ETV Bharat / state

কে নেবে গাছ কাটার দায় ! কেএমসি ও বন দফতরের দায় ঠেলাঠেলিতে হস্তক্ষেপ পুর-কমিশনারের - KMC AND FOREST DEPARTMENT CLASH

এনওসি ইস্যু করা নিয়ে টালবাহানার অভিযোগ প্রশাসনের দুই বিভাগের মধ্যে ৷ মঙ্গলবার বৈঠক ডাকলেন কেএমসি-র পুর-কমিশনার ৷

KMC AND FOREST DEPARTMENT CLASH
কে নেবে গাছ কাটার দায় ! কেএমসি ও বন দফতরের দায় ঠেলাঠেলিতে হস্তক্ষেপ পুর-কমিশনারের ৷ (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jan 25, 2025, 9:22 PM IST

কলকাতা, 25 জানুয়ারি: কলকাতায় মাথা তুলছে একের পর এক বহুতল ৷ আর যার জেরে কেটে ফেলা হচ্ছে এদিক-ওদিক মাথা তুলে থাকা বড় গাছও ৷ এমন ছবিই দেখা এক সময় দস্তুর ছিল বলে অভিযোগ ৷ তবে, পরবর্তী সময় কঠোর হয়েছে প্রশাসন ৷ আর সেই কঠোর মনোভাব দেখাতে গিয়ে কলকাতা পুরনিগম ও রাজ্যের বন দফতরের মধ্যে তৈরি হয়েছে দ্বন্দ্ব ৷

কীসের এই দ্বন্দ্ব ! শহরে ব্যক্তি মালিকানাধীন খালি জমিতে গাছ থাকলে সেটা কাটা যায় না ৷ একমাত্র বাড়ি তৈরির জন্য সেই গাছ কাটার অনুমতি দেয় কলকাতা পুরনিগমের উদ্যান বিভাগ ৷ তবে, 20 হাজার বর্গ ফুটের বেশি জমিতে বাড়ি করার ক্ষেত্রে রাজ্যের বন দফতরের নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট বা এনওসি নিতে হয় ৷ আর সেই অনুমতি দেওয়া নিয়েই তৈরি হয়েছে জটিলতা ৷

কলকাতা পুরনিগম সূত্রে খবর, 20 হাজার বর্গ ফুটের কম পরিমাণ জমি যেখানে, সেখানে বাড়ি করতে গিয়ে গাছ কাটতে হলে উদ্যান বিভাগের অনুমতি লাগে ৷ তারাই এনওসি দেয় ৷ সেক্ষেত্রে পুরনিগমের বিল্ডিং বিভাগের অনুমদিত নকশা জমা দিয়ে উদ্যান বিভাগের গাছ কাটতে অনুমতি নিতে হয় ৷

তবে, 20 হাজার বর্গ ফুটে থেকে বেশি পরিমাণ জমি হলেই অনুমতি নিতে হয় রাজ্যের বন দফতর থেকে ৷ অভিযোগ, এখানেই দুই বিভাগের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে ৷ বন দফতরের কাছে আবেদন করলে, তারা বলছে কলকাতা পুরনিগমের বিল্ডিং বিভাগের অনুমোদিত প্ল্যান আনতে হবে ৷ তার ভিত্তিতে মিলবে এনওসি ৷

আবার কলকাতা পুরনিগম বলছে, বন দফতর এনওসি দিলে, তবেই মিলবে বিল্ডিং প্ল্যানের অনুমতি ৷ এই দুইয়ের মাঝে পড়ে নাজেহাল বাড়ি বা বহুতল তৈরি করতে চাওয়া আবেদনকারীরা ৷ এই জটিলতার জেরে অনন্তকাল ধরে আটকে থাকছে বহু অনুমতি ৷ গাছ কাটার দায় কোনও তরফই নিজের কাঁধে নিতে চাইছে না ৷ আর তাই একে-অপরের ঘাড়ে দায় ঠেলছে বলে অভিযোগ ৷

সেই সমস্যার সমাধানে কলকাতা পুরনিগমের পুর-কমিশনার ধবল জৈনের নেতৃত্বে বন দফতরের আধিকারিক ও বিল্ডিং বিভাগের কর্তারা আলোচনায় বসবেন ৷ আগামী মঙ্গলবার এই বৈঠক হবে কলকাতা পুরনিগমে ৷

এই প্রসঙ্গে কলকাতা পুরনিগমের এক আধিকারিক বলেন, "এখন নন-ফরেস্ট এরিয়া অ্যাক্ট 2006 নিয়ম অনুযায়ী, আবেদনকারী ওয়ান-সি ফর্ম পূরণ করে ৷ সেটার ভিত্তিতে ডিএফও অনুমতি দেয় ৷ তারপর আমরা অনুমতি দিয়ে থাকি ৷ 20 হাজার বর্গ ফুট জায়গার কম হলে উদ্যান বিভাগ এনওসি দেয় ৷ তার বেশি হলে বন দফতর অনুমতি দেয় ৷ সেই ক্ষেত্রে অসুবিধা হচ্ছে বলেই সমস্যার সমাধানে বৈঠক হবে ৷ আশা করছি কোনও সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসবে ৷"

উল্লেখ্য, এখন শহরে ছোট জমিতে বাড়ি করতে একটি গাছ কাটলে তার পরিবর্তে ছাড়ের জায়গায় বা অন্যত্র 20টি গাছ লাগাতে হয় ৷ অভিযোগ, সেই নিয়ম অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পালন করেন না-আবেদনকারীরা ৷

কলকাতা, 25 জানুয়ারি: কলকাতায় মাথা তুলছে একের পর এক বহুতল ৷ আর যার জেরে কেটে ফেলা হচ্ছে এদিক-ওদিক মাথা তুলে থাকা বড় গাছও ৷ এমন ছবিই দেখা এক সময় দস্তুর ছিল বলে অভিযোগ ৷ তবে, পরবর্তী সময় কঠোর হয়েছে প্রশাসন ৷ আর সেই কঠোর মনোভাব দেখাতে গিয়ে কলকাতা পুরনিগম ও রাজ্যের বন দফতরের মধ্যে তৈরি হয়েছে দ্বন্দ্ব ৷

কীসের এই দ্বন্দ্ব ! শহরে ব্যক্তি মালিকানাধীন খালি জমিতে গাছ থাকলে সেটা কাটা যায় না ৷ একমাত্র বাড়ি তৈরির জন্য সেই গাছ কাটার অনুমতি দেয় কলকাতা পুরনিগমের উদ্যান বিভাগ ৷ তবে, 20 হাজার বর্গ ফুটের বেশি জমিতে বাড়ি করার ক্ষেত্রে রাজ্যের বন দফতরের নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট বা এনওসি নিতে হয় ৷ আর সেই অনুমতি দেওয়া নিয়েই তৈরি হয়েছে জটিলতা ৷

কলকাতা পুরনিগম সূত্রে খবর, 20 হাজার বর্গ ফুটের কম পরিমাণ জমি যেখানে, সেখানে বাড়ি করতে গিয়ে গাছ কাটতে হলে উদ্যান বিভাগের অনুমতি লাগে ৷ তারাই এনওসি দেয় ৷ সেক্ষেত্রে পুরনিগমের বিল্ডিং বিভাগের অনুমদিত নকশা জমা দিয়ে উদ্যান বিভাগের গাছ কাটতে অনুমতি নিতে হয় ৷

তবে, 20 হাজার বর্গ ফুটে থেকে বেশি পরিমাণ জমি হলেই অনুমতি নিতে হয় রাজ্যের বন দফতর থেকে ৷ অভিযোগ, এখানেই দুই বিভাগের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে ৷ বন দফতরের কাছে আবেদন করলে, তারা বলছে কলকাতা পুরনিগমের বিল্ডিং বিভাগের অনুমোদিত প্ল্যান আনতে হবে ৷ তার ভিত্তিতে মিলবে এনওসি ৷

আবার কলকাতা পুরনিগম বলছে, বন দফতর এনওসি দিলে, তবেই মিলবে বিল্ডিং প্ল্যানের অনুমতি ৷ এই দুইয়ের মাঝে পড়ে নাজেহাল বাড়ি বা বহুতল তৈরি করতে চাওয়া আবেদনকারীরা ৷ এই জটিলতার জেরে অনন্তকাল ধরে আটকে থাকছে বহু অনুমতি ৷ গাছ কাটার দায় কোনও তরফই নিজের কাঁধে নিতে চাইছে না ৷ আর তাই একে-অপরের ঘাড়ে দায় ঠেলছে বলে অভিযোগ ৷

সেই সমস্যার সমাধানে কলকাতা পুরনিগমের পুর-কমিশনার ধবল জৈনের নেতৃত্বে বন দফতরের আধিকারিক ও বিল্ডিং বিভাগের কর্তারা আলোচনায় বসবেন ৷ আগামী মঙ্গলবার এই বৈঠক হবে কলকাতা পুরনিগমে ৷

এই প্রসঙ্গে কলকাতা পুরনিগমের এক আধিকারিক বলেন, "এখন নন-ফরেস্ট এরিয়া অ্যাক্ট 2006 নিয়ম অনুযায়ী, আবেদনকারী ওয়ান-সি ফর্ম পূরণ করে ৷ সেটার ভিত্তিতে ডিএফও অনুমতি দেয় ৷ তারপর আমরা অনুমতি দিয়ে থাকি ৷ 20 হাজার বর্গ ফুট জায়গার কম হলে উদ্যান বিভাগ এনওসি দেয় ৷ তার বেশি হলে বন দফতর অনুমতি দেয় ৷ সেই ক্ষেত্রে অসুবিধা হচ্ছে বলেই সমস্যার সমাধানে বৈঠক হবে ৷ আশা করছি কোনও সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসবে ৷"

উল্লেখ্য, এখন শহরে ছোট জমিতে বাড়ি করতে একটি গাছ কাটলে তার পরিবর্তে ছাড়ের জায়গায় বা অন্যত্র 20টি গাছ লাগাতে হয় ৷ অভিযোগ, সেই নিয়ম অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পালন করেন না-আবেদনকারীরা ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.