কলকাতা, 15 মার্চ: রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে আচমকাই তৎপরতা দেখা গেল কলকাতা পুলিশের মধ্যে ৷ লালবাজার সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের তরফে কলকাতা পুলিশের অধীনস্থ প্রত্যেকটি থানার অফিসার ইনচার্জ এবং অতিরিক্ত অফিসার ইনচার্জদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ তাতে বলা হয়েছে, গত 2019 সাল থেকে শহরের কোন কোন থানায় কতগুলি রেশন দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে, তার তদন্ত কীভাবে আর কোন পথে এগোচ্ছে, সেই বিষয়টি বিস্তারিত জানতে হবে ৷
কলকাতা পুলিশ সূত্রের খবর, 2019 সালে রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে বালিগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছিল ৷ কিন্তু শহরের আর কোন থানায় এই ঘটনায় অভিযোগ জমা পড়েছে, তা জানতে চায় লালবাজার ৷ পাশাপাশি সেই সব বিষয়ে তদন্ত কীভাবে করা হয়েছে, সেই বিষয়টিও ৷
ইতিমধ্যে রেশন বণ্টন দুর্নীতি কাণ্ডে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটর গোয়েন্দারা তদন্ত শুরু করেছে ৷ সেই দুর্নীতিতে প্রথমে উত্তর 24 পরগনার ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে ইডি ৷ পরে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্য়োতিপ্রিয় মল্লিককেও গ্রেফতার করা হয় ৷ এই ঘটনার পর থেকেই অভিযোগ উঠতে শুরু করে, রেশন দুর্নীতির কাণ্ড যখন শুরু হচ্ছে অর্থাৎ 2018-2020 সাল সময়কালের মধ্যে রাজ্যের একাধিক থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল ৷ কিন্তু সেই সময়ে এই সব অভিযোগে গুরুত্ব দেয়নি স্থানীয় পুলিশ ৷
তদন্তে জানা গিয়েছে, 2019 সালে বালিগঞ্জ থানায় রেশন দুর্নীতি কাণ্ডের একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছিল ৷ কিন্তু বিভিন্ন ঘটনার চাপে সেই সব তদন্তের গতিপ্রকৃতি সবকিছুই থমকে গিয়েছিল ৷ বর্তমানে সেই তদন্ত প্রক্রিয়া কীভাবে সম্পন্ন হচ্ছে এবং বালিগঞ্জ থানার পাশাপাশি অন্য কোন থানায় এই সব অভিযোগ দায়ের হয়েছিল, তা জানার জন্য একটি সুস্পষ্ট রিপোর্ট চাইছে কলকাতা পুলিশ ৷ 5 জানুয়ারি এই রেশন দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে সন্দেশখালিতে প্রাক্তন তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তদন্ত করতে গিয়েছিল ইডি ৷ তবে সেখানে হামলার মুখে পড়েন ইডি কর্তারা ৷
আরও পড়ুন: