কলকাতা, 22 অক্টোবর: অনশন তোলার পরে হাসপাতালে ভর্তি হলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা ৷ আরজি করের নির্যাতিতার বিচার-সহ 10 দফা দাবিতে গত 5 অক্টোবর থেকে অনশন করছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা ৷ শেষে 17তম দিনে, সোমবার রাতে তাঁরা অনশন তুলে নেন ৷ এরপরই তাঁদের শহরের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৷
16 দিন ধরে অনশন চালিয়েছেন চিকিৎসক অর্ণব মুখোপাধ্যায়, চিকিৎসক স্নিগ্ধা হাজরা, চিকিৎসক সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা ৷ পরে চিকিৎসক পরিচয় পান্ডা এবং চিকিৎসক অললিকা ঘোড়ুই অনশনে যোগ দেন এবং একটানা 10 দিন ধরে অনশন করেন ৷ ছ'দিন ধরে অনশনে ছিলেন চিকিৎসক রুমেলিকা কুমার এবং চিকিৎসক স্পন্দন চৌধুরী ৷ অনশনরত অবস্থায় জল ও দরকারি ওষুধ ছাড়া কিছুই মুখে তোলেননি এই সাত জুনিয়র চিকিৎসক ৷ অন্যদিকে উত্তরবঙ্গেও অনশনে ছিলেন এক জুনিয়র চিকিৎসক ৷ অনশন ওঠার সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের সকলকে সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ তবে কারও অবস্থাই আশঙ্কাজনক নয় ৷ সবাই স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে ৷
চিকিৎসক পরিচয় পান্ডাকে ভর্তি করা হয়েছে শিশুমঙ্গল হাসপাতালে ৷ চিকিৎসক অর্ণব মুখোপাধ্যায় এবং চিকিৎসক স্পন্দন চৌধুরী ভর্তি হয়েছেন এসএসকেএম হাসপাতালে ৷ চিকিৎসক স্নিগ্ধা হাজরা, চিকিৎসক সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা, চিকিৎসক অললিকা ঘোড়ুইকে ভর্তি করা হয়েছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ৷ রুমেলিকা কুমারকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়নি । তাঁর কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষার পর বাড়িতে বিশ্রামে পাঠানো হয়েছে তাঁকে ৷
এক জুনিয়র চিকিৎসক বলেন, "দীর্ঘদিন না খাওয়ার পর খাবার খেলে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা যায় ৷ এর থেকে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার মতো ঘটনা পর্যন্ত হতে পারে ৷ তাই পর্যবেক্ষণের জন্য আমরা সকলকে হাসপাতালে ভর্তি করেছি ৷"
সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রায় দু'ঘণ্টা ধরে বৈঠক হয় জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টের প্রতিনিধি চিকিৎসকদের ৷ এরপর ধর্মতলার চিকিৎসকদের অনশন মঞ্চে আসেন আরজি করের নির্যাতিতার মা-বাবা ৷ তাঁদের অনুরোধেই অনশন তুলে নেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা ৷