কলকাতা, 8 ফেব্রুয়ারি: আগামী সপ্তাহেই বাগদেবীর আরাধনায় মেতে উঠবে শিশু থেকে শুরু করে বড়রা ৷ কুমোরটুলির সরস্বতী প্রতিমা পৌঁছে যাবে বাড়ি থেকে বিভিন্ন স্কুল-কলেজে ৷ হাতে তাই সময় খুব কম ৷ চরম ব্যস্ততা কুমোরটুলিতে ৷ তবে এরই মধ্যে বাধ সেধেছে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা ৷ যেখানে জানুয়ারি মাসে রোদ ঝলমলে আকাশ দেখতে অভ্যস্ত সকলে ৷ সেখানে বেশ কয়েকদিন মুখ ভার আকাশের, দেখা মিলেছে বৃষ্টিরও ৷ আর তাতেই বেশ সমস্যায় পরতে হচ্ছে মৃৎশিল্পীদের ৷
কুমোরটুলিতে এই মুহূর্তে কোথাও অবিরাম ঘুরে চলেছে প্রতিমার দিকে মুখ করে লাগানো স্ট্যান্ড ফ্যান । কোথাও কাঁচামাটি শুকনো করার চেষ্টা করা হচ্ছে । কোথাওবা চলছে প্রাথমিক সাদা রঙের পলেপ, আবার কোথায় প্রতিমার সাজসজ্জা । সময়ে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ করতে এই ব্যস্ততা কুমোরটুলির শিল্পী ও কারিগরদের । এ বছর একটু দেরি করেই সরস্বতী পুজোর কাজে নেমেছে কুমোরটুলির শিল্পীমহল । এর মধ্যে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় জেরে বেশ কয়েকদিন কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছিল শিল্পীদের । একদিকে দেরিতে কাজ শুরু অন্যদিকে অকাল মেঘ-জল ৷ এখন তাই মারাত্মক চাপের মুখে শিল্পী-কারিগররা ৷ দম ফেলার ফুরসত নেই তাঁদের ।
শিল্পী সুজিত পালের কথায়, "একটু দেরি করে কাজে নেমেছিলাম কারণ সরস্বতী প্রতিমার বাজার যত ভালোই হোক লাভের অংক কম থাকে । তবে বর্ষা ও মেঘলা আকাশের জেরে সমস্যা বাড়ল । এখন হাতে দিন চার, পাঁচ আছে । দিন রাত এক করে কাজ করছি ৷ আশা করছি কাজ শেষ হয়ে যাবে ।"
আরেক শিল্পী জয়ন্ত পাল জানাচ্ছেন, এখন আর মানুষের হতে বেশি সময় নেই । আগে একদিন এসে বায়না করে যেত । আরেকদিন এসে নিয়ে যেত ঠাকুর । কিন্তু এখন আর আগে এসে বায়না করে না । পুরনো গ্রাহকরা প্রতিবার ফোনেই প্রতিমার বরাত দেন । টাকাও অনলাইনেই পাঠান । একটা বড় অংশের ক্রেতা পুজোর আগের দু'দিন এসে এক্কেবারে দামদর করে প্রতিমা নিয়ে চলে যায় । অনেকেই এখন একটু আগে নিয়ে প্রতিমা নিয়ে চলে যেতে চান । সবটাই হাতে সময় কমের জন্য । শুধু মৃৎশিল্পী নয়, সাজ শিল্পীদের মধ্যেও এখন চূড়ান্ত ব্যস্ততা । তারা শোলা কাটা থেকে নকশা তৈরিতে ব্যস্ত ।
আরও পড়ুন: