ETV Bharat / state

হাইপ্রোফাইল দক্ষিণে উন্নয়ন বনাম বাস্তব, পাঁচ বছরে মালার 'রায়' - Kolkata Dakshin MP Mala Roy

Lok Sabha Elections 2024: কলকাতা দক্ষিণ ৷ রাজ্যের অন্যতম হেভিওয়েট কেন্দ্র ৷ 2019 সালে এই কেন্দ্র থেকে প্রথমবার সাংসদ হন তৃণমূল কংগ্রেসের মালা রায় ৷ এবারও তিনিই প্রার্থী ৷ ভোটে জিততে তাঁর ভরসা গত পাঁচ বছরের কাজ ৷ ঠিক কতটা কাজ করেছেন তিনি ? কী বলছে তাঁর রিপোর্ট কার্ড ? খতিয়ে দেখল ইটিভি ভারত ৷

Lok Sabha Elections 2024
Lok Sabha Elections 2024
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Mar 20, 2024, 1:04 PM IST

Updated : Mar 20, 2024, 1:45 PM IST

কলকাতা দক্ষিণের সাংসদ মালা রায়ের রিপোর্ট কার্ড

কলকাতা, 16 মার্চ: কলকাতা দক্ষিণ লোকসভা আসন আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কার্যত সমার্থক ৷ বামেদের রমরমা সময়ে 1991 সালে এই কেন্দ্রে প্রথম জেতেন তিনি ৷ হারিয়েছিলেন সিপিআই-এর বিপ্লব দাশগুপ্তকে ৷ তখন তিনি কংগ্রেসের নেত্রী ৷ তার পর এই কেন্দ্রে তাঁকে কেউ হারাতে পারেননি ৷

মমতা মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর সাংসদ হিসেবে পদত্যাগ করেন ৷ তখন উপ-নির্বাচনে জিতে ওই কেন্দ্রে সাংসদ হন সুব্রত বক্সি ৷ 2019 সাল পর্যন্ত তিনিই ছিলেন কলকাতা দক্ষিণের সাংসদ ৷ পাঁচ বছর আগের লোকসভা নির্বাচনে এই আসন থেকে জিতে সাংসদ হন মালা রায় ৷ এবারও তিনি সেখানে প্রার্থী ৷

স্বাভাবিকভাবেই তাই তাঁর পাঁচ বছরের কাজের খতিয়ান নিয়ে প্রশ্ন উঠছে ৷ সাংসদ অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর কোনও আক্ষেপ নেই ৷ তিনি বাংলার কথা, বাংলার বঞ্চনার কথা বারবার তুলে ধরেছেন ৷ লোকসভায় দু’শোরও বেশি প্রশ্ন করেছেন তিনি ৷ পাশাপাশি প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রয়োজনীয় উন্নয়নের জন্য এমপি ল্যাডের টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে ৷

একনজরে দেখে নেওয়া যাক যে কলকাতা দক্ষিণে কী কী কাজ করেছেন মালা রায়-

  • 1 কোটি 10 লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারকে কোভিডের টিকা কেনার জন্য ।
  • 50 লক্ষ টাকার বেশি দেওয়া হয়েছে এসএসকেএম হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগে আধুনিক যন্ত্র কেনা ও পরিষেবার উন্নতির জন্য ৷
  • আলিপুর চিড়িযাখানায় পরিবেশবান্ধব যান দেওয়া হয়েছে ।
  • কলকাতা পৌরনিগম অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবার উন্নতি করতে একাধিক অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হয়েছে ৷ শববাহী গাড়িও দেওয়া হয়েছে ৷
  • পথ কুকুরদের জন্য বিশেষ গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হয়েছে ৷
  • একাধিক রাস্তা তৈরি ও মেরামতের কাজ হয়েছে ৷
  • বিভিন্ন জায়গায় হাইমাস্ক আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷
  • একেসি বসু কলেজে স্মার্ট লাইব্রেরি তৈরিতে সাহায্য করা হয়েছে ৷
  • একাধিক স্কুলের সংস্কার কাজে অর্থ সাহায্য করা হয়েছে ।

মালা রায় যেমন কলকাতা দক্ষিণের সাংসদ, তেমন তিনি কলকাতা পৌরনিগমের কাউন্সিলর । ফলে মানুষের কথা যেমন দিল্লির সংসদে তুলে ধরেছেন, তেমনই চেষ্টা করেছেন কাউন্সিলর হিসেবে নিজের দায়িত্ব পালন করার । তিনি বলেন, ‘‘কাজ করাটাই শেষ কথা । জনপ্রতিনিধি যিনি তাঁর সব কাজ ছেড়ে মানুষের কাজ করা দরকার ।’’ মালা রায়ের দাবি, তাঁকে দিনে হোক বা রাতে সবসময় সকলে পান । গভীর রাতে ফোন করলেও ফোন তোলেন । কাউকেই তিনি ফেরান না বলেই দাবি তার । কারণ, ছোট ছোট সমস্যা নিয়ে তাঁর কাছে মানুষ আসেন । প্রতিটি ক্ষেত্রেই তিনি সাধ্যমতো চেষ্টা করেন ৷

কলকাতা দক্ষিণ বরাবরই হাইপ্রোফাইল কেন্দ্র ৷ এই কেন্দ্রে সাধারণ মানুষ যেমন ভোটার, তেমনই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো অনেক হাইপ্রোফাইল ভোটার রয়েছেন ৷ ফলে সাংসদের কাজ নিয়ে এলাকার মানুষের বক্তব্যও খুব গুরুত্বপূর্ণ ৷

এলাকার বাসিন্দা চঞ্চল চট্টোপাধ্যায় জানান, সাংসদ অনেক কাজ করেছেন ৷ জলের সমস্যা ছিল৷ সেই সময় অনেকটা মিটেছে ৷ সাংসদ আগামিদিনেও কাজ করবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন ৷ এলাকার আরেক বাসিন্দা রবি প্রামাণিক জানান, সাংসদ খুব ভালো কাজ করেছেন ৷ সমস্যার কথা জানালে তার সমাধান করে দেওয়া হয় ৷

বিরোধীদের অবশ্য দাবি, উন্নয়ন যা উনি বলছেন, বাস্তবে চোখে দেখা যায় না । উনি কোনও নির্দিষ্ট এলাকা ভিত্তিক বসেন না যে কোনও প্রয়োজনে মানুষ তাঁর সঙ্গে দ্রুত দেখা করতে পারবেন । বিশেষ করে কসবা, বালিগঞ্জ, বন্দর - এই সমস্ত বিধানসভায় সেই অর্থে তিনি কিছুই করেননি । তাঁর দেখাও তেমন মেলে না ।

তাহলে এবারও কি কলকাতা দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্র থেকে জিতবেন মালা রায় ? মানুষের হাতে রায় দেওয়ার ভার ছেড়েও আশাবাদী এই তৃণমূল সাংসদ ৷ তাঁর কথায়, ‘‘সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি মিলে জোট করছে তৃণমূলকে চাপে ফেলতে । অনেক রকম ভাবে দল, ব্যক্তি বিশেষে ছোট করবে । মানুষের এতে কিছু আসে যায় না । মানুষ ঠিক জানেন কী কাজ করেছি, কাকে ভোট দেবেন । আমরা আশাবাদী ।’’

তবে এই কেন্দ্রের অতীতের দিকে যদি একবার আলোকপাত করা যায়, তাহলে দেখা যাবে এই কেন্দ্রের নাম যেমন বারবার বদল হয়েছে ৷ তেমনই সাংসদও বদল হয়েছে বহুবার ৷ 1952 সালে এই কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন ভারতীয় জনসঙ্ঘের শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্য়ায় ৷ সেই সময় এই কেন্দ্রের নাম ছিল ক্যালকাটা সাউথ-ইস্ট ৷

এর পর কেন্দ্রের নাম বদলে ক্যালকাটা ইস্ট হয়েছে ৷ পরে তা হয়েছে ক্যালকাটা সাউথ ৷ নাম বদলের সঙ্গে সাজুয্য রেখে কখনও এখান থেকে জিতেছে সিপিআই ৷ কখনও কংগ্রেস জিতেছে৷ আবার জনতা পার্টির প্রার্থীকে এই কেন্দ্র থেকে জিতেয়েছেন এলাকার ভোটাররা ৷ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ছাড়া প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি, সত্যসাধন চক্রবর্তীর মতো হেভিওয়েটরা এখানে জিতেছেন ৷

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আগে এই কেন্দ্র থেকে একই সাংসদের পর পর দু’বার জয়ের নজির ছিল না ৷ এখানে সবচেয়ে বেশি সময়ের সাংসদ ছিলেন রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী ৷ দু’বার তিনি জিতেছেন কংগ্রেসের টিকিটে ৷ তিনবার চারবার জিতেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে ৷ সেই সময় থেকেই এই এলাকা মমতার গড় নামেই পরিচিত হয়েছে ৷ এখনও সেই তকমায় ধুলো যে পড়েনি, তা বিভিন্ন সময় ভোটের ফল দেখলেই বোঝা যায় ৷

ফলে সেই ট্রেন্ড কি এবারও বজায় থাকবে ? নাকি বিরোধীরা যে কাজ না হওয়ার অভিযোগ তুলছেন, সেটার উপর ভর করে রাজনৈতিক পরিবর্তন হবে কলকাতা দক্ষিণ লোকসভা আসনে !

