বোলপুর, 7 নভেম্বর: অনুব্রত মণ্ডলের গড়ে কেক কেটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিন উদযাপন করলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ । বৃহস্পতিবার কঙ্কালীতলা মন্দিরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি নিয়ে পুজো দেন কাজল ৷ পরে মন্দির চত্বরে 11টি কেক কাটেন তিনি ৷ কাজলের সঙ্গে ছিলেন নানুরের বিধায়ক বিধান মাঝি-সহ অন্যান্য নেতৃত্ব ও কর্মীরা ৷
এই বিষয়ে কাজল শেখ বলেন, "আজ আমাদের দলের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিন ৷ তাঁর সমৃদ্ধি কামনায় সতীপীঠ কঙ্কালীতলা মন্দিরে পুজো দিলাম ৷ কেক কেটে সকলকে খাওয়ালাম ৷ আমরা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক ।"
ঠান্ডা লড়াই প্রসঙ্গে কাজল শেখের বক্তব্য, "আমাদের মধ্যে কোনও লড়াই নেই ৷ তৃণমূল দলটা চলে মানবিক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ৷ আমি সকলকে নিয়ে সংঘবদ্ধভাবে চলছি ৷ সকলকে নিয়ে চলতে চাই ৷ ঠান্ডা লড়াই যে বা যারা করছে, সেটা তাদের ব্যাপার ৷"
তবে এই অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি কঙ্কালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপ-প্রধানকে ৷ অর্থাৎ, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিন পালন ঘিরেও বীরভূম জেলায় কাজল-কেষ্ট স্নায়ুযুদ্ধ চলছে তা বলাই যায় ।
অনুব্রতর প্রত্যাবর্তনের পরেও বীরভূমের ব্যাটন সম্পূর্ণ কেষ্টর হাতে নেই ৷ কারণ, জেলে থাকাকালীন মুখ্যমন্ত্রীর গড়ে দেওয়া কোর কমিটিই কাজ করছে এখনও । অন্যদিকে, বোলপুর পৌরসভা সংলগ্ন কঙ্কালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েত ৷ তাই এই গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল অনুব্রত ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের হাতে থাকবে, নাকি জেলা পরিষদের সভাধিপতি এই পদ বলে গ্রাম পঞ্চায়েতটি ফায়জুল হক ওরফে কাজল শেখের হাতে থাকবে নিয়ে ঠান্ডা লড়াই তুঙ্গে !