সন্দেশখালি, 26 এপ্রিল: সন্দেশখালিতে এনএসজি অপারেশন নিয়ে এবার রাজনৈতিক তরজা চরমে উঠল ৷ সন্দেশখালি ইস্যুকে কার্যত ভোটের মুখে জিইয়ে রাখার জন্য 'পরিকল্পিত চক্রান্ত' করা হচ্ছে বলে সরাসরি বিজেপির দিকে আঙুল তুলল তৃণমূল ৷ পালটা সন্দেশখালির পরিস্থিতি ক্রমে বিপজ্জনক মোড় নিচ্ছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ৷
শুক্রবার দ্বিতীয় দফার ভোটের দিনই সন্দেশখালিতে সক্রিয় হয়ে ওঠে সিবিআই ৷ সকাল থেকেই এলাকার বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ৷ আর সেই অভিযানের সময়ই এলাকার একটি ঘর থেকে বিস্ফোরক এবং অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে ৷ এরপরই বেলা গড়াতে সন্দেশখালির গ্রাউন্ড জিরোতে নামে এনএসজি কমান্ডো ৷ এরপরই গোটা ঘটনায় বিজেপির দিকে আঙুল তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ রাজ্যের শাসকদলের তরফে কুণাল ঘোষ গোটা ঘটনার জন্য বিজেপির দিকেই আঙুল তুলেছেন ৷ এদিন তিনি বলেন, "অতিনাটকীয় কাজকর্ম করে ভোট প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে দিল্লির তরফে। আগাম সাজানো নাটক মঞ্চস্থ হচ্ছে। যন্ত্র নামিয়ে, খবর ছড়িয়ে বাজার গরম করছে। পুলিশের আরও সতর্ক থাকা দরকার।"
অন্যদিকে, গঙ্গারামপুরে রাজ্য বিজেপি সভাপতি তথা বালুরঘাট লোকসভার প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার পালটা বলেন, "সন্দেশখালি একটি বিপজ্জনক মোড়ের দিকে যাচ্ছে। প্রথমে, মহিলাদের ধর্ষণ নিয়ে বিতর্ক ছিল, তারপরে মাদক এসেছে এবং এখন আমরা সেখান থেকে অস্ত্র উদ্ধারের খবর পাওয়া গিয়েছে ৷ উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের বেশির ভাগই বিদেশি, মানে বাইরে থেকে আমদানি করা হয়েছে ! এইসব কেন্দ্রীয় সংস্থাকে তদন্ত করতে হবে।"
এদিন বিজেপির পাশাপাশি সিপিএমকেও দুষেছেন কুণাল ঘোষ ৷ তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, "সিপিএম সন্দেশখালি নিয়ে যেন কথা না বলে। মহাকরণ, লালবাজারের পাশেই বৌবাজারে রশিদের বাড়িতে আরডিএক্স বিস্ফোরণ হয়েছিল। শতাধিক হতাহত হয়েছিলেন। নয়ের দশকেই বাংলাকে, খোদ কলকাতাকে জঙ্গিদের ডেরা বানিয়েছিল সিপিএম। ভুলে গেলে চলবে কমরেড ?" যার পালটা এদিন সিপিএম নেতা নিরাপদ সর্দার বলেন, "এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় কোথায় গেলেন ! উনি তো বলছেন পাহাদার ৷ এত অস্ত্র মাটির তলায় শেখ শাহজাহানের ঘণিষ্ঠের বাড়িতে মাটির নীচে পুতে রেখেছিল তো পাহারাদার কোথায় ছিলেন ? এরকম আগ্নেয়াস্ত্র আরও ধরা পড়বে যদি তল্লাশি চালানো হয় ৷ এই অস্ত্র দিয়েই মানুষকে ভয় দেখিয়ে সন্ত্রস্ত করে রাখা হত ৷ পুলিশও তাদের সঙ্গেই ছিল ৷ পুলিশকে কেন মানুষ বিশ্বাস করবে ? আরও তদন্ত প্রয়োজন ৷ আরও অস্ত্র এরকম মিলবে ৷"
আরও পড়ুন: