দুর্গাপুর, 30 জুলাই: সাত সকালে স্কুল ড্রেসে থানায় হাজির একদল ছাত্রী । গোটা থানা ঘুরে দেখার পাশাপাশি কথা বলল পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে ৷ এছাড়াও সাইবার ক্রাইম রুখতে পুলিশ কী কী ব্যবস্থা নিচ্ছে, সেসব খতিয়ে দেখল তারা । সাইবার ক্রাইমের ফাঁদে পড়লে কী করণীয় সে সম্পর্কেও বিস্তারিত খোঁজ নিল কন্যাশ্রী ক্লাবের মেয়েরা ।
পুলিশি হেফাজত থেকে শুরু করে থানায় কতজন অফিসার, কনস্টেবল ও কতজন সিভিক ভলান্টিয়ার রয়েছেন খুঁটিনাটি সমস্ত বিষয়ে খোঁজ নিল ৷ এরপরে থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকদের কাছে থানায় কীভাবে অভিযোগ দায়ের হয় সেই সব দেখার পাশাপাশি প্রশ্নও করল পড়ুয়ারা ৷ পুলিশ আধিকারিকরাও তাদের সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিলেন ।
জানা গিয়েছে, এটা ছিল সরকারি স্কুলের কন্যাশ্রী ক্লাবের সঙ্গে পুলিশের যোগাযোগ গড়ে তোলা । সোমবার দুর্গাপুরের নেপালিপাড়া হিন্দি হাইস্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা কন্যাশ্রী ক্লাবের ছাত্রীদের থানার কাজকর্ম আর পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তুলতে এই উদ্যোগ নেন । দুর্গাপুরের কোকওভেন থানায় চলে এই কর্মসূচি ।
হঠাৎ কেন এই উদ্যোগ ?
পুলিশের সহযোগিতায় দিকে দিকে নাবালিকাদের বিয়ে রুখে দিচ্ছে কন্যাশ্রী ক্লাব । পাড়ায় পাড়ায় করছে সচেতনতামূলক প্রচার । 18 বছরের নীচে বিয়ে হলে শারীরিক ও মানসিকভাবে কী ক্ষতি হতে পারে, সেই সব বিষয়গুলিও তুলে ধরছে ৷ নাবালিকাদের বিয়ে রুখতে গিয়ে যাতে কোনও সমস্যায় পড়তে না হয়, সেই জন্য পুলিশের কাছ থেকে নানান বিষয় জেনে নেয় পড়ুয়ারা ৷ পুলিশের ফোন নম্বরও নেয় ।
এই বিষয়ে নেপালিপাড়া হিন্দি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ডাঃ কলিমুল হক বলেন, "আমাদের স্কুলের কন্যাশ্রী ক্লাব শুধু নাবালিকাদের বিয়েই রুখে দেয় না, বিভিন্ন সামাজিক কাজ করে থাকে । আমরাও ছাত্রীদের এগিয়ে নিয়ে যেতে যা যা করণীয় সবটাই করার চেষ্টা করি । ওদের থানাও চেনানোর ব্যবস্থা আর পুলিশের কাজ সম্পর্কেও সচেতন করা হয় ।" ছাত্রীদের কথায়, "আমাদের কাছে এক দুর্লভ অভিজ্ঞতা । এরপরে আমাদের আর থানায় আসতে ভয় পেতে হবে না ।"