আরও পড়ুন:

  1. অসিত মালকে ব্যর্থ সাংসদ তকমা বোলপুরবাসীর, কী বলছে রিপোর্ট কার্ড?
  2. আরামবাগের সাংসদের উন্নয়নের দাবির পালটা এলাকায় দেখা না পাওয়ার অভিযোগ, কী বলছে অপরূপা পোদ্দারের রিপোর্ট কার্ড?
  3. হুগলির উন্নয়নে 17 কোটি খরচের দাবি লকেটের, দেখা মেলে না বলে ক্ষোভ উগরে দিলেন স্থানীয়রা

কলকাতা দক্ষিণের সাংসদ মালা রায়ের রিপোর্ট কার্ড

কলকাতা, 16 মার্চ: কলকাতা দক্ষিণ লোকসভা আসন আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কার্যত সমার্থক ৷ বামেদের রমরমা সময়ে 1991 সালে এই কেন্দ্রে প্রথম জেতেন তিনি ৷ হারিয়েছিলেন সিপিআই-এর বিপ্লব দাশগুপ্তকে ৷ তখন তিনি কংগ্রেসের নেত্রী ৷ তার পর এই কেন্দ্রে তাঁকে কেউ হারাতে পারেননি ৷

মমতা মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর সাংসদ হিসেবে পদত্যাগ করেন ৷ তখন উপ-নির্বাচনে জিতে ওই কেন্দ্রে সাংসদ হন সুব্রত বক্সি ৷ 2019 সাল পর্যন্ত তিনিই ছিলেন কলকাতা দক্ষিণের সাংসদ ৷ পাঁচ বছর আগের লোকসভা নির্বাচনে এই আসন থেকে জিতে সাংসদ হন মালা রায় ৷ এবারও তিনি সেখানে প্রার্থী ৷

স্বাভাবিকভাবেই তাই তাঁর পাঁচ বছরের কাজের খতিয়ান নিয়ে প্রশ্ন উঠছে ৷ সাংসদ অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর কোনও আক্ষেপ নেই ৷ তিনি বাংলার কথা, বাংলার বঞ্চনার কথা বারবার তুলে ধরেছেন ৷ লোকসভায় দু’শোরও বেশি প্রশ্ন করেছেন তিনি ৷ পাশাপাশি প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রয়োজনীয় উন্নয়নের জন্য এমপি ল্যাডের টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে ৷

একনজরে দেখে নেওয়া যাক যে কলকাতা দক্ষিণে কী কী কাজ করেছেন মালা রায়-

  • 1 কোটি 10 লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারকে কোভিডের টিকা কেনার জন্য ।
  • 50 লক্ষ টাকার বেশি দেওয়া হয়েছে এসএসকেএম হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগে আধুনিক যন্ত্র কেনা ও পরিষেবার উন্নতির জন্য ৷
  • আলিপুর চিড়িযাখানায় পরিবেশবান্ধব যান দেওয়া হয়েছে ।
  • কলকাতা পৌরনিগম অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবার উন্নতি করতে একাধিক অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হয়েছে ৷ শববাহী গাড়িও দেওয়া হয়েছে ৷
  • পথ কুকুরদের জন্য বিশেষ গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হয়েছে ৷
  • একাধিক রাস্তা তৈরি ও মেরামতের কাজ হয়েছে ৷
  • বিভিন্ন জায়গায় হাইমাস্ক আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷
  • একেসি বসু কলেজে স্মার্ট লাইব্রেরি তৈরিতে সাহায্য করা হয়েছে ৷
  • একাধিক স্কুলের সংস্কার কাজে অর্থ সাহায্য করা হয়েছে ।

মালা রায় যেমন কলকাতা দক্ষিণের সাংসদ, তেমন তিনি কলকাতা পৌরনিগমের কাউন্সিলর । ফলে মানুষের কথা যেমন দিল্লির সংসদে তুলে ধরেছেন, তেমনই চেষ্টা করেছেন কাউন্সিলর হিসেবে নিজের দায়িত্ব পালন করার । তিনি বলেন, ‘‘কাজ করাটাই শেষ কথা । জনপ্রতিনিধি যিনি তাঁর সব কাজ ছেড়ে মানুষের কাজ করা দরকার ।’’ মালা রায়ের দাবি, তাঁকে দিনে হোক বা রাতে সবসময় সকলে পান । গভীর রাতে ফোন করলেও ফোন তোলেন । কাউকেই তিনি ফেরান না বলেই দাবি তার । কারণ, ছোট ছোট সমস্যা নিয়ে তাঁর কাছে মানুষ আসেন । প্রতিটি ক্ষেত্রেই তিনি সাধ্যমতো চেষ্টা করেন ৷

