কলকাতা, 21 জুলাই: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতোই হল কাজ ৷ একুশের সভা শেষে মাত্র 30 মিনিটের মধ্যেই পথঘাট থেকে জঞ্জাল সাফ করে ফেলল কলকাতা পুরনিগম। এই কাজে পথে নামানো হল কর্পোরেশনের গাড়ি থেকে শুরু করে সাফাই কর্মীদের ৷ সভা চলাকালীনই কলকাতা পুরনিগমের জঞ্জাল সাফাই বিভাগ ইলেকট্রিক হ্যান্ড কার্ট থেকে শুরু করে ঝাঁটা হাতে কর্মী বাহিনী নিয়ে প্রস্তুত ছিল । সঙ্গে ছিল একাধিক পোর্টেবল কম্প্যাকটার । ছিল আধুনিক সুইপিং মেশিনও। সবমিলিয়ে কয়েক মিনিটেই জঞ্জালমুক্ত হল মহানগর ৷
এই প্রসঙ্গে মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার বলেন, "মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ ছিল, সভা শেষে দ্রুত রাস্তার হাল ফেরাতে হবে । পরিচ্ছন্ন করতে হবে । সেই মতো শুধু ধর্মতলা নয়, ময়দান, পার্ক স্ট্রিট, এজেসি বোস রোড-সহ কলকাতার বিভিন্ন রাস্তা পরিষ্কার করা হয় । গোটা প্রক্রিয়ায় কয়েক হাজার কর্মীকে নামানো হয়েছিল রাস্তায়। ধর্মতলাতেই শুধু কাজ করেছেন 350 থেকে 400 জন কর্মী । ছিল পরিষ্কার করার আধুনিক যন্ত্রও ।"
একুশে জুলাই তৃণমূলের বড় সমাবেশ ৷ এখানে লাখো লাখো মানুষের ভিড় হয় ৷ বিপুল পরিমাণে আবর্জনা জমা হয় । তাই আগেই সভাকে ঘিরে প্রস্তুত ছিল কলকাতা পুরনিগম ৷ সেই মত প্রায় 350 থেকে 400 জন সাফাই কর্মীকে পথে নামানো হল কর্পোরেশনের জঞ্জাল সাফাই বিভাগের তরফে । এরপর মাত্র 30 মিনিটেই 'টিম কর্পোরেশন' সাফাই কাজ শেষ করে ফেলল গোটা ভিক্টোরিয়া হাউসের আশেপাশের এলাকায় ।
পরিষ্কার করা হল এসএন ব্যানার্জি রোড, জওহরলাল নেহরু রোড, বেন্টিং স্ট্রিট-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা । এ দিন সমাবেশ স্থলে বিভিন্ন এলাকায় প্রথম থেকেই বড় বড় নীল সবুজ বিন রাখা ছিল । তবে তা সত্ত্বেও সভায় আসা লোকেদের ফেলা জলের প্লাস্টিক থেকে কাগজের প্লেট আরও নানা ধরনের আবর্জনায় ছেয়ে যায় গোটা ধর্মতলা ।
কলকাতা পুরনিগম সূত্রে খবর, এই সমাবেশ আসা মানুষজনকে সব ধরনের পুর পরিষেবা সুষ্ঠুভাবে দিতে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের নেতৃত্বে একটি দল কাজ করেছে ৷ যার মধ্যে ছিলেন, মেয়র পারিষদ জঞ্জাল সাফাই বিভাগ দেবব্রত মজুমদার, পরিবেশ বিভাগের মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার এবং পার্কিং বিভাগের মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমারও । অল্প সময়ের মধ্যেই রাস্তা সাফ হয়ে যাওয়ার দ্রুত যান চলাচল শুরু করিয়ে দেয় কলকাতা পুলিশ । সভা শেষে এসএন ব্যানার্জি রোড, জহরলাল নেহেরু রোড স্বাভাবিক ছন্দে ফেরে । চলতে শুরু করে বাস ও গাড়ি ৷