মালদা, 10 এপ্রিল: এক সময় আলাদা রাজ্যের দাবিতে সশস্ত্র আন্দোলনে নেমেছিল কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশন (কেএলও) । 2014 সালে সেই সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার । ফলে কেএলও’র প্রতিষ্ঠাতা জীবন সিংহ খানিকটা পিছিয়ে যেতে বাধ্য হন । গত বছর তাঁর আত্মসমর্পণের খবর ছড়িয়ে পড়েছিল বিভিন্ন মহলে ৷ যদিও লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার ঠিক আগেই সামনে এসেছে গোপন ডেরা থেকে তাঁর দেওয়া ভিডিয়োবার্তা ৷
তা সত্ত্বেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে সেই সংগঠনের অস্তিত্ব খানিক বিপন্ন । অথচ এই সশস্ত্র আন্দোলনে এক সময় বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন । মারা গিয়েছিলেন একাধিক পুলিশকর্মীও । পরবর্তীতে কেএলও’র একাংশ ভেঙে তৈরি হয় কেপিপি বা কামতাপুর পিপলস পার্টি । সেই কামতাপুর পিপলস পার্টিও এবার একই ইস্যুতে লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছে । আর্থিক অভাবে উত্তরবঙ্গের একটি লোকসভা আসন বাদে বাকি সাতটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছে কেপিপি প্রার্থীরা, জানিয়েছেন পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুভাষ বর্মন ।
সুভাষ বর্মন বলেন, “আগে আমাদের অনেক দল অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল । কিন্তু কেউ কথা রাখেনি । গত লোকসভা নির্বাচনেও আমরা প্রার্থী দিয়েছিলাম । এবারও আমরা লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করছি । গত নির্বাচনের মতো এবারও আমি নিজে উত্তর মালদা কেন্দ্রের প্রার্থী হচ্ছি । উত্তরবঙ্গের আটটি লোকসভা আসনের মধ্যে সাতটি আসনে আমাদের প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে । শুধুমাত্র আর্থিক অভাবে আমরা দক্ষিণ মালদা লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী দিতে পারছি না ।”
তাঁর কথায়, “আমাদের মূল লক্ষ্য কামতাপুর নামে আলাদা রাজ্য । কারণ, স্বাধীনতার পর থেকে উত্তরবঙ্গের কোনও উন্নয়ন হয়নি । এখনও আমরা কলকাতা বা দক্ষিণবঙ্গের তুলনায় হাজার গুণ পিছিয়ে । আমাদের আর্থিক, সামাজিক, রাজনৈতিক দুরাবস্থা কাটিয়ে উঠতেই আমরা আলাদা রাজ্যের দাবি করে আসছি । আলাদা রাজ্য না-হওয়া পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের মানুষের কোনও সমস্যার সমাধান হবে না ।”
আরও পড়ুন: