ETV Bharat / state

গেরুয়া রং ব্যবহার করে দলতন্ত্র কায়েমের চেষ্টা চলছে, বিজেপিকে আক্রমণ কীর্তি আজাদের - কীর্তি আজাদ

Kirti Azad attacked BJP: কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে দু'দিনের ধরনায় বসেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৷ সেই মঞ্চ থেকেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের পাশাপাশি কংগ্রেসের বিরুদ্ধেও সুর চড়াতে দেখা যায় মমতাকে ৷ এমনকী মমতার মঞ্চে দেখা গিয়েছে শত্রুঘ্ন সিনহা, কীর্তি আজাদের মতো দুই প্রাক্তন বিজেপি নেতাকেও ৷

Etv Bharat
Etv Bharat
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Feb 3, 2024, 5:38 PM IST

কলকাতা, 3 ফেব্রুয়ারি: তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের দু'দিনের ধরনার দ্বিতীয় দিনে হাজির হয়েছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ কীর্তি আজাদ ৷ আর সেই মঞ্চ থেকেই শনিবার কেন্দ্রকে তীব্র আক্রমণ করেন কীর্তি ৷ তাঁর কথায়, "শুধু গেরুয়া রং কেন ? হিন্দুর রং কি গেরুয়া ? " প্রাক্তন বিজেপি নেতার দাবি, "সাতদিনে হিন্দুরা আলাদা আলাদা রং ব্যবহার করেন ৷" কীর্তি আজাদের অভিযোগ, গেরুয়া রং ব্যবহার করে আদতে দলতন্ত্র কায়েম করার চেষ্টা করছে বিজেপি ৷

কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে দু'দিনের ধরনায় বসেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৷ সেই মঞ্চ থেকেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের পাশাপাশি কংগ্রেসের বিরুদ্ধেও সুর চড়াতে দেখা যায় মমতাকে ৷ এমনকী মমতার মঞ্চে দেখা গিয়েছে শত্রুঘ্ন সিনহা, কীর্তি আজাদের মতো দুই প্রাক্তন বিজেপি নেতাকেও ৷ এদিন কীর্তি আজাদ বলেন, "আমিও বিজেপি করতাম। আমার বাবা স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন। কপিল দেবের নেতৃত্বে 1983 সালে প্রথমবার যখন বিশ্বকাপ জিতেছিলাম। সেই দলে হিন্দু-মুসলমান-শিখ সকলে ছিলেন। কোনও জাত-পাতের ভেদাভেদ ছিল না।" এরপরই অভিযোগের সুরে তিনি বলেন, "কিন্তু এখন দেশে বিজেপি জাতপাতের রাজনীতি করছে। আমি সীতার দেশের লোক। আমার থেকে রাম-সীতাকে ভালো কে বোঝে ? এরা মহিলাদের কথা বলে কিন্তু সীতাকেই সম্মান দেয় না। জয় সিয়া রাম বলে না।"

তাঁর কথায়, "আমাদের সনাতন ধর্মের মধ্যে, হিন্দু ধর্মের মধ্যে সমস্ত রং রয়েছে। রাম মন্দিরে শঙ্করাচার্য যখন মন্দির উদ্বোধনে আপত্তি জানিয়েছিলেন বলে তাঁদের বিরুদ্ধাচরণ করা হয়েছে। আমি প্রকৃত হিন্দু হলে সকল ধর্মের মানুষকে সম্মান করব। বিজেপি রাম মন্দিরের নামে রাজনৈতিক কর্মসূচি করেছে।" অন্যদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, "দিদির সঙ্গে আমার সম্পর্ক অনেক পুরনো। উনি যখন সোমনাথ চট্টোপাধ্য়ায়কে হারিয়ে সংসদে এসেছিলেন তখন আমার বাবা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন। বাবা দিদিকে দেখেই বলেছিলেন অনেক দুর যাবে। দিদি হলেন বাঘিনী।"

