কলকাতা, 19 মার্চ: গার্ডেনরিচকাণ্ডে বিল্ডিং বিভাগের তিন আধিকারিককে শোকজ করল কলকাতা পৌরনিগম ৷ গার্ডেনরিচে ভেঙে পড়া বহুতলটি আইন মেনে হয়েছে, নাকি বেআইনি নির্মাণ সেটার কোনোটাই জানত না পৌরনিগম বলে জানা গিয়েছে । ঘটনাস্থল ঘুরে বিল্ডিং বিভাগের আধিকারিকদের সঙ্গে সোমবার জরুরি বৈঠকে বসেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম । সেই বৈঠকেই 15 নম্বর বরো এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার, একজন সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার(এসএই) ও একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারকে(এই) শোকজ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৷ এমনটাই জানিয়েছেন মেয়র ৷
কেন আধিকারিকদের নজরদারি এড়িয়ে এইরকম বেআইনি বহুতল গজিয়ে উঠেছিল ৷ নিয়মিত নজরদারি চললে শুরুতেই তা আটকানো যেত বলে দাবি ফিরহাদ হাকিমের ৷ তাই 48 ঘণ্টার মধ্যে তিন আধিকারিককে জবাব দিতে হবে তাঁদের নাকের ডগায় কী করে বেআইনি নির্মাণ হচ্ছে ৷ জানা গিয়েছে, এর পাশাপাশি এখন থেকে একাধিক নয়া নির্দেশিকা জারি হতে চলেছে কলকাতা পৌরনিগমের কর্মী ও আধিকারিকদের জন্য ।
ওই দিন বৈঠকের পর মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, "কোথায় বেআইনি বাড়ি হচ্ছে সেটা নিয়মিত নজরদারির জন্য আমি বারে বারে বলেছি । টক টু মেয়র অনুষ্ঠানে অভিযোগ এলে আমি আধিকারিকদের নির্দেশ দিই যাতে নিয়মিত নজরদারি তারা করেন ৷ এর ফলে শুরুতেই সেই বেআইনি কাজ আটকানো সম্ভব হয় ৷ চারটে বাড়ি চারতলা উঠে গেল, সেখানে গরিব মানুষরা ঢুকে গেল, তারপর সেই বাড়ি ভাঙা যায় না ৷ তাই শুরু থেকেই আটকানোর জন্য বলা হয়েছে । গার্ডেনরিচ চত্বরে বেআইনি নির্মাণ যাদের দেখার কাজ ছিল তারা সেটা সঠিকভাবে করেননি তাই শোকজ করা হয়েছে ।"
কলকাতা পৌরনিগম সূত্রে খবর, এখন থেকে সকালে অফিস ঢুকেই আধিকারিকদের বেরিয়ে পড়তে হবে রাস্তায় । তাঁরা বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে দেখবেন যে সমস্ত বাড়ি তৈরি হচ্ছে সেগুলি কোন পর্যায়ে আছে ৷ কোন জায়গায় যদি বেআইনি বিন্দুমাত্র কিছু দেখতে পায় তাহলে শুরুতেই তাদের আইন মাফিক নোটিশ দেওয়া ও পদক্ষেপ করতে হবে ৷ অর্থাৎ উৎসেই বিনাশ করতে হবে বেআইনি নির্মাণের প্রবণতাকে । আরও জানা গিয়েছে, বিগত তিন বছরে 15 নম্বর বরো এলাকায় 300টির বেশি বাড়িতে বেআইনি কাজের জেরে নোটিশ দেওয়া হয়েছে ৷ তার মধ্যে কলকাতা পৌরনিগমের বিল্ডিং বিভাগ 150টির বেশি বেআইনি বাড়ি ভেঙে ফেলেছে ।
আরও পড়ুন: