কলকাতা, 27 অক্টোবর: কলকাতার ঐতিহ্যের ট্রাম এখন 'লুপ্তপ্রায়', ইতিহাস হওয়ার পথে ! কলকাতা কর্পোরেশনের মতে, পড়ে থাকা ট্রাম লাইন এখন দুর্ঘটনার 'ফাঁদ' হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই পুর অধিবেশনে ট্রাম লাইন তুলে ফেলার পক্ষেই কাউন্সিলরদের আবেদন এলো। এ ক্ষেত্রে আদালতের অনুমতি মিললেই লাইন তুলে রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু করবে কলকাতা কর্পোরেশন, জানালেন ফিরহাদ হাকিম।
এক সময় কলকাতায় 32টি রুটে চলত পরিবেশ বান্ধব ট্রাম। এখন সেই পরিষেবা কোনও রকমে ধুঁকতে ধুঁকতে চলছে মাত্র 2টি রুটে। বালিগঞ্জ থেকে এসপ্লেন্ড আর এসপ্লেনেড থেকে শ্যামবাজার। এই অবস্থায় রাজাবাজার ডিপো থেকে যে ট্রাম চলত, বহুদিন আগেই সেই পরিষেবা বন্ধ হলেও লাইন পড়ে রয়েছে একই ভাবে। আর সেই লাইন বর্ষায় হোক বা শীতে, যেন বাইক, স্কুটি চালকদের কাছে দুর্ঘটনার 'ফাঁদ' হয়ে দাঁড়িয়েছে । তাই ট্রাম যদি না-ই চলে, সেই রুটের লাইন তুলে রাস্তা ঠিক করার আবেদন করলেন কাউন্সিলর বিশরূপ দে।
বিশরূপ দে এদিন বলেন, "ট্রাম লাইন আর রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। লাইন তোলা ও রাস্তা মেরামত কে করবে ? সিটিসি না কর্পোরেশন? কত দিনে হবে ?" এর উত্তরে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, "হাইকোর্ট একটা 'স্টে অর্ডার' দিয়েছে। তাই এই মুহূর্তে তোলা যাবে না ট্রাম লাইন। যেমন আছে, তেমনই থাকবে । তাই দুর্ঘটনা ঘটলেও মেরামত করতে পারছি না। সিটিসি কোর্টকে বলেছে, শহরে মেট্রো হয়ে গিয়েছে। এখন ট্রামের দরকার নেই। শহরের যানের গতি কমে যাবে। বরং জয় রাইডার জন্য ট্রাম চড়বে মানুষ। সেটা ময়দানের ধার ধরে খিদিরপুর রুটে চালু করা হবে। এই বিষয় হাইকোর্ট অর্ডার দেয়নি। দিলে আমরা এগবো ।"
রাজাবাজার, বৌবাজারের ওদিকে রাস্তার অবস্থা তেমন খারাপ নয়, ভালো। বরং মোমিনপুর থেকে লালবাতি পর্যন্ত রাস্তার অবস্থা খারাপ ৷ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে যে কোনও সময়। তাই হাইকোর্টের স্টে অর্ডার উঠলেই পদক্ষেপ নেওয়ার ভাবনা চিন্তা রয়েছে কলকাতা কর্পোরেশনের।