আরও পড়ুন

21 ফেব্রুয়ারি 21 লক্ষ একশো দিনের কর্মীর অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেব, বড় ঘোষণা মমতার

দিল্লির বঙ্গভবন 'পরিষ্কার-পরিপাটি' নয়! না-থাকার কারণ দর্শালেন রাজ্যপাল

আধাসেনায় নিয়োগ নিয়ে নথি জালের মামলায় বাংলায় আটটি স্থানে সিবিআই হানা

কলকাতা, 3 ফেব্রুয়ারি: তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের দু'দিনের ধরনার দ্বিতীয় দিনে হাজির হয়েছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ কীর্তি আজাদ ৷ আর সেই মঞ্চ থেকেই শনিবার কেন্দ্রকে তীব্র আক্রমণ করেন কীর্তি ৷ তাঁর কথায়, "শুধু গেরুয়া রং কেন ? হিন্দুর রং কি গেরুয়া ? " প্রাক্তন বিজেপি নেতার দাবি, "সাতদিনে হিন্দুরা আলাদা আলাদা রং ব্যবহার করেন ৷" কীর্তি আজাদের অভিযোগ, গেরুয়া রং ব্যবহার করে আদতে দলতন্ত্র কায়েম করার চেষ্টা করছে বিজেপি ৷

কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে দু'দিনের ধরনায় বসেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৷ সেই মঞ্চ থেকেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের পাশাপাশি কংগ্রেসের বিরুদ্ধেও সুর চড়াতে দেখা যায় মমতাকে ৷ এমনকী মমতার মঞ্চে দেখা গিয়েছে শত্রুঘ্ন সিনহা, কীর্তি আজাদের মতো দুই প্রাক্তন বিজেপি নেতাকেও ৷ এদিন কীর্তি আজাদ বলেন, "আমিও বিজেপি করতাম। আমার বাবা স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন। কপিল দেবের নেতৃত্বে 1983 সালে প্রথমবার যখন বিশ্বকাপ জিতেছিলাম। সেই দলে হিন্দু-মুসলমান-শিখ সকলে ছিলেন। কোনও জাত-পাতের ভেদাভেদ ছিল না।" এরপরই অভিযোগের সুরে তিনি বলেন, "কিন্তু এখন দেশে বিজেপি জাতপাতের রাজনীতি করছে। আমি সীতার দেশের লোক। আমার থেকে রাম-সীতাকে ভালো কে বোঝে ? এরা মহিলাদের কথা বলে কিন্তু সীতাকেই সম্মান দেয় না। জয় সিয়া রাম বলে না।"

তাঁর কথায়, "আমাদের সনাতন ধর্মের মধ্যে, হিন্দু ধর্মের মধ্যে সমস্ত রং রয়েছে। রাম মন্দিরে শঙ্করাচার্য যখন মন্দির উদ্বোধনে আপত্তি জানিয়েছিলেন বলে তাঁদের বিরুদ্ধাচরণ করা হয়েছে। আমি প্রকৃত হিন্দু হলে সকল ধর্মের মানুষকে সম্মান করব। বিজেপি রাম মন্দিরের নামে রাজনৈতিক কর্মসূচি করেছে।" অন্যদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, "দিদির সঙ্গে আমার সম্পর্ক অনেক পুরনো। উনি যখন সোমনাথ চট্টোপাধ্য়ায়কে হারিয়ে সংসদে এসেছিলেন তখন আমার বাবা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন। বাবা দিদিকে দেখেই বলেছিলেন অনেক দুর যাবে। দিদি হলেন বাঘিনী।"

আরও পড়ুন

21 ফেব্রুয়ারি 21 লক্ষ একশো দিনের কর্মীর অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেব, বড় ঘোষণা মমতার

দিল্লির বঙ্গভবন 'পরিষ্কার-পরিপাটি' নয়! না-থাকার কারণ দর্শালেন রাজ্যপাল

আধাসেনায় নিয়োগ নিয়ে নথি জালের মামলায় বাংলায় আটটি স্থানে সিবিআই হানা

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.