কলকাতা, 15 জুন: গার্ডেনরিচ বেআইনি নিমার্ণকাণ্ডের পর এবার আরও কঠোর কলকাতা পৌরনিগম ৷ ইতিমধ্যেই বিল্ডিং আইনে পরিবর্তন এনেছে কলকাতা পৌরনিগম। পাশপাশি ঠিকা আইনও সংশোধন করা হয়েছে। এরপরেও বেআইনি নির্মাণের প্রবণতা কমছে না। শনিবার 'টক টু মেয়র' অনুষ্ঠানে মেয়র ফিরহাদ হাকিম হুঁশিয়ারি দেন, নিয়ম মেনে নির্মাণ না-হলে সেটি ভেঙে দেওয়া হবে ৷ পাশাপাশি 'বাংলার বাড়ি' প্রকল্পের সহায়তার জন্য শহর ও শহরতলির বস্তি এলাকাগুলিতে প্রচার চালানো হবে বলে জানানো হয়েছে কলকাতা পৌরনিগমের পক্ষ থেকে ।
এদিন 'টক টু মেয়র' অনুষ্ঠানে বেশ কয়েকটি বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ আসে । তার মধ্যে অধিকাংশ ছিল, ঠিকা জমিতে বাড়ি না-করার অনুমতি ৷ আবার বাড়িওয়ালা ভাড়াটে সমস্যায় টালি ভেঙে পড়লেও কাজ করতে পারছে না। ছোট্ট জমিতে একজন দোতলা বাড়ি তুলছে বলে অভিযোগ জানানো হয়েছে 'টক টু মেয়র' অনুষ্ঠানে। প্রতিটা ক্ষেত্রেই মেয়র অভিযোগ শুনে পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিল্ডিং বিভাগের আধিকারিককে । সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, বেআইনি বাড়ি তৈরির প্রবণতা আটকাতে নিয়মগুলো লিখে বস্তি এলাকায় ব্যানার দেওয়া হবে। পাশাপশি সরকারি বাংলার বাড়ি প্রকল্পে আওতায় এসে সুযোগ নিতে পারেন ।
এরপরই মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, "কলকাতার নাগরিক হয়ে মাথা নিচু করে নয়, উচু করে বাঁচুন। কেন বেআইনি করবেন ? বেআইনি নির্মাণ করলে ভেঙে দেব। আইন মাফিক অনুমোদন নিয়ে করুন।" তিনি আরও উল্লেখ করেন, আমি জানি বস্তি এলাকাগুলিতে খুব কষ্ট করে মানুষজনকে থাকতে হয় ৷ দু’টো ঘরে বাড়ির মালিক থাকেন । 8-10টা ঘর নামমাত্র ভাড়ায় বসবাস করেন ভাডাটেরা । এমনকী পাড়ার ছেলেরাও অনেক সময় প্রোমোটারের একটা করে ঘর দিয়ে বাকিটা বিক্রি করে মুনাফা করছে । এসব না করার কথাও বলেন মেয়র ৷ আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষজনদেরও আইন মাফিক বাড়ি তৈরির আবেদন জানান ৷ 'বাংলার বাড়ি' প্রকল্পে ফ্ল্যাট করে দেওয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন । এই বিষয়ে বসতি এলাকা গুলোতে ফ্লেক্স ব্যানার লাগানো হবে। যাতে বেআইনি নির্মাণ না করে সরকারি প্রকল্পে সুবিধা পায় নাগরিকরা সেই চেষ্টাও করা হবে ববে উল্লেখ করেন মেয়র ৷