কলকাতা, 25 সেপ্টেম্বর: বউবাজার মেট্রো বিপর্যয়ে ভেঙে পড়া 23টি বাড়ি তৈরির নকশায় অনুমোদন দিতে চলেছে কলকাতা পুরনিগম । আগামী শুক্রবার মেয়র পারিষদ বৈঠক করে এই 23টি বাড়ি তৈরির নকশায় বিশেষ অনুমোদন দেওয়া হবে ৷ বুধবার এমনটাই জানালেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম ।
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আগামী শুক্রবার মেয়র পারিষদ বৈঠকে ওই 23টি বাড়ি তৈরির নকশায় বিশেষ অনুমোদন দেওয়া হবে । কারণ বর্তমান নিয়ম অনুসারে ছাড়-সহ আর অনেকগুলো বিষয় আছে যেগুলো এই নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে লাগু হবে না ৷ তাই বউবাজারের বিশেষ অনুমোদন প্রয়োজন ।"
বউবাজার মেট্রো বিপর্যয়ের পর কেটেছে বেশ কয়েক বছর । ঘরছাড়া এখনও একাধিক পরিবার । নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে 23টি বাড়ি । ওই জায়গায় কেএমআরসিএল আধুনিক বহুতল বানিয়ে ফ্ল্যাট দেওয়ার কথা জানিয়েছিল ৷ তবে ওই সমস্ত বাড়ির বাসিন্দারা তাতে আপত্তি করেন । তাঁদের দাবি ছিল, এক একজনের কারও তিনতলা, কারও আবার দোতলা বাড়ি ছিল । তাঁদের ঠিক তেমনই বাড়ি করে দিতে হবে । বউবাজারের বাসিন্দাদের দাবি মেনে নেয় এবং সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি শুরু করে কেএমআরসিএল । একটি সংস্থা সেই মতো বাড়িগুলির নকশা তৈরি করে জমা করে । তবে দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হলেও কলকাতা পুরনিগম থেকে বাড়ির তৈরি নকশায় অনুমোদন মিলছিল না বলে অভিযোগ ।
এই সংক্রান্ত বিষয় এ দিন মাসিক অধিবেশনে তুলে ধরেন স্থানীয় কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে ৷ তাঁর কথায়, "5 বছর আগে মেট্রো বিপর্যয় ঘটে । যাঁদের ঘরছাড়া হতে হয়েছে তাঁদের সম্পর্কে একটু তৎপর হওয়া দরকার পুরনিগমের ।" তিনি প্রশ্ন তোলেন, বাড়ির নকশা অনুমোদনে কলকাতা পুরনিগম কেন তৎপর হচ্ছে না ? যে বাড়িগুলি মেরামত করা হচ্ছে তার ফিট সার্টিফিকেট দিতে পারে পুরনিগম ? বউবাজার নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় তাদের রিপোর্ট কি পেশ করেছে ? বাড়িগুলি তৈরির পরে 10 বছর সেগুলির রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য ওই কাউন্সিলর মেয়রকে আবেদন করেন ।
ফিরহাদ হাকিম তাঁর প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে জানান, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপোর্ট জমা পড়েছে । যে বাড়িগুলি মেরামত হয়েছে তাদের ফিট সার্টিফিকেট পুরনিগম দিতে পারে না । কারণ পুর আইন অনুযায়ী এই ক্ষমতা তাদের বিল্ডিং বিভাগের নেই ৷ তবে পুরনিগমের তালিকাভুক্ত ইঞ্জিনিয়ারদের দিয়ে ফিট সার্টিফিকেট দেওয়ার কাজ করানো যেতে পারে । কিন্তু সেটা করাবে কেএমআরসিএল ৷
তিনি বলেন, "আমি চাই দ্রুত মেট্রো পরিষেবা চালু হোক । তবে পুরনিগমের এমন কোনও আইন নেই যে কেএমআরসিএলকে বাড়ি তৈরির পর সেগুলোকে আমরা রক্ষণাবেক্ষণের কথা বলতে পারি । আমরা বড় জোর কেএমআরসিএলকে বাড়িগুলি রক্ষণাবেক্ষণের আবেদন করতে পারি ৷ সেটা আমি ইতিমধ্যে করেছি ।"