কলকাতা, 1 অক্টোবর: বুধবার মহালয়া ৷ তার আগের দিন কলকাতার রাজপথে নামলেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। তাঁদের গলায় একটাই স্বর 'জাস্টিস ফর আরজি কর'। ন্যায় বিচারের দাবি নিয়ে কলেজ স্কোয়ার থেকে রবীন্দ্র সদন পর্যন্ত মিছিল করেন। এই মিছিলে সামিল হয়েছেন বহু সিনিয়র চিকিৎসক।তাঁরা জানান, জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের পাশে রয়েছেন । যে কোনও সিদ্ধান্তেই তাঁরা জুনিয়র চিকিৎসকদের সমর্থন করছেন ৷
চিকিৎসক উৎপল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "সরকার নিজের ব্যর্থতার দায়ে জুনিয়র চিকিৎসকদের উপর চাপাতে চাইছে। এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সঙ্গে চিকিৎসক সমাজের বিরোধ লাগাতে চাইছে। জুনিয়র চিকিৎসকরা বর্তমানে আতঙ্কিত।"
উৎপল বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, "সরকারের দায়িত্ব জুনিয়র চিকিৎসকদের আস্থা অর্জন করা ও তাঁদের নিরাপদ ও নির্ভয়ে থাকার ব্যবস্থা করা। বাংলার শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের উৎসব সেই দিনই শুরু হবে যেদিন আরজি করের নির্যাতিতা সঠিক ও ন্যায় বিচার পাবেন। আর তা না-মেলা আমরা পর্যন্ত রাস্তাতেই আছি, রাস্তাতেই থাকব।"
চিকিৎসক তমোনশ চৌধুরী বলেন, "রাজ্য সরকারের আশ্বাসবাণীর কোনওটাই পূরণ হয়নি। জুনিয়র চিকিৎসকরা কাজ করতে উৎসাহী। কিন্তু নিরাপত্তাহীন জায়গায় কীভাবে তাঁদের কাজ করতে উৎসাহ জোগাতে পারি আমরা? কাজের পরিবেশ তৈরি করুক রাজ্য সরকার। আমরা প্রতিবাদের উৎসবে আছি। ঘৃণার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের উৎসবে আছি আমরা।"
তবে অন্য সুর শোনা গেল চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামীর গলায়। জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনকে সমর্থন করেও কর্মবিরতির বিকল্প খুঁজতে অনুরোধ করেছেন। তিনি বলেন, "দ্বিতীয়বার কর্মবিরতির ডাক যে কারণে দেওয়া হয়েছে তা খুবই ন্যায়সঙ্গত। এই সরকারের কোনও অধিকার নেই চিকিৎসকদের কাজে ফেরার কথা বলা। আমরা যেমন সাধারণ গরিব মানুষকে পরিষেবা দিয়েই ন্যায় বিচারের দাবিতে রাস্তায় নেমেছি, আন্দোলন করছি, ঠিক তেমনি কর্ম বিরতির বিকল্প হিসেবে অন্য কোনও পথ অবলম্বন করা জুনিয়র চিকিৎসকদের পক্ষে ভালো হবে বলে মনে করি।"
বিচারের দাবিতে 54দিনের মাথায়, ডাক্তারদের ডাকা মহামিছিলে এদিন সামিল ছিলেন, রাজ্যসভার প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ জওহর সরকার ৷ তিনি বলেন, "আরজি কর কাণ্ডে প্রশাসনিক গাফিলতি রয়েছে তাই তো এত বড় পদ আমাকে ত্যাগ করতে হল ৷"