কলকাতা, 4 সেপ্টেম্বর: এসেছে শরৎ, হিমের পরশ...। বর্তমান আবহের প্রেক্ষাপটে এই লাইনটা শুধুই বইয়ের পাতায় নয়, বঙ্গজীবনে আর্দ্রতাজনিত ভ্যাপসা গরম যেন গ্রীষ্মের ভ্রুকুটি ৷ হয়তো বৈশাখের প্রখর তাপের সঙ্গে তুলনীয় নয়, তবে গরমের অনুভূতি যথেষ্ট ৷ রাজ্যে কোথাও কেমন দু-এক পশলা বৃষ্টি হলেও ভ্যাপসা গরম থেকে এখনই নিস্তার নেই বঙ্গবাসীর ৷ আজ বুধবার দিনের আকাশ সাধারণ মেঘলা থাকবে ৷ কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা 33 ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন 28 ডিগ্রির আশেপাশে থাকবে ৷
কয়েকদিন আগেও সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ স্বাভাবিকের অনেকটা নীচে চলে গিয়েছিল ৷ তিরিশ ডিগ্রির নীচে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা নেমে ছিল বৃষ্টি পরিস্থিতির কারণে ৷ কিন্তু চলতি মাসের শুরু থেকেই সেভাবে বৃষ্টির দেখা নেই ৷ শরতের নীল আকাশ, পেজা তুলোর মত মেঘে বর্ষা বিদায়ের সুর ৷ যদিও আলিপুর আবহাওয়া দফতর বর্ষা বিদায় নিয়েছে, এমনটা বলতে এত তাড়াতাড়ি রাজি নয় ৷ বরং খুচরো বৃষ্টির হাত ধরে বর্ষা চলতি মাসের শেষ বা অক্টোবর মাসের প্রথম চলবে বলেই মনে করা হচ্ছে ৷
অগস্ট মাস জুড়ে বৃষ্টি পরিস্থিতি ছিল গাঙ্গেয় বঙ্গে ৷ নিম্নচাপ ও সক্রিয় মৌসুমী অক্ষরেখার সৌজন্যে দক্ষিণবঙ্গ প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে ৷ কিন্তু চলতি মাসে বঙ্গের উপকুলে নিম্নচাপের ভ্রুকুটি নেই ৷ ঘনীভুত হচ্ছে না ঘূর্ণাবর্ত ৷ তবে আবহবিদরা বলছেন, নিম্নচাপ ঘনীভূত হতে পারে ৷ সেই সম্ভাবনা এখনও দূর হয়নি। আপাতত চলতি সপ্তাহে হালকা মাঝারি বৃষ্টিতে ভিজবে দক্ষিণবঙ্গ। বজ্রবিদ্যুত-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিতে বাড়তি শঙ্কা হিসেবে বজ্রপাত হতে পারে ৷
উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টির ছবিটাও একইরকম। সেখানেও হালকা মাঝারি বৃষ্টি সঙ্গে বজ্রবিদ্যুতের সম্ভাবনা রয়েছে কোনও কোনও এলাকায়। ফলে গরম বাড়ছে পাহাড় এবং সমতলে ৷ যেহেতু বাতাসে জলীয় বাষ্পের উপস্থিতি যথেষ্ট, তাই ভ্যাপসা গরমে জেরবার রাজ্যবাসী। বেলায় রোদের তাপ যথেষ্টই চড়া ৷ যা শরতের প্রত্যাশিত আবহ নয়, বরং বেলাশেষের গ্রীষ্মের ছবি ৷
মঙ্গলবার কলকাতা এবং তৎপ্বার্শবর্তী অঞ্চলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল 33.9 ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে 1.5 ডিগ্রি বেশি ৷ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা 28.3 ডিগ্রি সেলসিয়াস ৷ স্বাভাবিকের চেয়ে 2 ডিগ্রি বেশি ৷ বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল সর্বোচ্চ 92 শতাংশ এবং সর্বনিম্ন 62 শতাংশ।