদ্ধে কাঁদবে, সেটা হতে পারে না।"
ভিডিয়ো বার্তায় ঘুরপথে কলকাতা পুলিশের তদন্তের প্রশংসাও করেন কুণাল। তাঁর কথায়, "কলকাতার ঘটনার আমরা সবাই নিন্দা করছি । মুখ্যমন্ত্রী পদক্ষেপ করছেন। ঘটনার 24 ঘণ্টার মধ্যে কলকাতা পুলিশ যাকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই 58 দিন বাদে তার নামেই চার্জশিট দিয়েছে। ধর্ষণ আসলে সামাজিক অপরাধ।"
এদিন দুপুরে নাগপুরে দশমীর একটি অনুষ্ঠানে আরএসএস প্রধান আরজিকরের ঘটনার সঙ্গে দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণের তুলনা করেন। মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তিনি সরাসরি পৌরাণিক উদাহরণ টেনে আনেন। আরজি কর প্রসঙ্গ তুলে মোহন ভগবতের প্রশ্ন ছিল, ভারতীয় সংস্কৃতি চিরকাল মাতৃশক্তির আরাধনা করে এসেছে। যখন সীতার হরণ হয়েছে তখনই রামায়ণ হয়েছে। দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণের ঘটনার পরে মহাভারতের যুদ্ধ হয়েছে। সেই ভারতে কী করে এমন ঘটনা ঘটতে পারে?
ভিডিয়োর একটি অংশে এই প্রসঙ্গে কুণাল বলেন, "যেখানে বিজেপির হাতে পুলিশ, সেখানে পরের পর ঘটনা ঘটার সময়ে আপনার বিবেক জাগে না, তখন সীতা বা দ্রৌপদীর কথা মনে পড়ে না! আরএসএস নয়, আপনাকে সরাসরি বিজেপি নেতাই মনে হল।"