ETV Bharat / state

বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে ফাঁপড়ে পুর ইঞ্জিনিয়ার, আচমকাই পেলেন সমন

বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে ফাঁপড়ে পড়লেন পুর ইঞ্জিনিয়ার ৷ আচমকাই তাঁর হাতে এসেছে একাধিক ঘটনায় অভিযুক্ত থাকার সমন ৷ ক্ষোভ কলকাতা পুরনিগমের ইঞ্জিনিয়ার মহলে৷

ETV BHARAT
বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে ফাঁপড়ে পুর ইঞ্জিনিয়ার (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Oct 24, 2024, 4:48 PM IST

কলকাতা, 24 অক্টোবর: বেহালার 122 নম্বর ওয়ার্ডে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিয়েছিলেন এক পুর ইঞ্জিনিয়ার ৷ অবাক কাণ্ড, তার মাস দুই বাদে তিনি হাতে পেলেন মহিলাকে হেনস্থা করার অভিযোগের সমন । এই ঘটনায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে ইঞ্জিনিয়ার মহলে । মিথ্যে মামলার ফাঁসানোর অভিযোগ এনে, এই বিষয়ে কলকাতা পুরনিগমকে পদক্ষেপ করার দাবি জানিয়েছে কেএমসি ইঞ্জিনিয়ার অ্যান্ড সার্ভিসেস অ্যাসোসিয়েশন ৷ তারা ডেপুটেশন দিয়েছে বরো এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারের কাছে ৷

বেআইনি নির্মাণ ঠেকাতে ইঞ্জিনিয়ারদের ঘটনাস্থলে নিয়মিত যাওয়ার উপর জোর দিয়েছে কলকাতা পুরনিগম । সেই কাজ করতে গিয়েই নয়া বিপদের মুখে পড়েছেন 13 নম্বর বরোর অন্তর্গত 122 নম্বর ওয়ার্ডের বিল্ডিং বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত পাকড়ে । কলকাতা পুরনিগম সূত্রে খবর, বেআইনি নির্মাণ হচ্ছে এমন অভিযোগ পেয়ে অফিসের গাড়ি করে তিনি গত অগস্ট মাসে গিয়েছিলেন ঘটনাস্থলে । বেআইনি নির্মাণকারী পেশায় উকিল । তিনি ইঞ্জিনিয়ারকে একটা ঘরে আটকে দেন বলে অভিযোগ । ইঞ্জিনিয়ার তাঁর গাড়ির চালককে ফোন করে ডাকলে তাঁকেও আটকে রাখা হয় । পরে হরিদেবপুর থানার পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে । এর পরবর্তী সময়ে পুলিশের সামনে কলকাতা পুরনিগমের বিল্ডিং আইন অনুসারে বাড়ির মাপজোক করে পদক্ষেপ করেন ওই ইঞ্জিনিয়ার ।

এর ঠিক মাস দুয়েক পর, পুর ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত পাকড়ে গতকাল আচমকা হরিদেবপুর থানা থেকে পাঠানো একটি সমন হাতে পান ৷ পুলিশের তরফে ইঞ্জিনিয়ারকে জানানো হয়, তাঁর বিরুদ্ধে বেআইনি নির্মাণকারী ওই আইনজীবী মামলা করেছেন । মামলায় বাড়ির মহিলাদের হেনস্থা করার মতো গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে ৷ পাশাপশি তাঁর নাম বেহালার একটি গন্ডগোল সঙ্গেও যুক্ত করা হয়েছে । সেখানেই শেষ নয় ৷ আরও কয়েকটি অভিযোগ আনা হয়েছে ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে ৷

একথা শোনার পরই পুরনিগমের ইঞ্জিনিয়ার মহলে ক্ষোভ ছড়ায় । কেএমসি ইঞ্জিনিয়ার অ্যান্ড অ্যালায়েড সার্ভিসেস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পার্থ গুপ্ত বলেন, এই গোটা ঘটনা 13 নং বরোর এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকে জানানো হয়েছে । তিনি যাতে কলকাতা পুরনিগমের তরফ থেকে ওই বেআইনি নির্মাণকারীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করেন, সেই আর্জি জানানো হয় । শুধু তাই নয়, যেভাবে মিথ্যে মামলা দেওয়া হয়েছে, তার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে কলকাতা পুরনিগম কর্তৃপক্ষ কী ধরনের পদক্ষেপ করে, তার দিকেও নজর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে ৷

অভিযোগ, অনেক ক্ষেত্রেই অহেতুক হয়রানির মুখে পড়তে হয় ইঞ্জিনিয়ারদের । ফলে এ ক্ষেত্রে মিথ্যা অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে কঠিন পদক্ষেপ করার দাবি জানিয়েছে সংগঠন । পার্থ গুপ্ত আরও বলেন, এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকে আজ জানানো হয়েছে । পরবর্তী সময়ে কী পদক্ষেপ করা হল, তা দেখে নিয়ে প্রয়োজনে মেয়রের কাছেও দরবার করা হবে । পদক্ষেপ না করলে আগামী সময়ে ইঞ্জিনিয়াররা ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ নাও করতে পারেন বলে ইঙ্গিত মিলেছে ।

কলকাতা, 24 অক্টোবর: বেহালার 122 নম্বর ওয়ার্ডে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিয়েছিলেন এক পুর ইঞ্জিনিয়ার ৷ অবাক কাণ্ড, তার মাস দুই বাদে তিনি হাতে পেলেন মহিলাকে হেনস্থা করার অভিযোগের সমন । এই ঘটনায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে ইঞ্জিনিয়ার মহলে । মিথ্যে মামলার ফাঁসানোর অভিযোগ এনে, এই বিষয়ে কলকাতা পুরনিগমকে পদক্ষেপ করার দাবি জানিয়েছে কেএমসি ইঞ্জিনিয়ার অ্যান্ড সার্ভিসেস অ্যাসোসিয়েশন ৷ তারা ডেপুটেশন দিয়েছে বরো এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারের কাছে ৷

বেআইনি নির্মাণ ঠেকাতে ইঞ্জিনিয়ারদের ঘটনাস্থলে নিয়মিত যাওয়ার উপর জোর দিয়েছে কলকাতা পুরনিগম । সেই কাজ করতে গিয়েই নয়া বিপদের মুখে পড়েছেন 13 নম্বর বরোর অন্তর্গত 122 নম্বর ওয়ার্ডের বিল্ডিং বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত পাকড়ে । কলকাতা পুরনিগম সূত্রে খবর, বেআইনি নির্মাণ হচ্ছে এমন অভিযোগ পেয়ে অফিসের গাড়ি করে তিনি গত অগস্ট মাসে গিয়েছিলেন ঘটনাস্থলে । বেআইনি নির্মাণকারী পেশায় উকিল । তিনি ইঞ্জিনিয়ারকে একটা ঘরে আটকে দেন বলে অভিযোগ । ইঞ্জিনিয়ার তাঁর গাড়ির চালককে ফোন করে ডাকলে তাঁকেও আটকে রাখা হয় । পরে হরিদেবপুর থানার পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে । এর পরবর্তী সময়ে পুলিশের সামনে কলকাতা পুরনিগমের বিল্ডিং আইন অনুসারে বাড়ির মাপজোক করে পদক্ষেপ করেন ওই ইঞ্জিনিয়ার ।

এর ঠিক মাস দুয়েক পর, পুর ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত পাকড়ে গতকাল আচমকা হরিদেবপুর থানা থেকে পাঠানো একটি সমন হাতে পান ৷ পুলিশের তরফে ইঞ্জিনিয়ারকে জানানো হয়, তাঁর বিরুদ্ধে বেআইনি নির্মাণকারী ওই আইনজীবী মামলা করেছেন । মামলায় বাড়ির মহিলাদের হেনস্থা করার মতো গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে ৷ পাশাপশি তাঁর নাম বেহালার একটি গন্ডগোল সঙ্গেও যুক্ত করা হয়েছে । সেখানেই শেষ নয় ৷ আরও কয়েকটি অভিযোগ আনা হয়েছে ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে ৷

একথা শোনার পরই পুরনিগমের ইঞ্জিনিয়ার মহলে ক্ষোভ ছড়ায় । কেএমসি ইঞ্জিনিয়ার অ্যান্ড অ্যালায়েড সার্ভিসেস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পার্থ গুপ্ত বলেন, এই গোটা ঘটনা 13 নং বরোর এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকে জানানো হয়েছে । তিনি যাতে কলকাতা পুরনিগমের তরফ থেকে ওই বেআইনি নির্মাণকারীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করেন, সেই আর্জি জানানো হয় । শুধু তাই নয়, যেভাবে মিথ্যে মামলা দেওয়া হয়েছে, তার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে কলকাতা পুরনিগম কর্তৃপক্ষ কী ধরনের পদক্ষেপ করে, তার দিকেও নজর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে ৷

অভিযোগ, অনেক ক্ষেত্রেই অহেতুক হয়রানির মুখে পড়তে হয় ইঞ্জিনিয়ারদের । ফলে এ ক্ষেত্রে মিথ্যা অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে কঠিন পদক্ষেপ করার দাবি জানিয়েছে সংগঠন । পার্থ গুপ্ত আরও বলেন, এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকে আজ জানানো হয়েছে । পরবর্তী সময়ে কী পদক্ষেপ করা হল, তা দেখে নিয়ে প্রয়োজনে মেয়রের কাছেও দরবার করা হবে । পদক্ষেপ না করলে আগামী সময়ে ইঞ্জিনিয়াররা ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ নাও করতে পারেন বলে ইঙ্গিত মিলেছে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.