কলকাতা দক্ষিণ বরাবরই হাইপ্রোফাইল কেন্দ্র ৷ এই কেন্দ্রে সাধারণ মানুষ যেমন ভোটার, তেমনই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো অনেক হাইপ্রোফাইল ভোটার রয়েছেন ৷ ফলে সাংসদের কাজ নিয়ে এলাকার মানুষের বক্তব্যও খুব গুরুত্বপূর্ণ ৷

এলাকার বাসিন্দা চঞ্চল চট্টোপাধ্যায় জানান, সাংসদ অনেক কাজ করেছেন ৷ জলের সমস্যা ছিল৷ সেই সময় অনেকটা মিটেছে ৷ সাংসদ আগামিদিনেও কাজ করবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন ৷ এলাকার আরেক বাসিন্দা রবি প্রামাণিক জানান, সাংসদ খুব ভালো কাজ করেছেন ৷ সমস্যার কথা জানালে তার সমাধান করে দেওয়া হয় ৷

বিরোধীদের অবশ্য দাবি, উন্নয়ন যা উনি বলছেন, বাস্তবে চোখে দেখা যায় না । উনি কোনও নির্দিষ্ট এলাকা ভিত্তিক বসেন না যে কোনও প্রয়োজনে মানুষ তাঁর সঙ্গে দ্রুত দেখা করতে পারবেন । বিশেষ করে কসবা, বালিগঞ্জ, বন্দর - এই সমস্ত বিধানসভায় সেই অর্থে তিনি কিছুই করেননি । তাঁর দেখাও তেমন মেলে না ।

তাহলে এবারও কি কলকাতা দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্র থেকে জিতবেন মালা রায় ? মানুষের হাতে রায় দেওয়ার ভার ছেড়েও আশাবাদী এই তৃণমূল সাংসদ ৷ তাঁর কথায়, ‘‘সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি মিলে জোট করছে তৃণমূলকে চাপে ফেলতে । অনেক রকম ভাবে দল, ব্যক্তি বিশেষে ছোট করবে । মানুষের এতে কিছু আসে যায় না । মানুষ ঠিক জানেন কী কাজ করেছি, কাকে ভোট দেবেন । আমরা আশাবাদী ।’’

তবে এই কেন্দ্রের অতীতের দিকে যদি একবার আলোকপাত করা যায়, তাহলে দেখা যাবে এই কেন্দ্রের নাম যেমন বারবার বদল হয়েছে ৷ তেমনই সাংসদও বদল হয়েছে বহুবার ৷ 1952 সালে এই কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন ভারতীয় জনসঙ্ঘের শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্য়ায় ৷ সেই সময় এই কেন্দ্রের নাম ছিল ক্যালকাটা সাউথ-ইস্ট ৷

এর পর কেন্দ্রের নাম বদলে ক্যালকাটা ইস্ট হয়েছে ৷ পরে তা হয়েছে ক্যালকাটা সাউথ ৷ নাম বদলের সঙ্গে সাজুয্য রেখে কখনও এখান থেকে জিতেছে সিপিআই ৷ কখনও কংগ্রেস জিতেছে৷ আবার জনতা পার্টির প্রার্থীকে এই কেন্দ্র থেকে জিতেয়েছেন এলাকার ভোটাররা ৷ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ছাড়া প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি, সত্যসাধন চক্রবর্তীর মতো হেভিওয়েটরা এখানে জিতেছেন ৷

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আগে এই কেন্দ্র থেকে একই সাংসদের পর পর দু’বার জয়ের নজির ছিল না ৷ এখানে সবচেয়ে বেশি সময়ের সাংসদ ছিলেন রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী ৷ দু’বার তিনি জিতেছেন কংগ্রেসের টিকিটে ৷ তিনবার চারবার জিতেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে ৷ সেই সময় থেকেই এই এলাকা মমতার গড় নামেই পরিচিত হয়েছে ৷ এখনও সেই তকমায় ধুলো যে পড়েনি, তা বিভিন্ন সময় ভোটের ফল দেখলেই বোঝা যায় ৷

ফলে সেই ট্রেন্ড কি এবারও বজায় থাকবে ? নাকি বিরোধীরা যে কাজ না হওয়ার অভিযোগ তুলছেন, সেটার উপর ভর করে রাজনৈতিক পরিবর্তন হবে কলকাতা দক্ষিণ লোকসভা আসনে !

আরও পড়ুন:

  1. অসিত মালকে ব্যর্থ সাংসদ তকমা বোলপুরবাসীর, কী বলছে রিপোর্ট কার্ড?
  2. আরামবাগের সাংসদের উন্নয়নের দাবির পালটা এলাকায় দেখা না পাওয়ার অভিযোগ, কী বলছে অপরূপা পোদ্দারের রিপোর্ট কার্ড?
  3. হুগলির উন্নয়নে 17 কোটি খরচের দাবি লকেটের, দেখা মেলে না বলে ক্ষোভ উগরে দিলেন স্থানীয়রা
Last Updated : Mar 20, 2024, 1:45 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.