কলকাতা, 27 অগস্ট: 'পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজে'র নবান্ন অভিযান রুখতে কলকাতা ও হাওড়া কমিশনারেটের প্রস্তুতি চোখে পড়ার মতো ৷ যেখানে প্রথমবার চমক দিল কলকাতা পুলিশ ৷ ব্যারিকেড হিসেবে ব্যবহার করা হয় কন্টেনার ৷ মালবহনকারী কন্টেনার দিয়ে রাস্তা আটকানো হয় কলকাতা পুলিশের তরফে ৷ লোহার গার্ডরেলের সঙ্গেই এই কন্টেনার ব্যবহার করা হয় দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে ওঠার রাস্তাগুলি বন্ধ করতে ৷
আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে 'পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজে'র ডাকা নবান্ন অভিযান রুখতে বদ্ধপরিকর কলকাতা পুলিশ ৷ কলকাতার দিক থেকে নবান্নের দিকে যাওয়া মিছিল আটকাতে হেস্টিংসের মোড়ে লোহার গার্ডরেল ও ওয়াল দিয়ে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর দিকে যাওয়া রাস্তাগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয় ৷ সেখানেই দেখা গেল ক্রেন দিয়ে বড়-বড় কন্টেনার নিয়ে রাস্তার উপর রাখে পুলিশ ৷ মজবুত করে গার্ডরেল দিয়ে ব্যারিকেড করার পর, সামনে কন্টেনার দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয় ৷
উল্লেখ্য, এর আগে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির নবান্ন অভিযানের সময় পুলিশ প্রশাসনকে রাস্তা খুঁড়ে ব্যারিকেড দিতে দেখা গিয়েছিল ৷ রাস্তায় গর্ত খুঁড়ে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে মজবুত ব্যারিকেড তৈরি করা হয় ৷ এমনকি গত কয়েকবছরে বিজেপির বেশকিছু নবান্ন অভিযানে লোহার ব্যারিকেডকে ঝালাই করে জুড়ে পোক্ত ব্যারিকেড দিতে দেখা গিয়েছে পুলিশকে ৷ সেই সময় কিছু ক্ষেত্রে সাফল্য এলেও, মাঝে মধ্যেই মিছিলকারীরা সেই সব ব্যারিকেড ভেঙে অথবা টপকে যেতে সফল হয় ৷
ফলে এবার আর তেমন কোনও ঝুঁকি নিতে চায়নি কলকাতা পুলিশ ৷ হেস্টিংসের মোড় ও সেখান থেকে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর মুখে ব্যারিকেডের সামনে কন্টেনার রেখে দেওয়া হয়েছে ৷ যাতে ব্যারিকেড ঠেলে সহজে নবান্নমুখী দ্বিতীয় হুগলি সেতুর উপর উঠতে না পারেন আন্দোলনকারীরা ৷ আর এই পুরো বিষয়টি নজরদারি করছেন কলকাতা পুলিশের ডিসি সাউথ প্রিয়ব্রত রায় ৷ আর তাঁর সঙ্গে রয়েছেন ডেপুটি কমিশনার পদের এক আধিকারিক ৷