কলকাতা, 30 অক্টোবর: মহানগরের কালীপুজোগুলিতে ডিজে বাজানোর উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল লালবাজার ৷ প্রতিটি থানাকে এই নিয়ে বিশেষ নির্দেশ পাঠিয়েছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ কুমার ভার্মা ৷ পুলিশি নির্দেশ উপেক্ষা করলে পুজো কমিটিগুলির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাও নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে লালবাজার ৷
পুজো মণ্ডপে লাউডস্পিকারের ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের গান বাজানোর চল বহুদিনের ৷ ইদানীং এর সঙ্গে ডিজে বাজানোও শুরু হয়েছে ৷ এর জেরে দীপাবলির রাতে শব্দদূষণের অভিযোগ ওঠে ৷ সেই অভিযোগকে সামাল দিতেই এবার আগে থেকেই ব্যবস্থা নিল কলকাতা পুলিশ ৷
তবে শুধু ডিজে বাজানো নিয়ে নয়, কলকাতার নগরপালের তরফে কালীপুজোর রাতে শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে একাধিক ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে ৷ প্রত্যেকটি থানার অফিসার ইনচার্জ এবং অতিরিক্ত অফিসার ইনচার্জদের নিজ নিজ থানা এলাকায় বিশেষভাবে নজরদারি বন্দোবস্ত করা হয়েছে ।
এছাড়াও পুজো উপলক্ষে কোনও জায়গায় যাতে কোনোরকমের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তার জন্য পুজোর দিন প্রায় দেড় হাজার পুলিশ রাস্তায় মোতায়েন থাকবে । এছাড়াও কোনোরকমের বড়সড়ো অঘটন আটকাতে সকাল থেকেই বিভিন্ন থানায় মজুত রাখা হবে র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স, হেভি রেডিয়ো ফ্লাইং স্কোয়াডের মতো বিশেষ বাহিনীকে ।
লালবাজার সূত্রের খবর, কালীপুজোর দিন ও পুজোর পরের দিন গঙ্গাবক্ষে বিশেষ ভাবে নজরদারি চালাবে কলকাতা পুলিশ । জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই 50 জনের বেশি সাঁতারু, 25টি বোট-সহ একাধিক সামগ্রীর বন্দোবস্ত করা হয়েছে । কালীপুজোর দিন কিংবা দেওয়ালির দিন গঙ্গায় যাতে প্রতিমা বিসর্জন করতে গিয়ে কেউ তলিয়ে না যায় বা অন্য কোনও অঘটন না ঘটে, তার জন্য কলকাতা পুলিশের ডিএমজি ও বাড়তি বাহিনীকে কাজে লাগানো হচ্ছে ।
তাছাড়া এই সময় সাইবার অপরাধীদের থেকেও সতর্ক থাকা উচিত বলে মনে করেন কলকাতা পুলিশের নগরপাল মনোজ কুমার ভার্মা ৷ সম্প্রতি তিনি এই নিয়ে জানান, এই দিওয়ালি কিংবা কালীপুজোকে উপলক্ষ করে সাইবার অপরাধীরা সাইবার অপরাধ করতে মরিয়া চেষ্টা করবে । তার জন্য সাধারণ মানুষকে জিনিসপত্র কেনাকাটার সময় কিউআর কোড স্ক্যান করার আগে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে ।