কলকাতা, 24 জানুয়ারি: বেআইনি বাড়ি ভেঙে পড়া থেকে হেলে যাওয়া, সব ক্ষেত্রেই কাউন্সিলরদের ক্লিনচিট দিয়ে পুর ইঞ্জিনিয়রদের উপর প্রশাসন দায় চাপাচ্ছে বলে অভিযোগ । গার্ডেনরিচ থেকে বাঘাযতীন, শাস্তির খাড়া নেমেছে ইঞ্জিনিয়রদের উপর । বাড়ি হেলা প্রসঙ্গেও রস্টার ডিউটি ও ইঞ্জিয়রদের নজরদারির বিষয় সামনে এনে গোটা দায় তাঁদের উপর চাপিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম । এবার তার পাল্টা সুর চড়াল ইঞ্জিনিয়র সংগঠন ।
কেএমসি ইঞ্জিনিয়রস অ্যান্ড অ্যালয়েড সার্ভিসেস অ্যাসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক মানস সিনহা জানান, নতুন পদে নিয়োগ না করে যেভাবে ইঞ্জিনিয়রদের উপর ওয়ার্কলোড বাড়ানো হচ্ছে ৷ হেলা বাড়ির মতো ইঞ্জিনিয়ররাও কাজের চাপে হেলে পড়বেন। পুর প্রশাসনও বিপর্যস্ত হবে ।
বেআইনি নির্মাণ ঠেকাতে মেয়রের ওষুধ পুর ইঞ্জিনিয়রদের রস্টার ডিউটি করে অ্যাপসের মাধ্যমে নজরদারি করা । আর এই সমস্ত অফিসিয়াল টার্মগুলিকে কোনোরকম তোয়াক্কা করতেই রাজি নন ইঞ্জিনিয়ররা । ইঞ্জিনিয়রদের সংগঠনের নেতা মানস সিনহার বক্তব্য, ‘‘মাটির নিচে নয়, মাটির উপরেই বাড়ি হয় । শূন্য পদে নিয়োগ করবেন না, পদোন্নতি দেবেন না, বিজ্ঞানভিত্তিকভাবে কাজের বন্ধন করবেন না, আর এইসব মুখে বলে যাবেন এর কোনও অর্থ হয় না ।’’
তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘‘ইঞ্জিনিয়রদের ওপর মাত্রাতিরিক্ত কাজের ভার চাপালে শেষমেশ ইঞ্জিনিয়ররাও হেলা বাড়ির মতো হেলে পড়বেন । তার ফল ভুগতে হবে নাগরিকদের । বিপর্যস্ত হবে পুর পরিষেবা । বাড়ি সঠিকভাবে উঠছে কি না, সেই সমস্ত নজরদারি দেখতে গেলে কর্পোরেশনের পরিকাঠামো আরও উন্নত করতে হবে । একটা সময় গার্ড পোস্ট পদ ছিল ৷ সেই পদ তুলে দেওয়া হয়েছে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের আমলে ।’’
মানস সিনহার দাবি, ‘‘গার্ড পোস্ট থাকলে তাঁরাই বেআইনি নির্মাণের উপর নজরদারি করতেন । সেটা তুলে দিয়ে সবটাই দেখার জন্য পুলিশের উপর ছেড়েছিল শোভন চট্টোপাধ্যায় । আর এখন অল্প সংখ্যক ইঞ্জিনিয়রদের উপরে বিরাট কাজের ভার চাপালে হবে না । যদি ইঞ্জিনিয়রদের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা নেয়, তাহলে আমরাও তার প্রত্যুত্তর দেব ।’’
তবে ইঞ্জিনিয়রদের এই দাবির উত্তরে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘আমার বিল্ডিং বিভাগে সমস্ত ইঞ্জিনিয়রদের শূন্যপদ আমি পূরণ করে দিয়েছি । দ্রুত তাঁদের নিয়ে আমি বৈঠকে বসব ।’’